Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হোন-পীর সাহেব চরমোনাই

    বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হোন-পীর সাহেব চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি করছে। সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকার শুধু বিশ্বের জন্য নয় ভারতের জন্যও হুমকি স্বরূপ। উগ্রবাদী বিজেপি নেতাদের মহানবী সা. ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমানের কলিজ্বায় আঘাত করেছে। কিন্তু তারা জানে না মুসলমানদের কাছে নবী সা. এর সম্মান ও মর্যাদা তাদের জীবনের চেয়েও বেশি। পীর সাহেব চরমোনাই আজ এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল রাসূল সা.-কে নিয়ে কটূক্তি করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত করেছে। ফলে কোনোভাবেই রাসূল সা.-এর সামান্যতম অসম্মান আমরা বিশ্বের মুসলমানেরা বরদাশত করতে পারি না। আমরা ঘৃণার সাথে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রাসূল সা.-এর অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানালেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো প্রতিবাদ না করায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং ব্যথিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রাসূল সা.-এর অবমাননার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা ঈমানের তাগিদে ময়দানে নেমে আসলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    #কর্মসূচি :
    ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. এর শানে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ১০ জুন’২২ইং শুক্রবার বাদ জুম’আ, বায়তুল মোকাররম মসজিদ উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং একইদিন সারাদেশের জেলা ও মহানগর শাখায় পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঢাকার বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিবেন সংগঠনের মুহতারাম নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

    পীর সাহেব বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল সফল করার আহ্বান জানান।

  • সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মাঝে কাপড়, খাবার ও প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

    আজ (৬ জুন ২০২২) সোমবার রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিষয় এম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান,চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারী আল মোহাম্মদ ইকবাল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা নুরুল করিম আকরাম,চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তরীকুল ইসলাম, জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি ও সাবেক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী, মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মু.সাইফুদ্দীন দৌলতপুরীসহ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে অগ্নিসংযোগে হতাহতদের মাঝে কাপড় খাবার ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বিতরণ করেন ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

  • ২৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

    ২৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ২৫ মে ২০২২ইং বুধবার, সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, ইঞ্জিনিয়ার আব্দল খালেক মিলনায়তনে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ১৫ দফা দাবী আদায়ে আগামী ২৭ মে ২০২২, শুক্রবার, বাদ জুমা হতে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির ব্যবস্থাপনায় “চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ” সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম¥দ জান্নাতুল ইসলাম।
    সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে আজ মানুষ দিশেহারা, এই উর্ধ্বগতি রোধ করতে বাজার কারসাজীদের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দেশকে দুর্ভিক্ষ হতে রক্ষা করতে হবে। আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধমীর্য় ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকাতে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে দুনীর্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তাই  শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একদিকে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে, আন্যদিকে মদের আইন পাশ করছে। এ কেমন নির্লজ্জ নীতি এ সরকারের। অনতিবিরম্বে এ হটকারীতা থেকে সরে আসতে হবে।
    নেতৃবৃন্দ পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত দেশ ও মানবতার পক্ষের ১৫ দফা দাবী আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানান। দাবী আদায়ের অংশ হিসেবে আগামী ২৭ মে ২০২২ চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সামাবেশ সফল করার উদার্থ আহ্বান জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ—সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাাদক মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম শাহীন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান  রবিন প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্য

    ভেন্যু : ইঞ্জিনিয়ার আব্দল খালেক মিলনায়তন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম
    তারিখ ও সময় : ২৫ মে ২০২২ বুধবার, বেলা ১১টা
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধমীর্য় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য— সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দূনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উদ্দে্যগে বিগত ১লা এপ্রিল ২০২২ইং ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় মহাসমাবেশে পঠিত ১৫ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনের মুহতারাম আমীর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৮টি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর অংশ বিশেষ আগামী ২৭ মে ২০২২ইং শুক্রবার বাদ জুমা চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে আজকের সংবাদ ব্রিফিং এর আয়োজন। আজকের সংবাদ বিফ্রিং এ উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক  মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা।
    ১৫ দফা দাবিগুলো হলো—
    ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
    ২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
    ৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।
    ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরি বাদ দিতে হবে।
    ৬. কারান্তরীণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
    ৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।
    ৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
    ৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।
    ১০.নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরণের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
    ১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
    ১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
    ১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (প্রপোরশনেট রিপ্রেজেনটেশন/চজ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
    ১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
    ১৫.সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা—সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
    উল্লিখিত ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আগামী ২৭ মে, শুক্রবার, বাদ জুমা হতে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমীর এদেশের গণমানুষের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্বিক নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম,পীর সাহেব চরমোনাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ ও আরো উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয়, জাতীয়, স্থানীয় ওলামা—মাশায়েখ, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদগণ। আমাদের বিশ্বাস চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯টি সাংগঠনিক ও  প্রশাসনিক জেলা—মহানগর শাখার সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে ২৭ মের বিভাগীয় সমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
    সম্মানিত সংবাদিক ভাইয়েরা আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আন্তরিকতার পরিচয় দেয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়ে এবং আগামী ২৭ মের বিভাগীয় সমাবেশে  সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহনের আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

    ধন্যবাদান্তে
    আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম
    সদস্য সচিব
    চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহা সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটি
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • গণকমিশনের শ্বেতপত্রের বিরুদ্ধে তরুণ আলেমদের বিবৃতি

    গণকমিশনের শ্বেতপত্রের বিরুদ্ধে তরুণ আলেমদের বিবৃতি

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্রটিকে বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশকে বিনষ্ট করে আলেম-উলামা ও সরকারকে মুখোমুখি করার একটি হীন অপপ্রয়াস বলে মনে করেন দেশের তরুণ আলেমরা।

    তারা বলছেন, কথিত গণ কমিশনের এই শ্বেতপত্র প্রকাশ সংবিধানবিরোধী। নাগরিকের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত মানবিক মর্যাদা নীতির প্রতি অশ্রদ্ধা। এই কথিত কমিশনের তদন্ত ও শ্বেতপত্রের নৈতিক ও আইনগত কোন ভিত্তি নাই। বরং এটি সংবিধান, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা মানবিক মর্যাদার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপরাধ।
    শুক্রবার (২০ মে ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দেশের তরুণ চিন্তক ও গবেষক আলেমদের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।

    বিবৃতিদাতা চিন্তক আলেমরা হলেন- বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন গহরপুরী, ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব ও চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন, জামিয়া সাঈদিয়া কারীমিয়া ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ’র দায়িত্বশীল ড. মাওলানা কামরুল ইসলাম ভূইঁঞা, গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি মাকসুদুল হক, জনপ্রিয় ইসলামি লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, এহসান সিরাজ, চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফের শিক্ষক মাওলানা মাহমুদ মুজিব, খাদেমুল ইসলাম জামাত বাংলাদেশের দায়িত্বশীল মুফতি তাসনিম, বাংলাদেশ কওমি ছাত্র ফোরামের সদস্য সচিব মাওলানা জামিল সিদ্দীকি, মাসিক আল জামিআর নির্বাহি সম্পাদক মাওলানা আশরাফউল্লাহ, বাবুবাজার মসজিদের খতিব মাওলানা সালমান প্রমুখ।

    দায়িত্বশীল এ তরণ আলেমরা মনে করেন, কওমি মাদরাসা সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এবং এর সঙ্গে বর্তমানে সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। কওমি মাদরাসার উপর জঙ্গিবাদের অপবাদ দেওয়া মানে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। কওমি মাদরাসা না কখনো জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, না এখনও আছে। এই সংশ্লিষ্টতা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। যদি তাদের কথামতো ধরে নেওয়া হয় মাদরাসা থেকে সবচেয়ে বেশি সদস্য জঙ্গিবাদে রিক্রুট হয়, তাহলে সরকার কেন সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় না নিয়ে স্বীকৃত দিল। সরকার তো পর্যবেক্ষণ না করে স্বীকৃতি দিতে পারে না। কওমি মাদরাসার ওপর জঙ্গিবাদের অভিযোগ তুলে তারা মূলত সরকারকে ব্যর্থ বলার চেষ্টা করেছে। এর সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সম্পর্ক থাকাও অস্বাভাবিক নয়।

    তারা আরও বলেন, এই শ্বেতপত্রটি নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, গত ২ দশকের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধি বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমেই প্রায় ৯০% তথ্য এখানে সংকলিত করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে চূড়ান্ত অসততা ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে এসব পুরাতন তথ্য যাচাই, সম্পাদনা বা হালনাগাদও করা হয়নি। ফলে এই শ্বেতপত্রের পাতায় পাতায় অসংখ্য ভুল তথ্য, অর্ধ সত্য ও নানা রকম অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে। বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশে হঠাৎ এমন একটি অতি উৎসাহী তৎপরতাকে স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটি দেশের সম্প্রীতির পরিবেষ বিনষ্ট করে আলেমদের সরকারের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। তাই দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ গণকমিশনের অতি উৎসাহী কাজের শেকড় অনুসন্ধান করা সরকারের দায়িত্ব

    বিবৃতিতে বলা হয়, কথিত শ্বেতপত্রের প্রধান উপজীব্য করা হয়েছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে এবং সে জন্য দায়ী করা হয়েছে উলামায়ে কেরামকে। এখানে বিবেচ্য বিষয় দুটি। এক. বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা আসলেই বিরাজমান কিনা এবং দুই. সাম্প্রদায়িক সংঘাতের নামে যা দেখানো হয় তাতে আদৌ ধর্মের কোন সংযোগ আছে কিনা এবং ওলামায়কেরাম সেখানে কোন ধরনের ভূমিকা পালন করেন কি না? সত্যনিষ্ঠ যে কেউ স্বীকার করবেন যে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্ব নেই। এখানে হাজার বছর ধরে মন্দির-মসজিদ একসাথে অবস্থান করছে। হাজার বছর ধরে সকল ধর্মের ধর্ম-কর্ম পাশাপাশি পালিত হয়। এটাই চিরসত্য।

    হ্যাঁ, কালে-ভাদ্রে সম্প্রদায়কেন্দ্রীক কিছু অশান্তি দেখা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও সত্য হলো, এর প্রতিটিতে স্থানীয় রাজনীতি, ভূমি ও স্বার্থের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংঘাতকে ধর্মীয় চেহারা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী যে, প্রতিটি ঘটনায় উলামা কেরাম বরাবরই শান্তির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।

    অবিলম্বে কথিত এই শ্বেতপত্র প্রত্যাহার করে ধৃষ্টতামূলক এ কাজের জন্য মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত কথিত গণকমিশনকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ চিন্তক আলেমরা।

  • আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কথিত শ্বেতপত্র”দেশবিরোধী চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন চক্রান্তে মেতেছে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কথিত শ্বেতপত্র”দেশবিরোধী চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন চক্রান্তে মেতেছে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    দুর্নীতিবাজদের আড়াল করে আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে কথিত ‘গণকমিশন’ দুদকে যে শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে তাতে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ওলামায়ে কেরামকে জঙ্গি আখ্যাদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশবিরোধী একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে তথাকথিত গণকমিশনের নামে নতুন চক্রান্তে মেতেছে।

    আজ (১২ মে ২২) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্ব্য় বলেন, দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের নেই। দেশে আইন আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধান বিরোধী। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।

    নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের একটি সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথনির্দেশ করা হয়। সমাজের সকল অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। ইসলামী আলোচকগণ ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ তিতিক্ষা করে থাকেন। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যারা কাজ করছে তারা আর যাই হোক, দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

    ইসলামী আন্দোলনের নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতিবাজ এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের বিষয়ে তাদের নিরবতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। নেতৃদ্বয় এসব উস্কানীমূলক ও বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব যারা এসব উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকারকে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

  • ভোজ্যতেলে ভর্তুকি দিয়ে হলেও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করুন-পীর সাহেব চরমোনাই

    ভোজ্যতেলে ভর্তুকি দিয়ে হলেও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করুন-পীর সাহেব চরমোনাই

    লমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দেশে ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বৈশ্বিক বাজারে নানা কারণে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তা আমরা জানি। কিন্তু বৃদ্ধিকৃত মূল্যের সেই ভোজ্যতেল এখনো বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেনি। বাংলাদেশের বাজারে এখনো আগের দামের তেল মওজুদ থাকা সত্বেও কেজিতে ৪০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি করা সরকারের ব্যবসায়ীতোষণ নীতির বহিঃপ্রকাশ। যা কোটি কোটি জনতার স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।

    ০৭ মে’২২ শনিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বিশ্ববাজারে কোন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সংবাদেই দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে নানা করাসারজি করে দাম বৃদ্ধি করা হয়। অপরদিকে বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে দাম কমানোর কোন নজির সাধারণত দেখা যায় না। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটাই হবে বলে আশংকা করছি। সরকারকে বলবো, দামবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংবাদ শুনেই যেভাবে দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হলো তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমার সংবাদেও যেনো দেশের বাজারে দাম কমানো হয় তা নিশ্চিত করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে উৎপাদিত নানা পণ্যের দামও বর্তমানে মানুষের নাগালের বাইরে। এমতঅবস্থায় ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি জনতার কষ্টকে আরো অসহনীয় করবে। সেজন্য আমরা বলবো, আগে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম সহনীয় করুন। ততদিনে ভোজ্যতেলে ভর্তুকি দিন। দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম সহনীয় হলে তখন বিশ্ববাজারের সাথে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা যাবে।

  • রাজিবপুরে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    রাজিবপুরে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সাব্বির মামুনঃ- রাজিবপুর কুড়িগ্রাম,

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজিবপুর উপজেলা শাখার আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ২৭ এপ্রিল বুধবার রাজিবপুর সবুজবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজিবপুর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুল লতিফ মাষ্টার ও সঞ্চালনা করেন সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ডাঃ শাহাব উদ্দিন।

