মঙ্গলবার , ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমে আব্দুর রাজ্জাকের আলু- পরাটার দোকানে

প্রকাশিত হয়েছে-
এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

আজকে সন্ধ্যায় সহপাঠীদের নিয়ে আলাপচারিতারএক ফাঁকে কিছু একটা খাবো বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনেকেই। কোথায় খাবেন কী

খাবেন তা নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে মুখরচক বা রসনা বিলাস খাবার খেতে কে না
ভালবাসে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্ন্ধুদের আড্ডায় আলু পরাটা খেতে। ৯ফেব্রুয়ারি নয়ন হাসানসহ এলাকার কয়েকজন ছোট ভাইসহ হাঁটতে হাঁটতে কোনএকসময় পৌছে গেলাম বিরামপুর রেলস্টেশন চত্ত্বরে। ছোট ভাইয়েরা বললো চলেনসবাই একসাথে রাজ্জাকের আলু পরোটা খাই। আমি বললাম কীভবে খাব তারা বললো আলুপরোটার সাথে কয়েক রকমের ভর্তা দিয়ে আলু পরোটা খেতে বেশ মজাই লাগে।আলু পরোটা খেতে খেতে কথা হয় আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বলেন, আগে অন্যেরহোটেলে কাজ করতাম যা মাইনে পেতাম তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হতো,বোঝে উঠতে পারছিলাম না কী করবো! হাতে পয়সা কড়ি নেই, সংসারে অনেক চাহিদাশেষমেষ বৌ্য়ের পরামর্শে বিরামপুর রেলস্টেশনে আলু পরোটার ব্যবসা শুরু করি।দিন দিন খদ্দের চাহিদা বাড়তে থাকায় আমাকেও ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হয়।৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। আলু পরোটার জন্য ভালমানের ময়দা, আলু, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ,তিল, বাদাম, শরিষা,শুটকীমাছ, তেল ও শুকনো খড়ি প্রতিদিন
কিনতে হয়। বাড়িতে সবগুলো উপকরণ পর্যায়ক্রমে আলু পরোটার জন্য ময়দার খুমিরপ্রস্তুত করে বিভিন্ন রকম ভর্তা যেমন আলূ ভর্তা, কাঁচা মরিচ ভর্তা,বাদামভর্তা,তিল ও শুটকি মাছের ভর্তা নিয়ে বিকেল ৫টায় বিরামপুর ষ্টেশনের দক্ষিণপাশে মজাদার ও সুস্বাদু আলু পরোটার দোকান বসাই।সন্ধ্যে হলেই শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লা থেকে বিভিন্ন বয়সেরছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ সহ রেলস্টেশনে আগত যাত্রীগণ এখানে বসেই খাচ্ছেনআবার কেউ কেউ বাসা বাড়ির জন্য পার্সেল নিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিদিন গড়ে প্রায়২৫০-৩০০ জন আলু পরোটা খেতে আসেন। প্রতিদিন দোকানে সব মিলে খরচ ১৭শ থেকে১৮শ টাকা আর আয় হয় ২৬শ থেকে ২৮শ টাকা।বকুলতলা মোড় থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মরিয়ম আক্তার বলেন, সপ্তাহে ২-৩দিনআলু পরাটা খেতে আসি, এখানকার আলু পরাটার স্বাদটাই আলাদা’।টাটকপুর থেকে থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মিলন ইসলাম বলেন, আমি এখানে প্রায়
আলু পরাটা খেতে আসি। এখানকার আলু পরাটা খেতে মজাটাই আলাদা।বিভিন্ন প্রকারভর্ত্তার স্বাদটাই একেবারে অন্য রকম।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন,এখন আলু পরোটার দোকান থেকে যা আয় করি তা দিয়েবেশ সুন্দর আমার সংসার চলে। এই থেকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার খরচ যোগানদিচ্ছি।আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে মানসম্মত ভাবে আলু পরোটা ওবিভিন্ন ভর্তা তৈরি করতে। সে জন্যই হয়তো খাবারের স্বাদে জন্য মানুষজন আলু
পরোটা খেতে আসে।