উপদেষ্টার প্রতিবেদক
কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‘ লাইট হাউস মাদরাসা নিয়ে বিরাজমান সংকটের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধান কামনা করেন জেলার শীর্ষ ওলামা-মশায়েখ,ইসলামী চিন্তাবিদ ও কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট শতাধিক আলেম।সংবাদ পত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বলেন, লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসাটি কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বোর্ড অনুমোদিত শুরা কর্তৃক নিযুক্ত মুহতামিম মওলানা মুহাম্মদ আলী। তিনি বিগত ২১-০৮-২০১৫ ইং থেকে অত্যন্ত সুনাম ও খ্যাতির সাথে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জরাজীর্ণ উক্ত মাদরাসার লেখা পড়া ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেন। যার ফলে মাদ্রাসার সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এতদসত্বেও একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাওমি মাদ্রাসার চিরাচরিত নিয়ম কানুন এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেখিয়ে মাদ্রাসাটি দখলের পঁয়তারা করছে।তারা কওমী জগতের কাছে ধিকৃত , নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির দায়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত মাওলানা আনাস মাদানি কে মুহতামিম বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনি ফোরাম মজলিসে শুরা ব্যতিত ভিন্ন ফোরামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কে পরিচালক বা মুহতামিম পদে জোর করে বসানো কওমী মদরাসার সংবিধান ও নীতিমালার পরিপন্থি। যা কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বিনাশ করার একটি সু গভীর ষড়যন্ত্র ও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদানের সময় “ কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহের উপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হলো” বলে যে ভাষন দিয়েছেন এবং সংসদে বিল আকারে পাশ হয়েছিল তাদের এরূপ কর্মকান্ড এ ঘোষণার পরিপন্থি। মাদরাসার বর্তমান বৈধ মুহতামিম মাওলানা মো: আলী কে অপসারণ করার নির্লজ্জ ও সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র কক্সবাজারের আলেম সমাজ কোন দিন মেনে নিবেনা। বিবৃতিতে আলেম ওলামারা লাইট হাউস মাদরাসায় শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসা বেসরকারি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সংবিধান ও নীতিমালার আলোকে তা সমাধা করতে হবে। কাওমি শিক্ষা বোর্ডই হচ্ছে মাদ্রাসা পরিচালনা,শৃঙখলা রক্ষা সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিনের এই সংকট নিরসনে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বোর্ড অনুমোদিত মজলিসে শুরার আহবান এর দাবি জানান জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম।
বিবৃতি দাতারা হলেন- পোকখালী মাদরাসার ছদরে মুহতামিম ও সভাপতি আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ( কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড) কক্সবাজার জেলা আল্লাামা মোখতার আহমদ দা:বা:, মুহতামিম মাওঃ আজিজুদ্দীন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী ও মুহতামিম জামেয়া ইসলামিয়া টেকনাফ আল্লাামা মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক , আল্লামা মুহাম্মদ মুসলিম- পরিচালক-ধাওনখালী মাদ্রাসা। আল্লামা আফসারুদ্দীন চৌঃ মুহতামিম জামিয়া দারুস্সুন্নাহ হ্নিলা,মাওঃ মাহবুবুর রহমান,পরিচালক জামিয়া ফারুকিয়ার টেকনাফ,আল্লামা মুফতি এনামুল হক পরিচালক বালাগুল মুবীন মাদরাসা চকরিয়া , মাওলানা সিরাজুল ইসলাম পরিচালক-দারুল উলুম চাকমারকুল মাদ্রাসা,মাওলানা মুহসিন শরিফ পরিচালক রাজার কুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা,মাওলানা শাহেদ নূর, নির্বাহী পরিচালক- আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ধলির ছড়া, মাওলানা নূরুল হাকিম, নির্বাহী পরিচালক-বোয়ালখালী মাদরাসা। মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, পরিচালক-মশরফিয়া মাদ্রাসা লিংকরোড,মাওলানা মোঃ আনোয়ার পরিচালক-চিরিঙ্গা মাদ্রাসা। মাওলানা এমদাদ উল্লাহ হাছান, পরিচালক-খুরুশকুল অদুদিয়া তালিমুদ্দীন মাদ্রাসা। মাওলানা মুহাম্মাদ
ইদ্রিস, পরিচালক-ইনানী মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা,মাওলানা আতাউল করিম, পরিচালক- জামিয়াতুল আবরার কক্সবাজার।মাওলানা আব্দুল খালেক পরিচালক ডিগলিয়া পালং মাদ্রাসা, উখিয়া,মাওলানা আবদুস সাত্তার পরিচালক-দারুত তাহযীব মাদরাসা, থাইংখালী। মাওলানা ক্বারী শাকের পরিচালক ইবনে আব্বাস লেদা, হোয়াইক্যং,মাওলানা আব্দুল বারি পরিচালক মুনির ঘোনা মাদরাসা টেকনাফ ,মাওলানা শমসুল আলম পরিচালক উনচিপ্রাং দারুল ইরফান মাদরাসা, মাওলানা জাহেদুর রহমান পরিচালক-কক্সবাজার দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা, মাওলানা জসিম উদ্দিন পরিচালক-এমদাদিয়া মাদরাসা, লম্বাবিল, আল্লামা আবদুচ্ছালাম, পরিচালক-আলহাছান মাদ্রাসা, মাওলানা আবু বকর পরিচালক পাতাবাড়ী মাদরাসা প্রমুখ।