শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়া সাতশিমুলিয়ায় স্ত্রীর দাফন রেখে-স্বামী শহিদ পলাতক

প্রকাশিত হয়েছে-

রাকিব মাহমুদ ডাবলু, স্টাফ রিপোর্টার।

বগুড়া সদরে দাফনের আগে স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২) লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী শহিদ হোসেন। ২৪শে আগস্ট-২২ইং তারিখ রোজ বুধবার সদর উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের সাতশিমুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ নাজমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলে নিয়ে যায়। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির আল-আহসান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায় যে,নাজমার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। তাদের অভিযোগ নাজমাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়,সদর উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের সাতশিমুলিয়া গ্রামের অলি মিয়ার ছেলে শহিদ হোসেন ও পাশের গোকুল ইউনিয়নের কামাল হোসেনের মেয়ে নাজমা বেগম। পারিবারিক ভাবে প্রায় ১৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তানও আছে। শহিদ পেশায় একজন গাড়িচালক। প্রায় চার মাস আগে কাজের সন্ধানে স্ত্রী ও সন্তানসহ শহিদ ঢাকা সাভারের হেমায়েতপুরে ছিলেন৷ তবে সেখানে তিনি বেকার অবস্থাতায় বসবাস করতেন।

নাজমার ভাই সোবহান হোসেন জানান,আমার বোন ও দুলাভাই ঢাকা সাভার হেমায়েতপুরে থাকতেন। হুট করে আমাদের মুঠো ফোনে জানানো হয় আপা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ডায়রিয়ায় রোগে মারা গেছে।

এরপর সকাল ০৭টার দিকে দুলাভাই সাতশিমুলিয়া তার নিজ বাড়িতে লাশ নিয়ে আসে। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে আপার লাশ ধোঁয়ানোর সময় দেখা যায় তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। এসময় আমরা লাশ দাফনে বাঁধা দিলে দুলাভাই সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এসআই জাকির আল-আহসান বলেন যে, নাজমার পরিবারের দাবি ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় লাশ ময়না তদন্তে নেওয়া হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সাথে নাজমার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত বিধি-ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন।