রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিরামপুরে আদিবাসী নারী-পুরুষদের মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে-
এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

দিনাজপুরের বিরামপুরে গির্জার নামে দখলকৃত জায়গা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি ও নিজেরা গির্জা ভেঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীর নামে হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গ্রামের আদিবাসী (শাঁওতাল) নারী-পুরুষদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২০ জুন) সকালে দিঘলচাঁদ গ্রামে ভাঙ্গা গির্জার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মারান্ডি জানান, জনৈক ইলিয়াস সরেন চাকুরি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়ে ২০১০ সালে মুচিয়া মার্ডির নিকট থেকে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি লিখে নেয়। পরবর্তীতে সেখানে
ইউনাইটেড বেথেলিক চার্চ নির্মাণ করা হলেও জমি দাতার পরিবার ও গ্রামের ৩০জন শাঁওতালকে খৃষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করার পরও কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে এবং দানের শর্ত ভংগ করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চার্চ চালানো হতো। খৃষ্টধর্মে দিক্ষিতরা পরবর্তীতে শাঁওতাল ধর্মে ফিরে গিয়ে ঐ স্থানে মন্দির করে সেখানে নিজেদের ধর্ম পালন করতে শুরু করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে গির্জার পালক সুরাই পাওরিয়া গির্জার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র খুলে নিয়ে যায়। ঝামেলা এড়াতে মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মারান্ডি ঘটনার উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১১ আগষ্ট বিরামপুর থানায় জিডি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। কিন্তু গির্জার পরিচালক ইলিয়াস সরেন বিশাল মারান্ডিসহ ১০/১২ জনের নামে গির্জা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিপিআই তদন্ত করছে। মানববন্ধনে উল্লেখিত হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহার ও শর্ত ভঙ্গের কারণে দানকৃত জায়গা দাতার পরিবারকে ফেরত দেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে।