শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণ,যিনা, ভ্যাবিচার ও দ্রব‍্যমূল‍্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে গদি থেকে নামুন= পীর সাহেব চরমোনাই

প্রকাশিত হয়েছে-

 

মুহাম্মদ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

দেশব‍্যাপী চলমান ধর্ষণ, যিনা ব্যবিচার ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চরমোনাই পীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৈরি আবহওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে দলের আমীর ও সমাবেশের প্রধান অতিথি মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই দ্রব‍্যমূল‍্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন – দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি কমাতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অবিলম্বে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করুন না হয় সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামলে গদি ছাড়তে বাধ্য হবেন।

বতর্মানে ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার জাহেলিয়াতের যুগকেও ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন – আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরাই ধর্ষক যিনাকারে পরিণত হয়েছে। এসব সোনার ছেলেদেরকে অবাধে দুর্নীতি, রাতের বেলা ভোট চুরিসহ নানা অপরাধ শিখিয়েছেন। এ জন্য তারা যে কোনো অপরাধ করতে দ্বিধা বোধ করছে না। ফেরাউনের ইতিহাসকে স্মরণ করুন। সীমা লঙ্ঘন করার কারণে আল্লাহপাক ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে মেরেছেন। আপনারা সীমা লঙ্ঘন করলে এর পরিণাম ভাল হবে না।

আজ শুক্রবার (২৩ শে অক্টোবর) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি এবং ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে দলের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে ইসলামী শরীয়ত বিরোধী কোনো আইন পাশ করবে না। ৯২% মুসলমানের দেশে নাস্তিকরা বার বার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চড়াও হবে তা’ সহ‍্য করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি বানানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মূর্তি নির্মাণ কোন শরীয়তের আইনে স্বীকৃতি আছে ?

পীর সাহেব বলেন, প্রয়োজনে জান দিয়ে দেওয়া হবে তবু ঢাকাকে মূর্তির শহর বানাতে দেয়া হবে না।

তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নো-আওয়ামী লীগ নো-বিএনপি নো-জাতীয় পার্টি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে বৈরি আবহাওয়ার মাঝে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুস আহমাদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, আবুল কাসেম, এ বি এম জাকারিয়া ও এম হাসিবুল ইসলাম।

প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ইসলাম মূর্তি নির্মাণকে সমর্থন করে না। মুসলিম দেশকে মূর্তির দেশ বানাবেন আর মুসলমানরা ঘুমিয়ে থাকবে এমনটা হবে না।

তিনি বলেন, ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচারে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। অবাধে ধর্ষণ ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ায় জনগণ ছাত্র লীগের নাম ধর্ষক ছাত্র লীগ বলে ডাকছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার বন্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।

সমাবেশের পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বৃষ্টি ও কাদাপানি উপেক্ষা করে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।