সাংবাদিক জিহাদ পীরগাছা, রংপুর।
পীরগাছা উপজেলার তাম্বূল পুর ইউনিয়নের রমজান আলী মুন্সী কলেজ এর পুর্ব পরশে মাইক ওয়ালা রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী মাসুদা বেগমের লাশ অদ্য সকাল ৯ ঘটিকার দিকে মরহুমার ছোট মেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে থাকতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। এর পর আশেপাশের লোক জন এসে পীরগাছা থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় পুলিশ ফোর্সসহ এসে পুকুর থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর উদেশ্য পাঠিয়ে দেন। এসময় তাম্বুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রশিদ মুকুলসহ স্থানীয় কয়েক জন মেম্বার ও গন্যমাণ্য ব্যক্তি ছাড়াও এলাকার শতশত নারীপুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
খোজখবর নি জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মাসুদা ওদুই সন্তান থাকার পরেও দিতীয় বিবাহ করে সংসার চালাতেন। সাইকেল রিক্সার মেকারী ও মাইক ভাড়া দিয়ে সামান্য আয়ে দুই স্ত্রীর ভরন পোষন চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বড় স্ত্রীর সাথে ঝগরাঝাটি ও ডাংমার করতেন। এরপরেও বড় স্ত্রীর খরচ চালাতেন না। এমতাবস্থায় শুধু সন্তানের দিকে চেয়ে মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সামীর সংসারে পরেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
আরো খোজখবর নিয়ে জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ও তার বড় ভাই শফিকুল গতকাল সন্ধ্যা থেকে পলাতোক।লোকজন বলাবলি করছে মাসদাকে মেরে ফেলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য লাশ পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। কেহ কেহ রফিকুল কে সেফ করতে মিরকী রোগের কথাও বলছেন। যেটাযাই হোক এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।