কপিল উদ্দিন জয়
নাইক্ষ্যংছড়ি রিপোর্টার
যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটালেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল।
গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৫ টায় সময় কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমেদ প্রকাশ রশিদ মাঝির ছেলে আবছার কামাল( ৩৫)
যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী ৪০ দিনের সন্তানের মা গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি ৪ নং ওয়ার্ড আবদুল জব্বারের মেয়ে তাসমিম আক্তার (২২) কে মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এবং লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বাহির করে দিলেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল। খবর পেয়ে তাসমিমা আক্তারের মা আবেদা খাতুন মাঝির কাটা রাস্তা হইতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গর্জনিয়া বাজার ডাক্তার রুবেলের চেম্বারে নিয়ে যায়।
অবস্থা অবনতি হওয়ায় দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় সাতটি সেলাই এবং মুখে ২ টি সেলাই করা হয়েছে বলে জানালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এলাকাবাসী জানান প্রায় ৪ বছর আগে আবচার কামালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ২ টি সন্তান রয়েছে একটির বয়স ৩ বছর আর একটির বয়স মাত্র ৪০ দিন তার স্বামী মাদকাসক্ত। ঠিকমতো আয় রোজগার করেন না। নেশার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নিতেন আবছার। এছাড়া বিয়ের পর থেকে যৌতুক বাবদ টাকা দাবি করেন আচ্ছিল। বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। ওই টাকা খরচ করে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আবছার। এভাবেই তাদের সংসার চলছিল। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফের মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করেন আবছার। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে ধারালে অস্ত্র দিয়ে মুখমণ্ডলে আঘাত করেন।
আহত গৃহবধূর মা আবেদা খাতুন দাবি করেন, দীর্ঘ ৪ বছরের সংসার জীবনে প্রায় দিনই যৌতুকের জন্য তার মেয়ে কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তবে মারধরের পর পালিয়েছেন আবছার কামাল।
তিনি আরও বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়ে কে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেছে। তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে কয়েকটি আঘাত করে। এতে মুখমণ্ডলে জখম ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এবং তার মাথায় সাতটি সেলাই করা হয়েছে আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবছার কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সে ব্যয়পারে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি যদি অভিযোগ করে আইনগতভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে