Author: UkhiyaVoice24

  • উখিয়ার পালংখালী তেলখোলার ইয়াবা সাদ্দাম অধরা,বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা

    উখিয়ার পালংখালী তেলখোলার ইয়াবা সাদ্দাম অধরা,বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা

    নির্বাহী সম্পাদক, প্রতিবেদক

    উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে তেলখোলা গ্রামের ইয়াবা সম্রাট মৃত সোনালীর ছেলে সাদ্দাম (২৬)সিন্ডিকেট পের সক্রিয় বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে গেলে ও এখন প্রকাশ্যে নাইন ওয়ান নামক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকায় ঘুরে ফিরে বীরদর্পে বেচাঁবিক্রী চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। চালান হচ্ছে বৃহত্তর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও।

    সুত্রে জানা যায়, সাদ্দামের মত মোস্ট ওয়ান্টেড মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে আইন -শৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায়।সে জিরো থেকে ইয়াবার উছিলায় এখন কোটিপতি । ইয়াবা পাচারের মামলা থেকে রক্ষা এবং ইয়াবার তকমা লোকাতে লাখ টাকার মিশন নিয়ে পুলিশের নিকট না গেলেও দালাল ফড়িয়ার দারস্থ হয়। তাই তার নেতৃত্বে বিরামহীন পাচারযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তার সিন্ডিকেট।

    সে একেক সময় একেক রকম ইয়াবা পাচারের পদ্ধতি ব্যবহার করে সারাদেশে ইয়াবা পাঠাচ্ছে।সরাসরি মায়ানমার কেন্দ্রীক মাদক কারবারি হওয়ার সুবাদে স্থানীয় ইয়াবা গডফাদারদের সাথে গড়ে তুলেছে ইয়াবা ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট।এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউই।সে গত কয়েক বছর আগেও একজন দরিদ্র বাবার সন্তান ছিলো আর এখন রাজপুত্র।

    সচেতন মহলের দাবী এইসব অবৈধ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের আরো কঠোর নজরদারী প্রয়োজন, স্থানীয়দের দাবী সাদ্দামদের মত ইয়াবা গডফাদারকে আইনের আওতায় না আনলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।

    উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে উখিয়া থানা পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকায় আছে। যখনই মাদকের খবর পাওয়া যাচ্ছে,তখনই অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

  • রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দির নির্মাণে এক লক্ষ টাকা অনুদান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দির নির্মাণে এক লক্ষ টাকা অনুদান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ,উখিয়া প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দির নতুন নির্মিত সংস্করণের জন্য রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এক লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করেন।

    রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দিরের
    নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষনা দিয়েছিলেন, আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় ২৬-০৪-২০২১) সোমবার সকালে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নিজ তহবিল থেকে ক্যাশ (এক লক্ষ) টাকা তুলে দেন রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দিরের নেতৃবৃন্দদের হাতে,
    এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজুরকুল সার্বজনীন বোধিমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক কিরণ বড়ুয়া, উপদেষ্টা ও সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সুমন্ত বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, ধীরেন্দ্র বড়ুয়া, রায়মোহন বড়ুয়া,রন্টু বড়ুয়া ও প্রফেসর শাহ আলম।

    কথা দিয়ে কথা রাখলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

  • হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা।। বাবুনগরী

    হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা।। বাবুনগরী

    হেফাজতে ইসলাম

    চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা পরবর্তী উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শেক্রমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলো।

    বর্তমান হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটি-
    প্রধান উপদেষ্টা – আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী
    আমীর -আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
    মহাসচিব -আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী
    আল্লামা সালাহউদ্দীন নানুপুরী
    অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, পীরসাহেব দেওনা

    এই ৩ সদস্যের আহ্বায়কগন অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করিবেন।

  • আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কওমি ডেস্ক

    কওমি অঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষা এবং উলামায়ে কেরামের শান ও মান বজায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নানামুখী দীনী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নিতে আজ ২৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ, রবিবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর স্থায়ী কমিটির এক সভা জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

    কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়। তারপর আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি ওয়াক্কাসের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীসহ বিশ্বমানবতার জন্য দু‘আ করা হয়।
    সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
    ১। কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে একমাত্র আল-হাইআতুল উলয়া। আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন এক বা একাধিক বোর্ড কিংবা কোন সংগঠন বা ব্যক্তি আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্ত ব্যতীত পৃথকভাবে কওমি মাদরাসা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ বা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে না।
    ২। কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকগণ প্রচলিত সর্বপ্রকার রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবে মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    ৩। আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এবং কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ ও তত্ত¡াবধানের জন্য আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৫ বোর্ডের ৫ (পাঁচ) জন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া থেকে ৫ জন এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সমন্বয়ে সর্বমোট ১৫ (পনের) জনের একটি ‘বাস্তবায়ন সাব-কমিটি’ গঠিত হবে।
    ৪। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসার যে সকল নিরীহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রমাযানের এই রহমতের মাস বিবেচনায় সরকারের নিকট তাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয় এবং নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানী না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
    ৫। পবিত্র রমাযান কুরআন তেলাওয়াতের মাস। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বালা-মুসিবত ও মহামারী দূর হয়। তাই রমাযানের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়ার জন্য এবং রমাযানের পর কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়।
    ৬। আল-হাইআতুল উলয়ার আজকের সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সদস্যগণ হলেন :
    (১) মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন
    (২) মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী
    (৩) মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন।

    অদ্যকার সভায় উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মহাসচিব মাওলানা শামসুল হক; আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামযাহ; আযাদ দীনী এদারায়ে তা‘লীম এর সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীন এর প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর; তানজীমুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস এবং জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।

    এ ছাড়া আরো বিশেষ ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাসের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাসের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

     

    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাস ২৩ এপ্রিল শুক্রবার জুম্মা’র নামাজের পর সোবহানীঘাট নোয়াব আলী জামে মসজিদে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
    সজল তালুকদার থেকে এখন নতুন নাম মোঃ ইশরাক আহমদ রাখা হয়েছে।
    উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলী হজরত আব্দুল লতিফ ফুলতলী (র.) সাহেবজাদা মাওলানা কমর উদ্দীন চৌধুরীর মাধ্যমে শুক্রবার জুম্মা’র নামাজের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন সজল।


    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তার মুসলমান শুভাকাঙ্খীরা তাকে শান্তির ধর্ম ইসলামে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
    সিলেট মহানগর তাঁতী লিগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন “আলহামদুলিল্লাহ!!!
    শান্তির ধর্ম,পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার ধর্ম-ইসলামে তোমাকে স্বাগতম প্রিয় ভাই আমার,ব্যক্তিগত পরিচয় নেই,ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল তালুকদার আজকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সজল দাস থেকে এখন নতুন নাম মোঃ ইশরাক আহমদ রাখা হয়েছে।ফুলতলী শাহেবজাদা মাওলানা কমর উদ্দীন চৌধুরী সাহেবের মাধ্যমে আজ জুমার নামাজের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ভাই আমার। আল্লাহ পাক যেন স্নেহের ভাইকে ইসলাম ধর্মের একজন খাদেম হিসেবে কবুল করেন। আমিন”

  • চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কিছুদিন ধরে একটি অনাকাঙ্খিত বিষয় লক্ষ করছি; একটি বিশেষ মহল সংঘবদ্ধভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এর শীর্ষ নেতৃত্ত্ব- পীর সাহেব চরমোনাই, শায়খে চরমোনাই এমনকি মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর বিরুদ্ধেও নগ্নভাবে ঝাপিয়ে পড়েছে।
    এমনকি তাদের জঘন্ন আক্রমন থেকে বাদ যাচ্ছেন না পীর সাহেবের অন্যান্য ভাইগণও।
    বিশেষ এই মহলটি এমন এমন মিথ্যাচারও ছড়াচ্ছে, যা কোন মুসলমানতো দূরের কথা সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
    কোন একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা হতেই পারে। রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনাও দোষনীয় নয়। আমরা যে কোন গঠনমূলক সমালোচনাকে অবশ্যই শ্রদ্ধা এবং মূল্যায়ন করি। একটি রাজনৈতিক দল গতিশীল এবং ইফেক্টিভ হয় গঠনমূলক সমালোচনার মধ্যদিয়ে।
    কোন রাজনৈতিক দলের এবং কোন জাতীয় নেতার সমালোচনা না হলে, বুঝতে হবে, জনগণের মধ্য থেকে তারা হারিয়ে গেছে।
    অতএব, আমরা প্রত্যাশাই করি, আমাদের দল এবং আমাদের নেতৃত্বের বেশি বেশি গঠনমূলক সমালোচনা হোক। কিন্তু সম্প্রতি একটি শ্রেণী অনলাইনে চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যা খুবই দূঃখজনক।
    তারা কেন, কী উদ্দেশ্যে এহেন মিথ্যাচার ছড়িয়ে অনলাইনে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

    আমরা আরো একটি আপত্তিকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, মহল বিশেষের মিথ্যাচার এবং পরিকল্পিত উস্কানির জবাব দিতে গিয়ে অনেকেই আমাদের হীতাকাঙ্খী বা অনুসারী সেজে, বিভিন্ন রকম আপত্তিকর ও উত্তেজনাকর শব্দ প্রয়োগ করছে।
    আবার কেউ কেউ কোন ব্যাক্তির আক্রমনাত্ত্বক ও উস্কানীমূলক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে, কোন বিশেষ সংগঠনের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
    এসব অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা কোন সংগঠনের জন্যেই কল্যাণকর নয়। ভোগবাদী সেক্যুলার দলগুলোর কথা বাদ দিলে সকল ইসলামী সংগঠনেই ভদ্রতা ও সৌজন্যতাবোধ শিক্ষা দেয়া হয়।
    অতএব, সকল পক্ষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, কোন ইসলামী সংগঠনের বা ব্যাক্তির সত্যিকারের হীতাকাঙ্খী কেউ মিথ্যাচার, অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা প্রকাশ করবেন না। ব্যক্তির উস্কানীর দায় কোন সংগঠনকে দিবেন না।

    আরো একটি বেদনাদায়ক বিষয় আজকে উল্লেখ করছি; কারো নাম বা উপাধী বিকৃত করা ইসলামী শরিয়তে গুনাহের কাজ। দূঃখজনক বিষয় হলো, এই গুনাহের কাজে অনেক ইসলামী সংগঠনের কর্মী সমর্থক এমনকি কিছু অবিবেচক আলেমও ব্যাপকভাবে লিপ্ত হয়ে গেছেন।
    চরমোনাই একটি জায়গার নাম হলেও এটি বিগত পৌনে একশত বছর যাবৎ ‘পীর সাহেব চরমোনাই’ নামে শুধু বাংলা দেশে নয়, বিশ্বময় একটি পবিত্র উপাধী হিসাবে কোটি কোটি মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা এবং ভক্তির জায়গা দখল করে আছে।
    কারো কাছে চরমোনাই ভালো নাও লাগতে পারে; তাই বলে চরমোনাইকে বিকৃত করে উপহাস করার অধিকার কারো নেই।
    কিন্তু আমরা বহুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কিছু বিকৃত মানসিকতার নিচু শ্রেণীর মানুষ অনলাইনে ‘চরমোনাই’ শব্দটিকে বিকৃত করে নোংরা আনন্দ অনুভব করে।
    এই অভদ্র মানুষগুলোকে বোঝা উচিৎ, তাদের বিকৃত উল্লাশে লাখো মানুষের অন্তরে রক্তক্ষরণ হয়।
    অতএব, যারা চরমোনাইকে বিকৃতভাবে উপস্হাপন করে এতোদিন গুনাহের কাজ করেছেন, আশা করি তারা তওবা করে এহেন অন্যায় কাজ থেকে ফিরে আসবেন।
    পরিশেষে সবাইকে বলবো, আমরা সকলের কল্যাণ চাই।
    দলের ভিন্নতা, মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু
    আমরা সবাই দেশটাকে ভালবাসি। একজন মুসলমান হিসাবে আমরা ইসলামের আদর্শের আলোকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। মানুষের মুক্তির জন্যে সত্যিকারের ইসলামী ঔক্য ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্খার বিষয়। সেই কাঙ্খিত ঐক্যের জন্যেই ইসলামী আন্দোন বাংলাদেশ বিগত ৩৪ বছর ধরে প্রহর গুণছে।

    যুগ্ম-মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • চাঁদা না দেয়ায় ঘুমধম ৮নং ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মোঃ রুবেল ও তার বাবা কে মারধর

    চাঁদা না দেয়ায় ঘুমধম ৮নং ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মোঃ রুবেল ও তার বাবা কে মারধর

    কফিল উদ্দিন জয়, নাইক্ষ্যংছড়ি রিপোর্টার

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবনিয়া ০৮ নং ওয়ার্ড এর চাইঙ্গাপ্রু চাকমা এর ছেলে সনজীব তংচংগ্যা(প্রকাশ)কান্ডালী কতৃক চাঁদা না দেয়ায় অত্র ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মো রোবেল ও তার বাবা কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

