Category: আন্তর্জাতিক

  • হাফেজ আবু রাহাত কে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী

    হাফেজ আবু রাহাত কে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় কুয়েত প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের হয়ে অংশ গ্রহন করে ১১৭ টি দেশ থেকে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলাদেশি হাফেজ আবু রাহাত কে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
    বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর ২২) সকালে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, হাফেজ আবু রাহাত দেশের জন্য যে বিশাল সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে তা আমাদের সকলের জন্য অনেক গৌরবের। তাঁর এই বিজয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বয়ে এনেছে। আমি হাফেজ আবু রাহাত কে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে তার সাফল্যমণ্ডিত ও বরকতময় ভবিষ্যত জীবনের জন্য দোয়া করছি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন হৃদয়ে ধারণের পাশাপাশি তাকে যেন একজন যোগ্য ও মুত্তাকী আলেম রূপে গড়ে ওঠে ইসলামের বৃহৎ পরিসরে খেদমত করার তাওফীক দান করেন, সে জন্যও দোয়া করছি।
    সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী
    আশা প্রকাশ করে বলেন, শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে ধর্মের প্রতি টান ও ভালবাসা দিন দিন বাড়ছে। ইসলামী শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। নূরানী মাদ্রাসার বদৌলতে দেশব্যপী লাখ লাখ শিশু সন্তান ছোটবেলা থেকেই বিশুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামের আবশ্যকীয় মাসআলা মাসাইল শিখতে পারছে। অভিভাবকদের মাঝে সন্তানদেরকে হফেজে কুরআন ও আলেম রূপে গড়ে তোলার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এখন প্রতি পাড়ায় পাড়ায় প্রচুর হাফেজে কুরআন দেখা যায়। এভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসারের সাথে সাথে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও কল্যাণের দিক থেকেও এটা খুবই ইতিবাচক। কারণ, যারা কুরআনী শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষা লাভ করেন, তারা আদর্শ নৈতিকতার শিক্ষা আয়ত্ব করে বেড়ে ওঠেন এবং শিক্ষাজীবনে সেমতে অনুশীলন করে নিজেদেরকে গড়ে তুলেন। আর এসব দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষতদের নৈতিকতা, সততা ও আমনতদারিতার ফলে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং ইনসাফ ও আদর্শপূর্ণ পরিবার ও সমাজ গড়ে ওঠে।
    সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী
    হাফেজে কুরআন আবু রাহাত জয়ে দেশবাসীর আনন্দ ও খুশি উদযাপনের প্রশংসা করে বলেন, এতে দেশবাসীর মনে ইসলামের প্রতি, কুরআনের প্রতি ও আলেম-উলামার প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটেছে। এই উদযাপনের ফলে ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো বাড়বে এবং এতে করে ইনসাফ ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সহায়ক হবে।

    বার্তার শেষ দিকে সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী অভিভাবকদের প্রতি নিজ নিজ সন্তানদেরকে শিশুকালে নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত ও প্রয়োজনী ইসলামী জ্ঞান শিক্ষাদান এবং হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে পরকালে যেমন আল্লাহর কাছে জবাবদেহীতা থেকে মুক্ত হতে পারবেন, তেমনি সন্তানদেরকে ইসলামী শিক্ষাদানের মাধ্যমে সৎ ও আদর্শ নাগরিক গড়ার কাজে ভূমিকা রেখে দেশ ও জাতির সেবা করার মহৎ উদ্দেশ্যও অর্জিত হবে এবং সকলে উপকৃত হবেন।

  • বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম কে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

    বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম কে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

    নিজস্ব প্রতিবেদন।

    সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত সালমান বিন আব্দুল আজিজ ৪২ তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জনের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমকে উপজেলা প্রশাসন, নাগরপুর এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    এসময় জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, বই, জায়নামাজ, পোশাক ও আর্থিক সম্মাননা ( জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ও উপজেলা প্রশাসনের ৫০ হাজার টাকা) প্রদান করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আতাউল গনি স্যার, বরেণ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান, নাগরপুর উপজেলা পরিষদ, উপপরিচালক ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, টাঙ্গাইলসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

