মঙ্গলবার , ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিক্ষানবিশ আইনজীবি মাহবুবুর রহমান ও তার ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

প্রকাশিত হয়েছে-

মিসবাহ উদ্দিন :- মহেশখালী প্রতিনিধি,

সূত্র :- মামলার বাদী :- আমজাদ হোসেন, পিতা :- মৃত লাল মিয়া, সাং গোরক ঘাটা, পশ্চিম পাড়া, মহেশ খালী পৌরসভা।মহেশখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জি আর মামলা নং – ৩০৫/২১ এবং ডিবি ক·বাজার কার্যালয়ের তদন্তের স্মারক নং – ৫৫৮/২১ এবং বিগত ২৬/১১/২০২১ইং তারিখে মহেশখালী থানার জি আর মামলার নং-১৬/৩২৪ প্রসঙ্গে।

আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অর্ন্তগত মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা পশ্চিম পাড়ার ৮ নং ওয়ার্ডের একজন শান্তি প্রিয় স্থায়ী বাসিন্দা হই। আমার পিতা মরহুম আতিকুর রহমান, তৎকালীন মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাত্তন প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

পরিবারে আমরা ৩ ভাই ও ২ বোন। ৩ ভাইয়ের মধ্যে ২ ভাই থাকে প্রবাসে, আর আমি আইন বিষয়ে লেখা পড়া শেষ করে বর্তমানে ক·বাজার আইনজীবি সমিতির শিক্ষানবিশ আইনজীবি হিসেবে সিনিয়রদের সাথে প্রশিক্ষণরত আছি। ক·বাজার আইনজীবি সমিতিতে আমার আই ডি নং- ৪৫৬৭। এবং পাশাপাশি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সরকারী ও বেসরকারি প্রজেক্টে চাকুরী করে আসিতেছি। উপরোক্ত মামলার বাদী আমজাদ হোসেনের সাথে আমার কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক শত্রুতা নাই। তবে তার সাথে আমার বাপ-দাদার বসত ভিটির জায়গা জমি নিয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে বর্তমানে ক·বাজার মহেশখালী সহকারী জজ আদালতে অপর ৮৭২/২১ মামলা ও এডিএম কোর্টে মিচ আপিল ১১৮/১৫ নং মোট ২টি মামলা ৭ বছর ধরে চলমান আছে। অর্থ্যাৎ আমি তার জন্য দলিল ও খতিয়ান বাতিলের মামলা করি, সে আমার জন্য একই কোর্টে ডিক্রী বাতিলের মামলা করে। এ ছাড়া তার সাথে আমার আর কোন ফৌজদারি মামলা নাই।

উপরোক্ত মামলার বাদী একজন পরধন লোভী প্রকৃতির লোক হয়। বিগত ২৩/২/১৪ ইং তারিখে তার ছেলে বউ সবাই মিলে আমার দখলীয় জমিতে অনধিকার প্রবেশ করার চেষ্টা করিলে এবং আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়াবে বলে হুমকি দিলে, আমি তৎকালীন মহেশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে রাখি যার নং ৮৯০। তাছাড়া বিগত ৩/৩/২১ ইং তারিখ লক ডাউনের সময় কয়েকজন গুন্ডা পান্ডা নিয়ে মামলাধীন জায়গায় পাকা দেয়াল দেওয়া চেষ্টা করিলে তখন আমি কক্সবাজার এডিএম কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারার আবেদন করি।

আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ক·বাজার মহোদয় মহেশখালী থানা বরাবরে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জমিতে কোন প্রকার কাজ না করার জন্য শান্তিশৃঙ্গলা বজায় রাখার একটি আদেশ দেন। যার মামলা নং ১০৮০/২১ এবং আদেশের তারিখ ০৫/০৫/২১, স্মারক নং ১২৩১।বর্তমানে উক্ত আদেশ বলবৎ আছে। বিগত ১৯/১০/২০২১ইং কুতুবজুমের ঘটনায় উপরুক্ত মামলার বাদী ষড়যন্ত্র করে মহেশখালী কোর্ট এ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট ৩১ জনের বিরোদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে ও ডিবি ক·বাজারকে তদন্ত দেয়। বর্তমানে উক্ত মামলাটি কক্সবাজার গোয়েন্দা শাখায় তদন্তনাধীন থাকা অবস্থায়, বিগত ২৬/১১/২০২১ইং তারিখে মহেশখালী থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৬/৩২৪ উক্ত মামলাতে পূর্ব পরিকল্পনামতে পুনরায় আমাকে ও আমার বড় ভাই প্রবাসী মিজানুর রহমানকে ষড়ষন্ত করে মামলার আসামী করা হয়েছে। উপরুক্ত বাদীর দায়ের করা প্রথম মামলায় আমাকে ৩০ নং আসামী করা হয়েছে।

ঘটনার সাথে আমি এবং আমার বড় ভাই বিন্দু মাত্র জড়িত ছিলাম না। শুধু মাত্র আমি কক্সবাজার আদালতে বাদী হয়ে উপরুক্ত আমজাদ হোসেন জন্য আমার বাপ-দাদার জায়গা জমির মামলা করায় আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়িত পায়তারা করিতেছে। জায়গা জমির মামলায় আমাকে দুর্বল করার জন্য উপরোক্ত বাদী আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো চেষ্টা করিতেছে যা মোটে ও কাম্য নয়। ঘটনার সময় আমি উখিয়াতে ছিলাম।

আমার সাথে কোন পক্ষের সাথে রাজনৈতিক, কিংবা ব্যবসায়িক কোন ধরণের সম্পর্ক নাই। মহেশখালীর কুতুবজোমের কেথায় কি হয়েছে সেটা জানি না। আমি মহেশখালীতে থাকি না। আসল কথা হল, বাদী আমজাদ হোসন, আমার দায়ের করা ক·বাজার জজ কোর্টের দলিল বাতিল মামলায় হেরে যাওয়ার আশংকা আছে বিধায় আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করিতেছে।

বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার মিথ্যা মামলার আতংকে এবং হুমকিতে আছি। এই বিষয়ে আমি মহেশখালী প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগীতা কামনা করতেছি। আমার বিষয়টা এলাকায় তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে।

বিনীত প্রার্থনা যে, উপরোক্ত বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে আইনজীবী হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ দিলে আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।

বিনীত নিবেদক
(মোঃ মাহবুবুর রহমান)
পিতা :- মৃত আতিকুর রহমান,
গ্রাম :- গোরক ঘাটা পশ্চিম পাড়া, মহেশখালী পৌরসভা, ক·বাজার।
মোবাইল নং ০১৮৯১-৫০১৬৯৫