শনিবার , ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ মেয়ের মারধর ও কামড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পিতা।

প্রকাশিত হয়েছে-

কপিল উদ্দিন (জয়) নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়ি ২০ আগস্ট ২২ ইং
নাইক্ষ্যংছড়িতে সম্পত্তির লোভে ৩ মেয়ে, জামাই ও জি নাতীর হাতে আহত সদর ইউনিয়নের আসারাফ মিয়া পাড়ার অসহায় পিতা আব্দুল জব্বার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল জাব্বির একজন আলেম ও হাজী। সে বেশিরভাগ সময় তাবলীগ জামায়াত ও মসজিদেরই সময় কাটান। শেষ বয়সে তিনি মসজিদ, মাদ্রাসায় কিছু জমি দিতে চাইলে তার জীবিত ৩ মেয়ে ও জামাইরা বাধা দে। এ নিয়ে ৭২ বৎসরেরে বৃদ্ধ আব্দুল জব্বারকে বেশ কয়েক বার হামলা করেছে। সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট তাকে প্রাণে মেরে গুম করে তার সম্পত্তি দখলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায়, ১৮ আগস্ট’২০২২ তিন মেয়ে, তিন জি জামাই কে আসামি করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তিনি। এ বিষয়ে অসহায় পিতা আব্দুল জব্বার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কেঁদে কেঁদে এই প্রতিবেদক কে বলেন, তিনি তার বড় মেয়ের নাতি আনোয়ারুল ইসলাম কে ৭ শতক জমি দেওয়ায় শুক্রবার ১৯ আগস্ট সাকাল ৮ ঘটিকায় আমি মরগেজ থেকে বাড়িতে এসে ভাত খাওয়া অবস্থায়, মেয়ের জামাই ফকির আহমদ, আব্দুর রহিম, মোঃ রফিক এবং স্হানীয় এক জনপ্রতিনিধি সহযোগিতায়, আমার মেয়ে গোলতাজ খাতুন, আমেনা আক্তার, ও নাসিমা আক্তার সহ তাদের ছেলেদের নিয়ে আমাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্য মারধর করে আর বলে সমস্ত জমি আমাদের লিখে দে না হয় তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো বলে আমাকে মাটিতে পেলে আমার দাঁড়ি টেনে ছিড়ে ফেলে আর গলা টিপে ধরে এবং ৩ মেয়ে ও ২ নাতি আমার শরীরে কামড়ে ধরে আমার জমানো ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই। স্হানীয় মাদ্রাসার পরিচালক মওলানা ফরিদুল আলম, জহির আলম,শাহাব উদ্দিন, আব্দুল আজিজ জানান, হুজুরের শো চিতৎকারে আমরা এসে তাকে তাদের হাত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক, এলাকাবাসী এসমস্ত কু সন্তানদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।