    উপজেলা প্রশাসন,নাগরপুর, টাঙ্গাইল বিশ্বজয়ী নাগরপুর উপজেলার এই কৃতি সন্তানকে সম্মানিত/সংবর্ধনা করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। একইসাথে এ সম্মাননার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য বয়ে আনবে এই প্রত্যাশা ও তার সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

  • ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ

    ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ।

    বুধবার(২৮ অক্টোবর২২) “আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ” এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ডের বাৎসরিক সাধারণ সভা, মজলিসে শূরার অধিবেশন এবং পরীক্ষা কমিটির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি মুফতী হাফেজ আহমদুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও ইত্তেহাদের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা সাঈদুল হক এর সঞ্চালনায় যৌথ সভা অনুষ্ঠান আরম্ভ হয় এবং ইত্তেহাদের অন্যান্য দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন।
    উল্লেখ, চলতি বছরের ২১জুন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী ইন্তেকাল করলে পদটি শূন্য হয়।
    মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ এতদিন ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

  • আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থানকারী তাকরিমকে অভিনন্দন জানান ইসলামী ছাত্র সংস্থা

    আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থানকারী তাকরিমকে অভিনন্দন জানান ইসলামী ছাত্র সংস্থা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের তাকরিমকে ডেইলপাড়া করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।

    সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’য় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম

    ২২ সেপ্টেম্বর-২০২২ খ্রিঃ বুধবার রাতে মক্কার পবিত্র হারামাইন শরিফে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে তৃতীয় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়। হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম এর প্রতিষ্ঠিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা’র শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, তাকরিম গত ২৮ শে মে ২০২২ খ্রিঃ তারিখে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

    কুরআন হিফজের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ অংশ নেয়। হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমকে ১ লক্ষ রিয়াল, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রতিনিধি হিসেবে তার উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

    ১১১ দেশের ১৫৩ জন হাফেজে কোরআন এর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমকে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সমাজিক সংগঠন ডেইলপাড়া করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

  • উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটিকে বিশ্ব শান্তি দিবসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

    অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ বুধবার উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাটে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নোঙ্গর, ব্র্যাক, কর্তৃক সহায়তায় পালন করে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে র‍্যালী, সমাবেশ ও পায়রা উড়িয়ে র‍্যালী ও সমাবেশ উদ্বোধন করা হয়। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া সহকারি কমিশনার ভূমি সালেহ আহমদ,, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, ব্র্যাক প্রতিনিধি অজিত নন্দি, মুক্তিযুদ্ধা প্রতিনিধি পরিমল বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিনিধি, মৌলভী মাস্টার আবদুল খালেদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    শান্তি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ দিবসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব শান্তি দিবসের এবারের থিম জাতিভেদ দূর করে শান্তি আনা। বিগত কয়েক বছর ধরে জাতিভেদ, জাতপাতের সমস্যা বাড়তে থাকায় তা দূর করার জন্যই এই বছর এমন উদ্যোগ এবং থিম নেওয়া হয়েছে।

    ঘোষিত দিবসটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

    দিবসটি ১৯৮২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। তবে সে সময় প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিবসটি পালন করা হতো। এভাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত শান্তি দিবস পালিত হয়। তবে এরপর থেকে পাকাপাকিভাবে ২১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

    এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সদ্ভাব বজায় রাখা। বিশ্বে শান্তি না থাকলে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। পৃথিবীতে শান্তির এই প্রয়োজনীয়তাও মনে করিয়ে দেয় দিবসটি।

  • ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ

    ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদঃ- রংপুর,

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধী পক্ষের উত্থাপন করা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। এর ফলে এবারের মতো ক্ষমতা হারাতে হচ্ছে না তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া এই নেতাকে।

    প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ইমরান খান জয়ী হবেন কি না, সে প্রশ্নে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোট ছিল রোববার। এদিন দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়।

    অধিবেশনের শুরুতেই ওই প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে।

    ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি। এরপরই অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে।

    এর আগে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে সকালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।

    ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।

    পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল।

    তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এরপরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়।

    নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।

    অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হতো। এর মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে।

    এর আগে তিন বছরের মাথায় গত মার্চে অনাস্থা ভোট হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। সেবার সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অনায়াসেই উতরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার অনাস্থা ভোটের আগে ইমরান খান সাফ জানিয়ে দেন, ভোটে যা-ই হোক, পদত্যাগ করবেন না তিনি।

  • ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

    কালের সুন্দর, স্নিগ্ধ ও মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি ইয়েমেন এখন ধ্বংসপুরী। বাতাসে বারুদের গন্ধ। জনগণের মাথার ওপরে ছাদ নেই। পেটে আহার নেই। পরনে ছিন্নবসন। রোগবালাই নিরাময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ইতালীয় ভাষায় ‘ইয়েমেন’ শব্দের অর্থ সুখী অথচ বর্তমানে দেশটি অসুখী দেশের তালিকার শীর্ষে। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাধীন আরব দেশ ইয়েমেন। এটি রিপাবলিক অব ইয়েমেন নামে পরিচিত। ক্ষমতার লড়াই, শিয়া-সুন্নি দ্ব›দ্ব, তেল বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নির্মম বলি ইয়েমেনের তিন কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের প্রয়োজন মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ। দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ২০ লাখ শিশু খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। সেভ দ্য চিলড্রেন প্রদত্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    বিংশ শতাব্দীর শেষে খনিজ তেল আবিষ্কার হলে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রতি মাসে ইয়েমেন থেকে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল নিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এমন অভিযোগ করেছে ইয়েমেনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্মার আল-আজরায়ি। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেন থেকে তেল ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক বক্তৃতায় জাতিসঙ্ঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেন, ইয়েমেনে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে মানবিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। কয়েক মাস আগে নতুন করে আরো ৩০ লাখ মানুষ মানবিক সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ নেই। ফলে ৪০ লাখ লোককে খাদ্য সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছর শেষে এ সংখ্যা গিয়ে ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে। চলমান যুদ্ধ, ব্যাপক দরিদ্রতা, কর্মসংস্থানের অভাব ও আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় ২০২২ সালে ইয়েমেনের সঙ্কট বৃদ্ধি পেতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনকে ২০২১ সালে চরম মানবিক বিপর্যয়ের দেশের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।

    ইয়েমেনের তিন হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের পরিসংখ্যান মতে, বিগত ছয় বছরে এক লাখের বেশি মানুষ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি ২০২১ সালে ১০টি মানবিকভাবে বিপর্যস্ত দেশের তালিকা করেছে। তাতে শীর্ষে আছে ইয়েমেন। অপরাপর দেশগুলো হলো যথাক্রমে – আফগানিস্তান, সিরিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও মোজাম্বিক।

    ‘আরব বসন্ত’ দিয়ে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাব্বুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হলো। যেমন – আলকায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সালেহর প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্যসঙ্কট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইদি শিয়া সম্প্রদায় নেতৃত্বের হাছি আন্দোলনের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিও তাদের সমর্থন জোগায়। এরপর ২০১৪ সালে বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। হাউছি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে আবার ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ এক জোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব (বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০১৮)। আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি আরব ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনকে জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ করে দেশটির ওপর ভয়াবহ সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

    ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হাউছি বিদ্রোহীরা (বাংলা ট্রিবিউন, ২৯ অক্টোবর ২০২১)। ইয়েমেন থেকে হাউছি বিদ্রোহীদের ছুড়ে মারা মর্টার, ড্রোন ও মিসাইল রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে প্রতিনিয়ত। গত মার্চ মাসে সৌদি রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি ‘আরামকো’র বৃহৎ একটি শোধনাগারে ছয়টি ড্রোন দিয়ে আবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকায় ইয়েমেনে আলকায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বেশ সক্রিয়। এখানে ঘাঁটি বানিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইয়েমেনের এ সঙ্কটকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কৌশলগতভাবে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এডেন উপসাগর দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে। জাতিসঙ্ঘের তিনটি সংস্থা একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ছয় বছরের যুদ্ধে উভয় পক্ষ ব্যাপক বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক স্পট রয়েছে ইয়েমেনে। এর মধ্যে এর রাজধানী সানা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সানা বিশ্বের অন্যতম প্রচীন শহরগুলোর একটি। ইউনেস্কো এটিকে World Heritage of Mankind বলে ঘোষণা করেছে। এখানে প্রাচীনকালে ইটের তৈরি বহুতল ভবন সর্বত্র দৃষ্টিগোচর হয়। ইয়েমেনিরা শহর, সড়ক, দুর্গ ও বাঁধ নির্মাণে ছিলেন বেশ পারঙ্গম। রাব আল খালি মরুভ‚মির প্রান্তে অবস্থিত মারিব শহর ছিল শেবার রানী বিলকিসের সাম্রাজ্যের রাজধানী। এখানে ৩০০০ বছর আগে নির্মিত বাঁধ অবশিষ্ট আছে। ইয়েমেন আগে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এদের রাজধানীগুলো দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটিতেই সেই আমলের বিশেষ নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে লোহিত সাগরের সৈকত সন্নিহিত আল-মুখা শহর কফির জন্য ছিল বিখ্যাত। বস্ত্রশিল্প, ধুনো ও বৃক্ষগন্ধরস দেশটির জনগণ ও ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মুহাম্মদ সা: ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে হজরত আলী রা:-কে ইয়েমেন প্রেরণ করেন এবং মহানবী সা:-এর জীবদ্দশায় তাইজের নিকটবর্তী জানাদে ও সানাতে মসজিদ নির্মিত হয়। ইসলামী যুগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো অনেক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানে ইয়েমেন পূর্ণ ও ঋদ্ধ। প্রমিত আরবি উচ্চারণের জন্য ইয়েমেনের প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত। ইয়েমেনে ৬৫ শতাংশ মানুষ সুন্নি ও ৩৫ শতাংশ শিয়া। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রা: ও খ্যাতনামা তাবেঈ হজরত ওয়ায়েস করনি রহ: ছিলেন ইয়েমেনের বাসিন্দা। মহানবী সা: ইয়েমেনকে ভালোবাসতেন; কারণ তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ইয়েমেনি। মহানবী সা: বলেন, ঈমান ইয়েমেনিদের মধ্যে আর আমিও ইয়েমেনি। দাওয়াত ও জিহাদে ইয়েমেনবাসীরা মহানবী সা:-কে সব সময় সহায়তা করেন। হজরত মুয়াজ ইবন জাবাল রা:কে মহানবী সা: ইয়েমেনের গর্ভনর নিয়োগ করেছিলেন। তিনি জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসে অমর কীর্তি রেখে গেছেন। সম্পদের সুষম বণ্টনের কারণে সে সময় ইয়েমেনে জাকাতগ্রহীতা পাওয়া যায়নি। ফলে হজরত উমর রা:-এর শাসনামলে উদ্বৃত্ত রাজস্ব মদিনার কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। ইয়েমেনে আসওয়াদ আনসি নামে এক ভণ্ডনবীর আবির্ভাব হলে ইয়েমেনিরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ফাইরোজ নামে এক ব্যক্তির হাতে ভণ্ডনবী নিহত হন।

    দায়িত্ব গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দেন, ছয় বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি আরব যে লড়াই চালাচ্ছে, আমেরিকা সেই লড়াইয়ে সৌদিকে আর সাহায্য করবে না; বরং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে কিভাবে মীমাংসাসূত্র তৈরি করা যায়, আমেরিকা সে চেষ্টাই চালাবে। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই আর সৌদি রাষ্ট্রকে যুদ্ধে মদদ দেয়া হবে না। বরং ইয়েমেনে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে। তবে এর ফলে সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ৯ মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়। বিগত চার নভেম্বর এক চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের কাছে মধ্যপাল্লার এআইএম-১২০সি-৭/সি-৮ মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। বিশেষ এসব ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর বলছে, ‘গত বেশ কয়েক বছরে সৌদি আরবে আন্তঃসীমান্ত হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। ফলে দেশটিতে থাকা মার্কিন বাহিনী ও ৭০ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক ঝুঁকিতে পড়েছেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র আন্তঃসীমান্ত হামলা থেকে সৌদিকে নিরাপদে রাখতে সহায়তা করবে’ (ডয়েচে ভেলে, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২১; আরটিভি নিউজ, ৫ নভেম্বর, ২০২১)। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিমালা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই অস্ত্র বিক্রি গুরুত্বপূর্ণ। অস্ত্রবাণিজ্য, তেললুণ্ঠন, ভ‚রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে ইয়েমেন-সৌদি সঙ্ঘাত টিকিয়ে রাখতে চায় ক্ষমতাধর দেশগুলো। এসব ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে।

