মঙ্গলবার , ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৮ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বনায়ন সৃষ্টিতে বাধা! বিরামপুরে সরকারি বনের হাজার হাজার মোথা তুলে বিক্রি

প্রকাশিত হয়েছে-
এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় সরকারি বনের কর্তনকৃত গাছের হাজার হাজার মোথা (গোড়া) অবৈধ ভাবে বিক্রি করছেন বন কর্মকর্তা। মোথা তুলে বিক্রি করায় গোড়া থেকে নতুন চারা গজানোয় বাধা পড়ায় প্রাকৃতিক বন বিলপ্তির হুমকীর মুখে পড়েছে।

জানা যায়, সরকারি বনের বিরামপুর (চরকাই) রেঞ্জের অধীনস্থ সদর বিটের সন্দলপুর এলাকায় সামাজিক বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। গাছের মোথা (গোড়া) থেকে চারা গজিয়ে নতুন ভাবে প্রাকৃতিক ভাবে বন গড়ে উঠার কথা। কিন্তু, সদর বিটের হাজার হাজার মোথা কিনে মাটি থেকে তুলে খড়ি হিসাবে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মাটি থেকে মোথা তুলে নেওয়ায়, মোথা থেকে নতুন ভাবে চারা গজানোয় বাধা পড়ছে এবং প্রাকৃতিক ভাবে নতুন বনায়ন সৃষ্টিতে বাধা পড়ছে।
মোথা উত্তোলনকারী শ্রমিক সহিদুল ইসলাম জানান, বিট কর্মকর্তার নিকট থেকে নটকুমারী গ্রামে বাক্কার মোথা কিনে নিয়েছে। আমরা শুধু মোতাগুলো (গোড়া) খড়ি হিসাবে তুলে দিচ্ছি। বিট কর্মকর্তা বিক্রি না করলে সরকারী জায়গা থেকে মোথা তুলতে পারতাম না। বরং তাঁদের বাধায় বিড়ম্বনায় পড়তাম।

শ্রমিক দিয়ে মোথা উত্তোলনকারী নটকুমারী গ্রামে বাক্কার আলী জানান, তিনি চরকাই সদর বিট কর্মকর্তা আব্দুল বারেকের নিকট থেকে প্রতিটি মোথা একশ’ টাকা দরে এক হাজার পাঁচশত মোথা কিনে নিয়েছেন। শ্রমিক দ্বারা মোথা তুলে তিনি খড়ি হিসাবে ইটভাটায় খড়ি বিক্রি করছেন।
চরকাই সদর বিট কর্মকর্তা আব্দুল বারেক জানান, তিনি মোথা বিক্রি করেন নাই। কিছু লোক মোথা তুলে খড়ি হিসাবে বিক্রি করছে। জনবল কম থাকায় সব দিকে পাহারা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান, বনের গাছের মোথা বিক্রি বা মোথা তুলে খড়ি বিক্রির নিয়ম নেই। এধরণের কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।