মঙ্গলবার , ১২ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ভিত্তিহীন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে নিরীহ ২ যুবকের মানহানি (ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা) বন্ধ করুন স্টাটাস বানিজ্য

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চলের নানা পেশার মানুষ ঝুঁকছে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে।

তবে এসব মানবপাচার চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিমাল্লা বলে একাধিক সূত্রে: প্রমাণ মিলেছে।

তার আগে ও বেশ কয়েক দফা উপকূলীয় অঞ্চলের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী বাইলারছড়া ও শামলাপুর জাহাজ পুরা এলাকা থেকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছে, অনেকেই মায়ানমার থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া অবস্থানে রয়েছে বলে ভিকটিমের পরিবার থেকে জানা গেছে।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি, বাহারছড়া উত্তর শিলখালী’র আব্দুল আমিনের পুত্র: আনিছুল ইসলাম ও ছালেহ আহাম্মদের পুত্র: জাকের হোসেন দুই যুবকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক একটি উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে ফেসবুক আইডি থেকে তাদের ছবি দিয়ে মানবপাচারে জড়িত বলে মালয়েশিয়া গমনকারী জালালের পিতা খাইরুল আমিন একটি ফেসবুক ব্যবহারকারীকে ভুল তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট স্টাটাস দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি দুটি পরিবারকে হয়রানি করছে।

অন্যদিকে স্টাটাসের কমেন্টে সুশীল সমাজের জনপ্রতিনিধি সহ সাংবাদিক ও সচেতন মহলের ভিত্তিহীন স্টাটাসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।
উল্লেখিত ফেসবুক পোস্টে’র কমেন্টে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদেরের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো,(প্রিয় কলম সৈনিক আপনারা জাতির বিবেগ, নিউজ বুলেটিন করার সময় সঠিকভাবে তদন্ত করে যদি করা হয়, আমাদের হ্নদয়ের অনুভূতি আপনাদের প্রতি অনিবার্য থাকে, যেহেতু আনিস অদূর ভবিষ্যতে ছিলো কি-না এবং বর্তমানে আছে কি-না..? সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রমাণ সহকারে নিউজ করা হক)
২য় কমেন্ট: পাচার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষকে সদুপদেশের মাধ্যমে ইহকালীন লাঞ্ছনা ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করে সচেতন থাকতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। তবে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব সাপেক্ষে বিবেচনা করে নাম প্রকাশ করা জন্য অনুরুধ করছি, কারণ আপনারা কলম সৈনিক কেউ যদি মিথ্যা তত্ত্ব দিয়ে ভালো কলম সৈনিকদের কে কুলোসিত করছে কি-না, যেহেতু মানুষের পারিবারিক সামাজিক দ্বন্দ্ব থাকে..?)

অন্যদিকে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে মালিকবিহীন যে ফেসবুক আইডি থেকে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট পোস্ট করা হয়েছে, সেই নামের আসল ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কমেন্ট ও হুবুহু তুলে ধরা হলো
(প্রিয় সহকর্মী ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সঠিক ডকুমেন্ট থাকলে নিউজ করতে সমস্যা নাই। কারো কান ফোঁসকানি কথা নিয়ে এভাবে মানহানি করা ভাল না)
রনি ক্স কমেন্ট:(একজন নাগরিকে বিরোধে সংবাদ প্রচার করতে ১০০% প্রমান তাকতে হবে। সাধারণ জনগণের উপর বিত্তিহীন নিউজ করার কোনো সংবাদ গনম্যাধমের একক্তিয়ার নেই)
মোঃ কফিল উদ্দিন কমেন্টে:( কার থেকে কপি করেছেন?
নিউজ করার সময় পর্ব ১ অথবা ২
এইসব লেখা শিখছেন কোত্থেকে।
সুষ্ঠু তদন্ত করুন, নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা শিখবেন কবে?)

এবিষয়ে অভিযুক্ত আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন একটি ইস্যু নিয়ে খাইরুল আমিনের কেবল একটি পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে, মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি আইডি থেকে ভিত্তিহীন স্টাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে।
তবে খাইরুল আমিন এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ হয়।

আনিস আরো বলেন, আজিজ উল্লাহ নামের একজন ব্যক্তি নামধারী ফেসবুক সাংবাদিক উল্লেখিত ফোরাম থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে, তার বিরুদ্ধে এর আগেও দেশ-বিদেশ পত্রিকায় মনখালী থেকে চাঁদাবাজির অডিও রেকর্ড ভাইরাল সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় চাঁদাবাজি ও ফেসবুক বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

তাঁরা আরো বলেন,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা জড়িত থাকলে আমাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।
আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক পোস্ট’কারীর বিরুদ্ধে শিঘ্রই আইনি আশ্রয় নেবো।

এ বিষয়ে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ জানান, মানবপাচার চক্র সক্রিয়, তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,
তবে আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
তদন্ত করা হচ্ছে, জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।