    উক্ত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাওলানা আব্দুল হামিদ সহকারী সেক্রেটারী কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতে ইসলামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাওলানা মোঃ আনোয়ার হোসেন আমীর মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মফিজুল হক সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ‘ফেডারেশন রাজিবপুর উপজেলা শাখা,মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান সেক্রেটারি রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী,মোঃ রাসেল খান সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজিবপুর উপজেলা শাখা প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটা অতি নির্যাতিত একটি দল যে দলটিতে ২০১০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাৎ বরণ করেছেন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআনের কথা বলে,কুরআনের পথ অনুসরণ করে জন্যই আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্যাতিত দল।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলার মাটিতে একদিন কুরআনের আইন অনুযায়ী দেশ শাসন করবে ইনশাআল্লাহ।

    সর্বশেষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শাহাদাৎ বরণকারী ৫ নেতাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

     

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলার আয়োজিত মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলার আয়োজিত মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

    রেজাউল আজিম (বাঁশখালী প্রতিনিধি)
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার কতৃক আয়োজিত মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনছারী বলেন, যত ধরণের অপকর্ম আছে সব ত্যাগ করে আমাদের তাক্বওয়াবান হতে হবে, তাক্বওয়া হাসিল করতে পারলে আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝান্ডা নিয়ে সফল হতে পারবো।আমাদের উপরস্থ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছে সবাই তাক্বওয়াবান, যার ফলে আমাদের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিন দিন সাফল্যের দিকে অগ্রসর।

    আজ ২২শে এপ্রিল (জুমাবার) বাঁশখালী উপজেলায় অবস্থিত গ্রীন চিলি রেস্তোরায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন:- আগামী ১২ মে বাঁশখালীতে ও ২৭শে মে চট্টগ্রাম মহানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মানিত আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর আগমন উপেক্ষা করে সমস্ত দায়িত্বশীলদের বন্ধু-বান্ধব সবাইকে দাওয়াত দিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান করেন।

    সেক্রেটারী মাওলানা জসিম উদ্দিন এর পরিচালনায় আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা শাহমীরপুর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি, মাওলানা মুফতি ইসহাক সাহেব, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম,প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আমির হোসাইন নাছিরী, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলানা মুজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি বাঁশখালী উপজেলার সভাপতি মাওলানা নুরুল আমিন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাঁশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, ৭নং সরল ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদ পার্থী ছৈয়দুল আলম, বিশিষ্ট মিডিয়া কর্মী এম. রেজাউল আজিম সহ ইসলামী আন্দোলন, যুব আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল, কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সমাপ্ত হয়।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ২৮ নং ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ২৮ নং ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ২৮ নং ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    (২২ এপ্রিল ২২) শুক্রবার বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ রাজপ্রাসাদ কনভেনশন হলে ওয়ার্ড সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে, ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত।

    ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা মাওলানা সানাউল্লাহ নূরী মাহমূদী।
    প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি রিদওয়ানুল হক শামসী প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডবলমুরিং থানা সভাপতি সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ শিপন।
    মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, জনাব শামসুল আলম, মাওলানা নুর হোসাইন, মুফতি ইয়াসিন আরাফাত প্রমূখ

    প্রধান অতিথির
    আলোচনায় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামশূন্য করার পায়তারার মোকাবেলায় শিশুদের ইসলামী শিক্ষায় মনোযোগী হওয়ার এবং চলমান সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। প্রধান অতিথি দেশের সর্বত্র সমস্যা হতে উত্তরণের জন্য ইসলামকে বিজয় করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতলে সকলকে ঐঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

  • ইসলাম ও দেশের প্রয়োজনে যুব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের আহ্বান-সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।

    ইসলাম ও দেশের প্রয়োজনে যুব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের আহ্বান-সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।

    ইসলাম ও দেশের প্রয়োজনে যুব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের আহ্বান-সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।


    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, যুব সমাজ হলো একটি দেশের প্রাণ শক্তি ও মূল চালিকাশক্তি। যুবকদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি দেশ তার চূড়ান্ত য়লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে, তাই দেশ মানবতা ও ইসলামের প্রয়োজনে যুব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

    আজ ১৩ এপ্রিল (বুধবার) পুরানা পল্টনস্থ ফুড ভিলেজ রেস্তোরাঁয় ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে, তারা দেশের অর্থনীতিকে এক মহা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা উত্তরের জন্য যুবসমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

    সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাইমুম সাদী, ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার।
    বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে এবি যুব পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবিএম খালিদ, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, বাংলাদেশ যুব মিশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইমরুল কায়েস, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব জাগপা এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ যুব মিশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইমরুল কায়েস সহ উল্লেখ্য বন্ধুপ্রতিম সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।