    ★★রোবেল এর বাবা অভিযোগ করে বলেন,তারা খেটে খাওয়া মানুষ সে কারণে গত ২১-০৪-২১ সকাল ০৮ টার দিকে নুরুল কবীর চৌধুরীর মালিকানাধীন পাহাড়ে কাজ করতে যাই রোবেলের বাবা সহ ১৫ জন মানুষ।তখন উপরে উল্লেখিত সনজীব চাকমা প্রকাশ কান্ডালী চাকমা গিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবী করে।তখন কিসের টাকা, কি জন্য কারন জানতে চাইলে কান্ডালী চাকমা জাফর আলম কে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে।খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে রোবেল পৌঁছে কান্ডালী চাকমার কাছে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কোন কথা ছাড়াই রোবেল কে ঐ একই লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারলে অন্যান্যরা এসে রোবেল নিয়ে সবাই ০৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কে অবিহিত করে।এলাকার মুরুব্বিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,অভিযুক্ত কান্ডালী চাকমা সন্ত্রাসী টাইপের লোক।তার বিরুদ্ধে এলাকার মান্য গণ্য মানুষদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে।উখিয়ার রত্বাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবীর চৌধুরী বলেন,অভিযুক্ত কান্ডালী চাকমা নুরুল কবীর চৌধুরীর কাছেও চাঁদা চেয়ে তিনার গাড়িতে হামলা করেছিলেন।উক্ত বিষয়ে রোবেল বাদি হয়ে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে।
    আমি ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসাবে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ শ্রদ্ধেয় জনাব আলমগীর হোসেন স্যারের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশ রাখছি।

  • তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    আল্লামা বাবুনগরীর আহ্বান

    লকডাউন তুলে দিয়ে দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    তিনি বলেন, গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের নিম্নআয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।

    বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

    রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের ওপর।

    সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, এই রমজান মাসে রিমান্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।

    হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকি এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী-ইফতারও করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।

    দেশবাসীর উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারা দেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দি সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন

  • রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    হেফাজত ডেস্ক

    হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, সারা বছরের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য আমল করার সেরা সময়। আল্লাহর কাছে আনুগত্য ও গোলামী প্রকাশ করা এবং নেকি বৃদ্ধির জন্য গুনাহগার বান্দার আপন সত্ত্বা ও অহং বিলীন করার মাস এই মাহে রমজান।
    .
    হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকী এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার উপর।
    .
    তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের উপর। রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমাণ্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে স্বাচ্ছন্দে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী খেতে ও ইফতার করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।
    .
    গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরো এক সাপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে, এই তথ্য প্রকাশ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, দেশের নিম্নআয়ের গরীব মানুষকে আর হয়রানী ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।
    .
    দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোন সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারাদেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দী সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন।
    .
    সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমীর বলেন, এই রমজান মাসে রিমাণ্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।
  • অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    লালমোহন প্রতিনিধি :

    আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, অহন আমগোরে ভাত কাপড় দে। উক্তিটি জেলে থাকা এক রিক্সাচালকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পাখি বেগমের। আখি বেগম লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামের রিক্সাচালক বাশারের স্ত্রী । কিছুদিন পূর্বে একই এলাকার প্রভাবশালী আহাদ মাস্টারের ভাই শহীদের করা মামলায় রিক্সাচালক বাশারকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।

    পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।

    ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন রিক্সাচালক বাশার। তার বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ মিথ্যে মামলায় জেল খাটছে বাশার, তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পাখি বেগম বলছেন, একদিকে করোনা আর লকডাউন। অন্যদিকে স্থানীয় ফয়শালায় না বসে বারবার আমাদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে কখনো ঘরে আগুন দেয়া, কখনো ভাঙচুর করে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন। আবার মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার স্বামী কে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনটা সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।

    আর এ সুযোগে পাখিকে ঘরছাড়া করতে গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন পাখি, তার সন্তান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছিল, এমন অভিযোগে তার চাচাতো ভাই বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সংবাদ পেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি বেগম কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন।

    এ বিষয়ে আহাদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ভাই শহীদ কে দেখলেই পাখি বেগম বলে, “আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, আমাগোরে ভাত কাপড় দে”।

    অভিযোগ রয়েছে শুধু পাখি বেগমই নয়, এ এলাকার অনেকের জমিই নিজের দাবি করে একের এক মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ কে হয়রানী করছেন আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ গংরা। আহাদ মাস্টার ও তার ভাইদের কারণে জায়গা জমি থাকতেও পরের ঘরে থাকতে হচ্ছে এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার কে। জমি কিনেও নিজ জমিতে ঘর করতে পারেনি আহাদ মাস্টারের হুমকি ধমকি আর মিথ্যে মামলার ভয়ে। ফলে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।

    লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পাখি বেগমের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে তার চাচাতো ভাই দুলাল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে