বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।
একদিন দুপুরবেলা ছাত্রলীগ নেতা গেলেন এক গুচ্ছগ্রামে। সেখানে গিয়ে এক দোকানীকে জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের গ্রামে টাকার ভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেনা এমন কেউ আছে নাকি। দোকানী বললেন আছে, বেশ কয়েকজন নাম বললেন ওই দোকানী। ছাত্রলীগ নেতা তখন গেলেন, সেই রোগীর বাড়িতে। রোগীর পেশা ফেরিওয়ালা। গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করেন তিনি। ওই ছাত্রলীগ নেতা সেখানে গিয়ে ওই বৃদ্ধাকে বলেন, চাচী আপনি কি অসুস্থ। আপনার কি কিডনির সমস্যা, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। অসুস্থ বৃদ্ধ মহিলা তখন বললেন, জ্বী বাবা আমি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা তখন ওই বৃদ্ধ মহিলাকে বলেন, আমি আপনার চিকিৎসা খরচের টাকা ব্যবস্থা করে দিব, তা দিয়ে আপনি চিকিৎসা করাবেন মর্মে ওই ছাত্রলীগ নেতা অসুস্থ বৃদ্ধার কাছ থেকে ১৪,৬০০ টাকা নেন। এমনটি ঘটেছে দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নের পলিখিয়ার মাহমুদপুর গুচ্ছগ্রামে।
ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতার নাম তানভীর রাজন সৌরভ। তিনি জোতবানী ইউনিয়নের
সাধারণ সম্পাদক। সে জোতবানী ইউনিয়নের কসবাসাগপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নরুল ইসলামের ছেলে।
এবিষয়ে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাজন সৌরভের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, সে কল রিসিভ করেন নি।
ভোক্তাভোগী আনজুয়ারা বেগম বলেন, আমার কাছে ওই ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসা করার জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দিবেন, বলে আমার কাছ থেকে ১৪,৬০০ টাকা নেয়। কিন্তু ৩-৪ মাস পার হলো তার সাথে যোগাযোগ করলে সে ফোন ধরেন না বরং বিভিন্ন তাল বাহানা করে সময় পার করেন। ভবিষ্যতে কারো সাথে এমন না করতে পারে সেজন্য আমি ওই ছাত্রলীগ নেতার বিচার চাই।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তানভীর রাজন সৌরভ জোতবানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আর আইনি প্রক্রিয়ায় যদি তানভীর রাজন সৌরভ দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।