    এ দিকে ইরান তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মুহাম্মদ আল-দাইলামির সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী আসগর খাজি ১৭ অক্টোবর তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উল্লেখ করেন, চলমান সঙ্ঘাত যুদ্ধবিরতি ও সঙ্কটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করবে। যেকোনো রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই বিদেশী হস্তক্ষেপমুক্ত এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। সৌদি আরব ও ইরান দুটি বৈরী দেশ। সিরিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত একাধিক আঞ্চলিক ইস্যুতে প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে আছে দেশ দুটি। ২০১৬ সাল থেকে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সৌদি আরবে এক শিয়া ধর্মগুরুর ফাঁসি কার্যকর করার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর প্রতিবাদে ইরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরই মধ্যে বাদশাহ সালমান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ইঙ্গিতে কয়েক দফা গোপন বৈঠক হয়েছে তৃতীয় দেশে। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘ইরান নিয়ে জটিল পরিস্থিতি আমরা চাই না। আমরা ইরানের উন্নতি চাই, যা এ অঞ্চল ও বিশ্বকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।’ তেহরানের ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সমাধান খুঁজতে রিয়াদ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে কাজ করছে’ (বিবিসি, ২৯ এপ্রিল, ২০২১)। শান্তি ও সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ অনেক সময় অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ মানে বিপর্যয়। যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর ক্রন্দনরোল। সৌদি আরব, ইরান ও ইয়েমেনের নীতিনির্ধারকরা উদার মন নিয়ে এগিয়ে এলে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। যেকোনো প্রস্তাব, আলোচনা ও পদক্ষেপে ইয়েমেনের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। নইলে আগামী দিনে সৌদি আরব ও ইয়েমেন ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতার দাবানল ছড়াবে।

    লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
    drkhalid09@gmail.com

  • ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ইমরান তাওহীদ রানা, ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    ঈদগাঁও উপজেলাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোকদিবস উপলক্ষে ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরীতে জিহাদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্টান শুরু হয়,

    সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল,
    দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও সৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা,
    দুপুর ২টায় অসহায় দের মাঝে খাবার বিতরণ সহ নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়,

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহবুব আলম মাবু, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাজিদ চৌধুরী, দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফরিদুল আলম, উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জিল্লুর রহমান,ঈদগাঁও ইউনিয়ের সহ সভাপতি নুরুল আজিম, সহ সভাপতি ছৈয়দ নুর, মোঃনোমান,সাঈদ,পুতুল,মুরশেদ,
    রিয়াজ উদ্দিন,
    ছালামত উল্লাহ, সোনা মিয়া সহ আরু অনেকে।

  • কুয়েত জাতীয় পার্টি নেতা হাজী মাহমুদ আলীকে বিদায় সংবর্ধনা

    কুয়েত জাতীয় পার্টি নেতা হাজী মাহমুদ আলীকে বিদায় সংবর্ধনা

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কুয়েত জাতীয় পার্টির সভাপতি বাংলাদেশ কমিউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি জালালাবাদ এসোসিয়েশন কুয়েতের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সংগঠক হাজী মাহমুদ আলীর কুয়েত প্রবাস জীবন শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে কুয়েত শাখা জাতীয় পার্টি।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন কুয়েত জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুতফুর রহমান লুদাই মিয়া, সভাপতিত্বে কুয়েত জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন খোকন পরিচালনায়
    গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুয়েত সিটিস্হ রাজধানী হোটেল এর হল রুমে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

    মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন কুয়েতের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী জুবায়ের আহমদ। বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতে’র সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে কুয়েত’র সভাপতি জনাব লুৎফুর রহমান মুখাই আলী, বিশিষ্ট রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোরশেদ আলম বাদল, বাংলাদেশ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যক্তিত্ব ফয়েজ কামাল, জালালাবাদ এসোসিয়েশন কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাজী শওকত আলী, বাংলাদেশ সাহিত্য অঙ্গনে কুয়েতের সভাপতি ও রাজনৈতিক -সামাজিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম ভুলু, জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক হরযত আলী মল্লিক,সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, কুয়েতের বিশিষ্ট ব্যাংকার এস আলম, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ, রাজনৈতিক ও সমাজিক ব্যক্তিত্ব জাফর আাহমদ চৌধুরী, ফ্যামেলী ফোরাম কুয়েত’র সভাপতি আব্দুল হাই ভুইঞা,আঞ্জুমানে আল ইসলা কুয়েত’র সভাপতি আব্দুল মুহিত নাজমুল।

    আরও উপস্থিত বক্তব্য রাখেন ছিলেন কবি ও রম্য লেখক আব্দুল মালিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাদ মিয়া, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠক জাহিদুল হক, ব্যংন্কার আমিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশন কুয়েত’র সভাপতি রকিবুল হাসান,উপদেষ্টা মোহাম্মদ জিন্নাহ্ খান সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান,
    জাতীয় পার্টি কুয়েত রাজ্য শাখার সহসভাপতি আব্দুর রশীদ সিরাজ,জয়নাল পাটোয়ারী,
    ব্যাংকার আমিনুর রহমান,কুয়েত যুবলীগ নেতা আখলাকু আম্বিয়া বাহার,আব্দুল ওদুদ সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ স্মৃতি পরিষদ,সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ, সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠী কুয়েতের নেতা মিনহাজুর রহমান, কুয়েত যুবলীগ নেতা মুরাদুজ্জামান চৌধুরী ফেঞ্চুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি কুয়েত সাধারণ সম্পাদক আহাদ আম্বিয়া খোকন, সংগঠক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হারুন মিয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া,সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রমুখ ।

    বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুয়েত’র প্রবীণ এই কমিউনিটি নেতাকে জাতীয় পার্টি কুয়েত রাজ্য শাখা,ফান্তাস আঞ্চলিক শাখা, ফাহাহিল আঞ্চলিক শাখা, ফেরদৌসির আঞ্চলিক শাখা, সাহিত্য অঙ্গন কুয়েত,ফ্যামিলি ফোরাম কুয়েত, এবং ব্যক্তিগতভাবে নাসীর উদ্দিন খোকনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও মানপত্র প্রদান করা হয়।কবি আজাদ নূর উনার বিদায়ী কবিতা উপহারের মাধ্যমে ফুলেল শুভেচছা দিয়ে বিদায় জানানো হয়।
    অবশেষে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

  • ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার ডলার প্রদান করলেন-ড.আবু রেজা নদভী এমপি

    ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার ডলার প্রদান করলেন-ড.আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংসতায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় দাতা সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়। আজ (০১ জুন ২১) মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ঢাকাস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা কূটনীতিক কোরের ডীন মি. ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের হাতে এই সহায়তা প্রদান করেন।

    ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভুতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করতে সশরীরে উপস্থিত হওয়ায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মি. ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ড.মোজাফফর হোসাইন নদভী, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার মুহাম্মদ আমিন নদভী প্রমুখ।

    রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনায় প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার মুক্তি সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

    তিনি বলেন,ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ড. আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার কঠোর নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন জনগণের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী ত্রাণ সহায়তাও প্রেরণ করেছেন। ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা কূটনীতিক কোরের ডীন ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানকে আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ভিজিটের আমন্ত্রণ জানান এবং ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহকারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের আশ্বাস প্রদান করেন।

    জবাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের নিঃস্বার্থ সমর্থন ও অকৃত্রিম ভালোবাসা ফিলিস্তিন জনগণ সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের পাসপোর্ট থেকে দখলদার ইসরায়েল রাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা লেখা মুছে ফেলায় ফিলিস্তিনের আবাল বৃদ্ধ বনিতার পাশাপাশি ক্ষুদে ফিলিস্তিনিরা পর্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনের শিশু কিশোররা ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনঃ বহালের আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পত্র প্রেরণের উদ্যোগের কথাও জানান। রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনি জনগণের আবেগের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য মাননীয় সাংসদ ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীর আরবী সংস্করণ মাননীয় সাংসদকে উপহার দেন।