শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে

প্রকাশিত হয়েছে-

এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে কাঁপছে এপারও। তাতে আতঙ্কে কোনারপাড়ার পার্শ্ববর্তী শূন্যরেখার (নো ম্যানস ল্যান্ড) আশ্রয়শিবিরে থাকা প্রায় ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের হাজারও বাংলাদেশি।
ওপারের গোলাগুলির ঘটনা নজরদারিতে রাখছে বিজিবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার ২২ আগস্ট সকাল ৭ ঘটিকা থেকে বিকট শব্দে মর্টারশেল ও ভারি অস্ত্রের গুলির শব্দ এপারে শুনা যাচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ে গিয়ে পড়ছে একেকটা সেল ও গুলি। থেমে থেমে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি। শূন্যরেখার দিকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে প্রায় ৬শত পরিবারে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। গোলাগুলির শব্দে তারা বেশ আতঙ্কে রয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অধীনস্থ ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক সোহাগ রানা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। মর্টার সেলসহ গুলির শব্দ কানে বাজলেও বাস্তবে সেখানে কী হচ্ছে, বলা মুশকিল।

শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড়চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করে। মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণ জানতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ৩৪ বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।