রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

প্রকাশিত হয়েছে-

Ukhiya Voice24.Com 

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
(চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলার ইন্ধনদাতা বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমাসহ সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করতে হবে। শুধু তাই নয়, এমপির নির্দেশে মৌলভী সৈয়দ পরিবারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় বীর চট্টলার জনগণ রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি এমন মন্তব্য করতে পারে না। স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকায় অবস্থায় একজন সাংসদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে আমাদেরকে হতভাগ করেছে। তাই ইতিহাস বিকৃতকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আগামীতে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মোস্তাফিজ মুক্তিযুদ্ধ দেখে নাই। তিনি বীর বাঙালির বাঘের গর্জন শুনেন নাই। তাই তিনি প্রেসক্লাবের মত একটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নগ্ন হামলা করেছে। আমি তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মুনসুর বলেন, জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো। ততদিন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথা বলে যাবো। জাতীয় পার্টি থেকে এসে এমপি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে পার পেয়ে যাবে তা হবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নেওয়া না হলে চট্টলার মানুষ আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেবে।
সংগঠনের সভাপতি আকরাম হোসেন সবুজের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত স্বপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু, আবুল হোসেন আবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, এড.জিন্নাত সোহানা, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ছামদানী জনী, নগর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমকে আলম বাসেদ। প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, সাবেক সাংসদ ইসহাক মিয়ার কন্যা আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদা বেগম পপি, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন বেলাল, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, কাজল প্রিয় বড়ুয়া, মো. সরওয়ার খান, আতিক উল্লাহ, নগর সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মো. আলী চৌধুরী, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, আরফাতুল মান্নান ঝিনুক, শহীদ মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আবু তৈয়ব, মো. মহিউদ্দিন মেজবাহ উদ্দিন মাঈনু, ইঞ্জিনিয়ার তৈয়ব হোসেন রুবেল, জেবুন্নাহার, জহিরুল ইসলাম, জয় শংকর, সাইফুল করিম, মো. আফছার, দিদারুল আলম প্রধান, মহানগর ছ্ত্রালীগের সোহেল, রেজাউল করিম রিটন, ফাতেমা নাসরীন প্রিমা, সরওয়ার আলম টিটু, এমএ রুবেল, আবুল কালাম, রিফাতুল ইসলাম খোকন, সবুজ, কবির, মিঠু দাশ প্রমূখ