মঙ্গলবার , ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১বিজিবির ৪দিনের অভিযানে ৬৯ লক্ষ টাকার মিয়ানমারের অবৈধ গরু আটক

প্রকাশিত হয়েছে-

মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍‍্যংছড়ি:

নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক বিভিন্ন জায়গাতে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৬৯,৬০,০০০/-(ঊনসত্তর লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যবানের বার্মিজ গরু আটক করা হয়েছে গত কয়েকদিনে।

সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে ঘনকুয়াশার মধ্যে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচলনা করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি ) এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্য ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৮টি বার্মিজ গরু আটক করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরুর আনুমানিক সিজার মূল্য- ৬৯,৬০,০০০/-(ঊনসত্তর লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।

সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অবৈধ চোরাচালানের ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনায়ক বলেন, অত্র এলাকায় চোরাচালান কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান। যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।