শনিবার , ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

হ্নীলার হামিদ হোসাইন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পথে, তাঁর চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা দরকার

প্রকাশিত হয়েছে-

ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

প্রায় গত ৫বছর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে হ্নীলায় এক বাড়িতে গাছ পড়ে পা ভেঙ্গে যাওয়া অতিদরিদ্র পরিবারের দিন-মজুর বাবার এক ছেলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

এখন সে আর্থিক দৈন্যতায় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় থাকায় এখন সে নিজ, পরিবার, সমাজ ও এলাকার প্রতি চরম অভিমানী হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় আমরা সকলে মানবিক সহায়তার মনোভাব নিয়ে তার পাশে না দাড়ালে সে আত্নঘাতী হয়ে উঠতে পারে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭সালের ৩০মে সকালে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম ফুলের ডেইলের দিন-মজুর (বলাপিড়া বিক্রেতা) কামাল হোছনের বাড়িতে ইউক্লিপটাস (বাম) গাছ ভেঙ্গে পড়ে।

তখন বাড়িতে থাকা লোকজন কান্নাকাটি করলে আশ-পাশে লোকজন এসে গাছের নীচে চাপা পড়া কামালের ২য়পুত্র হামিদ হোছাইন (২৯) কে বাম পা ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
সে ঘরে ৪ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় সন্তান। অতিদরিদ্র অসহায় পিতা কামাল হোছন নিজের সহায়-সম্বল যা ছিল এবং সমাজের বিত্তবান ও দানবীরদের সহায়তায় কক্সবাজার আল-ফুয়াদ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৫দিন থাকেন। এরপর ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৩দিন থাকেন।
সেখানে অপারেশনের পর নির্ধারিত সময়ে অপারেশন খুলে নেওয়ার কথা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯সালে ৩য় দফায় জেনারেল হাসপাতালে দুই দফায় ৩৭দিন থাকলেও আর্থিক অভাবে চিকিৎসা সহায়তা মিলেনি। এরপর ২০২১সালে ৪র্থ দফায় কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৫দিন অবস্থান করে।

সুস্থতা হওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া ২লাখ টাকায় অপারেশনের কথা বলা হলেও আর্থিক সংকটে নিরুপায় হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ২৭দিন অবস্থান করে একটু সুস্থ হওয়ার আশায় কাতরালেও কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে রাজি হইনি।
এরপর ৫ম বার চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কক্সবাজারের ডাক্তারের অপারেশন রোগী যেখানে চিকিৎসা নিয়েছে সেখানে করাতে হবে বলে রাজি হইনি। সর্বশেষ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গেলে ৫লাখ টাকায় অপারেশনে ১৩দিনের মধ্যে সুস্থ করে দেওয়ার কথা বলা হয়।

টাকার অভাবে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালেও চেষ্টা চালিয়ে তবে এই অপারেশন এখানে হয়না বলে বিফল হয়ে ফিরে এসেছে বার বার। কিন্তু বুকের মধ্যে হাজারো স্বপ্ন একে রাখা যুবক হামিদের বাবা অতিদরিদ্র এবং দিন-মজুর হওয়ায় এমনিতে সংসার চালাতে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তার উপরে পা ভাঙ্গা ছেলের চিকিৎসা খরচ যোগাড়ের কথা যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত কথা।এরই মধ্যে হামিদ হোছাইনের অপারেশন করা উরুতে (রানে) গত বছরের ৭জুলাই হতে ইনফেকশন শুরু হয়েছে।

প্রতিরাতে বিষাক্ত রক্ত ও পুইজ পড়তে শুরু করেছে। এখন সে আর্থিক সংকটে নিয়মিত ড্রেসিং পর্যন্ত করাতে পারছেনা। তাই সে চরম হতাশ হয়ে বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছে।তার ঘনিষ্ট বন্ধুদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সে দারিদ্রতা আর নিজের প্রতি চরম অভিমানে আতœহননের মতো জঘন্য পথে পা দিতে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
তাই আমরা সকলে একটি জীবন বাঁচাতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার আহবান রইল।

কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল নাম্বার-(০১৮৫৫-৭৭৯২৯০) কথা বলতে পারেন।এই ব্যাপারে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এবং গ্রীন এনভায়রনমুভমেন্ট টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি তারেক মাহমুদ রনী জানান,একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও তার স্বপ্নকে বাঁচাতে আমরা একটি চিকিৎসা সহায়তা বোর্ড গঠন করবো। আশাকরি আমরা সকলে দলমতের উর্ধ্বে উঠে মানবিক কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসব। জয় হোক মানবতা।