ভোলা প্রতিনিধিঃ-
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় দিনে দিনে হাইব্রিড আওয়ামীলীগের উৎপাত বেড়েই চলেছে। এদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ তজুমদ্দিন উপজেলার নিবেদিত আওয়ামীলীগ সহ সাধারণ মানুষ।
৪ঠা জুন দিবাগত রাত ১০.৩০ মিনিটে তজুমদ্দিন বাজারে জনাব মোঃ ফজলু মিয়ার মুরগীর দোকানে সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে মারাত্মক জখমের মত ঘটনা ঘটে।
এক্ষেত্রে ভিক্টিম ছিলেন তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাজীকান্দির আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ। যে কিনা ওই সময় মুরগী কিনতে ফজলুর দোকানে গিয়েছিল। তখন ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চার দলীয় জোট সরকারের আমলের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ তজুমদ্দিন পলি ডিজিটাল স্টুডিওর কর্ণধার জনাব মোঃ আলমগীর ও তার ছেলে মোঃ শাওন। যে কিনা বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে গত দুই থেকে তিন বছর আগে যোগদান করেন। সোহাগের সাথে সামান্য মুরগীর রাখা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটিতে ধারালো অস্র ধারা দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করেন জনাব আলমগীর। পরে তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।তবে পবিরারের পক্ষহতে ভিক্টিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,তারা আর্থিকভাবে তুলনামূলক অসচ্ছল হওয়ায় তারা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছেন। উল্টো জনাব আলমগীর নাকি তাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন যদি তাদের নামে কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করা হয়,তাহলে আলমগীর মিয়া ভিক্টিমদের নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন সাজানো মামলায় ফাসিয়ে দেবেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামীলীগের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের মতে দলে নতুন যোগদান বা যোগদেওয়া লোকদের ক্ষেত্রে দলের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে তারা মনে করেন দল মারাত্মক হুমকির দিকে এগিয়ে যাবে।