বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ছাত্রলীগ বা আওয়ামি লীগের দলীয় সম্পত্তি নয় যে, এখানে পড়তে হলে “ছাত্রলীগ” করতেই হবে। এটি একটি জাতীয় সম্পত্তি। দেশের সকল নাগরিকের সংবিধানসিদ্ধ ও রাষ্ট্র সমর্থিত এবং শিক্ষানীতি বিরুদ্ধ নয় এমন যাবতীয় কর্মকান্ড ব্যক্তি স্বাধীনতায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস সহ দেশের যে কোন জায়গায় পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারো ছাত্রলীগ করার ইচ্ছে থাকলে করবে না থাকলে করবে না। ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করার কারো কোন অধিকার নাই।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন “কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়তে হলে ছাত্রলীগ করতে হবে” মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছে তা স্পষ্টতই গণতন্ত্র বিরোধী ও ফ্যাসিবাদী। তার জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশে সাংবিধানিক নীতিতেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতি বিদ্যমান। এক্ষেত্রে, সাদ্দাম হোসেনের এই বক্তব্য সংবিধান বিরোধীও বটে।
যেহেতু এই বক্তব্যটি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্র কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সামনেই রেখেছেন; কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, সচেতন শিক্ষার্থী এবং কলেজ প্রশাসনকে এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মহোদয় এবং কলেজ প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতার এই গণতন্ত্র বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্যকে “বিচ্ছিন্ন খেয় হারানো বক্তব্য” হিসেবে সাব্যস্ত করবেন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ০৩৪ নং এ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন, “ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ” কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ নেজাম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহীন, গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী সাব্যস্তপূর্বক ছাত্রলীগ নেতার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কে দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পূণঃ বক্তব্য প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
বার্তা প্রেরক:
মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাহের
তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক
আইসিএবি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।