ডেস্ক রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় কুয়েত প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের হয়ে অংশ গ্রহন করে ১১৭ টি দেশ থেকে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলাদেশি হাফেজ আবু রাহাত কে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর ২২) সকালে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, হাফেজ আবু রাহাত দেশের জন্য যে বিশাল সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে তা আমাদের সকলের জন্য অনেক গৌরবের। তাঁর এই বিজয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বয়ে এনেছে। আমি হাফেজ আবু রাহাত কে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে তার সাফল্যমণ্ডিত ও বরকতময় ভবিষ্যত জীবনের জন্য দোয়া করছি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন হৃদয়ে ধারণের পাশাপাশি তাকে যেন একজন যোগ্য ও মুত্তাকী আলেম রূপে গড়ে ওঠে ইসলামের বৃহৎ পরিসরে খেদমত করার তাওফীক দান করেন, সে জন্যও দোয়া করছি।
সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী
আশা প্রকাশ করে বলেন, শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে ধর্মের প্রতি টান ও ভালবাসা দিন দিন বাড়ছে। ইসলামী শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। নূরানী মাদ্রাসার বদৌলতে দেশব্যপী লাখ লাখ শিশু সন্তান ছোটবেলা থেকেই বিশুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামের আবশ্যকীয় মাসআলা মাসাইল শিখতে পারছে। অভিভাবকদের মাঝে সন্তানদেরকে হফেজে কুরআন ও আলেম রূপে গড়ে তোলার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এখন প্রতি পাড়ায় পাড়ায় প্রচুর হাফেজে কুরআন দেখা যায়। এভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসারের সাথে সাথে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও কল্যাণের দিক থেকেও এটা খুবই ইতিবাচক। কারণ, যারা কুরআনী শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষা লাভ করেন, তারা আদর্শ নৈতিকতার শিক্ষা আয়ত্ব করে বেড়ে ওঠেন এবং শিক্ষাজীবনে সেমতে অনুশীলন করে নিজেদেরকে গড়ে তুলেন। আর এসব দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষতদের নৈতিকতা, সততা ও আমনতদারিতার ফলে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং ইনসাফ ও আদর্শপূর্ণ পরিবার ও সমাজ গড়ে ওঠে।
সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী
হাফেজে কুরআন আবু রাহাত জয়ে দেশবাসীর আনন্দ ও খুশি উদযাপনের প্রশংসা করে বলেন, এতে দেশবাসীর মনে ইসলামের প্রতি, কুরআনের প্রতি ও আলেম-উলামার প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটেছে। এই উদযাপনের ফলে ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো বাড়বে এবং এতে করে ইনসাফ ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সহায়ক হবে।
বার্তার শেষ দিকে সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী অভিভাবকদের প্রতি নিজ নিজ সন্তানদেরকে শিশুকালে নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত ও প্রয়োজনী ইসলামী জ্ঞান শিক্ষাদান এবং হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে পরকালে যেমন আল্লাহর কাছে জবাবদেহীতা থেকে মুক্ত হতে পারবেন, তেমনি সন্তানদেরকে ইসলামী শিক্ষাদানের মাধ্যমে সৎ ও আদর্শ নাগরিক গড়ার কাজে ভূমিকা রেখে দেশ ও জাতির সেবা করার মহৎ উদ্দেশ্যও অর্জিত হবে এবং সকলে উপকৃত হবেন।