উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইন-২০২০’ এর খসড়ায় রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইসি। আগামী সপ্তাহে এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে আবারও বসবেন তারা। যদিও এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
খসড়াটি মন্ত্রীসভার অনুমোদন এবং সংসদে পাশের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে শীঘ্রই। আইন পাসের পর কোন রাজনৈতিক দল প্রতিটি স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করতে পারলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে। এ বাধা প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো পার হতে পারলেও ইসলামী দলগুলো পড়ে যাবে বিপাকে। ফলে নিজ দলের মনোনয়ন ও প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অযোগ্য সাব্যস্ত হবে আইনের ভিত্তিতেই, আল্লামা মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি (হাফিজাহুল্লাহ) তার ফেসবুক পোষ্টএ কথা বলেন।
এমনিতেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ইসলামী দলগুলোর নিবন্ধন আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে পারে যেকোনো সময়। যদিও বাধ্য হয়ে কোন কোন ইসলামী দল তাদের গঠনতন্ত্রে পর্যন্ত পরিবর্তন এনেছে। আর এখন তো নতুন করে আরেকটা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং শেষ পর্যন্ত ইসলামী দলগুলোর নিবন্ধন টিকে থাকতে এবং নির্বাচন করতে কারো ইচ্ছার উপর নির্ভর করতে হবে নিঃসন্দেহে!
ইসলামী মূল্যবোধ ও ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে ইসলামী রাজনীতির বিকল্প নেই। এদেশে আমরা সংখ্যায় যত বেশি হই না কেন রাজনৈতিকভাবে মজবুত প্ল্যাটফর্ম না থাকলে একটা সময় সংখ্যালঘু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ক্ষুদ্রগোষ্ঠী কর্তৃক সমর্থিত সরকার অনেক সময় ধরে কোন কোন দেশ শাসন করেছে। কবে বুঝবে এদেশের মুসলমান? কবে ঐক্যবদ্ধ হবে ইসলামী দলগুলো?? কবে বন্ধ হবে ইসলামী দলের নেতাদের পদ-পদবি নিয়ে লড়াই???