সোমবার , ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

২৫ মার্চ কাল রাতে সিআইসি রবিন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে স্থানীয় ছমুদাকে গুম করার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিবেদক,

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১২ নাম্বার ক্যাম্পে নতুন করে শেড নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় এক নারীকে ৩দিন ধরে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ঠ ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি)’র বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে নিজ বসতঘরের আঙ্গিনায় রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করে দেয় পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার হতদরিদ্র ফরিদ আলমের স্ত্রী ছমুদা খাতুন (৪০)। সম্প্রতি অবশিষ্ঠ জায়গায় রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন শেড নির্মাণ কাজ শুরু করে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) রবিন্দ্র চাকমা। এতে সে বাঁধা দিতে গেলে গত ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় তাকে ক্যাম্প পুলিশ আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

পালংখালীর ইউনিয়নের বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী নুরুল বশর বলেন, আমরা অনেক মানবিকতা নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এখন আমাদের উপর নির্যাতন শুরু করেছে। বিশেষ করে ক্যাম্পে নিয়োজিত প্রশাসন রোহিঙ্গাদের পক্ষে নিয়ে স্থানীয় লোকজনকে হয়রানী করছে। ছমুদা খাতুনকে গত ৩দিন ধরে আটকিয়ে রেখে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে সিআইসি রবিন্দ্র চাকমা। দ্রুত তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে স্থানীয়রা কি অপরাধ করেছে? কারণ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এক নিরহ নারীকে গত ৩দিন ধরে আটকিয়ে রেখেছে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) রবিন্দ্র চাকমা। এনিয়ে তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার পরেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।

এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিআইসি ও ক্যাম্প পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।