বৃহস্পতিবার , ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা উখিয়ার কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার

প্রকাশিত হয়েছে-

শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

নানা বৈচিত্র্য ভরা এ কক্সবাজার । প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় এ জেলাটিকে সাজিয়েছে। অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের হৃদয় স্পর্শ করে। বাংলার সংস্কৃতি সৃষ্টি, কালচার, ঐতিহ্য আর নিসর্গ প্রকৃতি নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। পর্যটকদের অযুত সম্ভাবনার এ জেলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে কত ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি। রয়েছে বহু পুরাকীর্তি স্মৃতিগাথা। অনুপম সৌন্দর্যের আধার এ কক্সবাজার । বিচিত্র ষড়ঋতুর নানা উৎসব মেলা পার্বণে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক এবং ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন।

পর্যটনে রাজধানী হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারের উখিয়ায় নতুন করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রত্নতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত রাজা পালং ইউনিয়নের পাতা বাড়ী আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার।

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি উখিয়াকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণসমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে, শুধু দেশীয় নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছেও সমান জনপ্রিয় এবং সমাদৃত।স্থানীয়রা মনে করছেন যথাযথ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষদের সংগ্রামী ও সাহসী জীবনযাপন পর্যটকদের মুখরিত করবে নিঃসন্দেহে।কক্সবাজার জেলার বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো এদেশের পর্যটন শিল্পের নতুন সম্ভাবনা হয়ে উঠতে পারে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক শাহিনা জানান এ-ই প্রথম এশিয়া মহাদেশের বড় বৌদ্ধ মুর্তি উখিয়া আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারে যাঁর দৈর্ঘ্য ১৩০ ফিট।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোঃ আরিফ বলেন ‘এখানে না আসলে বোঝা যেত না শহরের এত কাছে মনোমুগ্ধকর এই রকম একটি পর্যটন স্পট রয়েছে। সরকারিভাবে সঠিক পরিকল্পনা হাতে নিলে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠবে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র।