Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।

  • আত্মশুদ্ধি ছাড়া জীবনের পরিবর্তন সম্ভব না-পীর সাহেব চরমোনাই

    আত্মশুদ্ধি ছাড়া জীবনের পরিবর্তন সম্ভব না-পীর সাহেব চরমোনাই

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    নিজেকে ইসলামের পথে পরিচালনা করতে , এবং আলোকিত সমাজ গড়তে আত্মশুদ্ধি ছাড়া সম্ভব না। আগে নিজেকে শুধরাতে হবে, তারপর সমাজ, তারপর রাষ্ট্র। ইবাদতের পূর্বশর্ত আত্মশুদ্ধি করা, যার মধ্য দিয়ে অহংকার, হিংসা এবং আমিত্ব দূর হয়।

    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠের তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির এর আজ ৬ই জানুয়ারি ২০২৩ দ্বিতীয় দিনে জুমার পূর্বে বয়ান পেশ করেন মুজাহিদ কমিটির আমির আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

    উক্ত মাহফিলে আরো বয়ান পেশ করেন, চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল হেদায়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার, ডক্টর আ ফ মা খালিদ হোসাইন, ইসলামী চিন্তাবিদ, তরুণ বক্তা, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ, চট্টগ্রাম সেগুনবাগান মাদ্রাসার পরিচালক, মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।

    ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠের মাহফিল গত পাঁচই জানুয়ারি ২০২৩ বাদ জোহর আরম্ভ হয়। আগামী ৮ ই জানুয়ারি বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।

  • Untitled post 8284

    বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হলে চরমোনাই আর তাবলীগ এই দুই দলের দ্বারাই হবে-আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম হাটহাজারীতে (১০ সেপ্টেম্বর২২) শনিবার বাদ এশা তিরমিজি (সানী) দরস দেন জামিয়ার সাবেক ২য় মোহতামিম আল্লামা আব্দুল ওয়াহহাব (রহঃ) এর সাহেবজাদা আল্লামা আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    হাদীসের দরস দেওয়ার মধ্যে এক হাদীস এসেছে যে রাসূল সাঃ বলেছেন ইসলাম যদি কায়েম করতে হয় তাহলে প্রথমে নিজের মধ্যে ইসলাম কায়েম করতে হবে এরপর নিজের ঘরে কায়েম করতে হবে এরপর বাহিরে।

    হাদিসের কথার সাথে কথা মিলিয়ে হুজুর বলেন যারা নিজের মধ্যে ইসলাম না রেখে অর্থাৎ নিজে দাড়ি টুপি নামাজ ইত্যাদি এগুলো কিছু না করে দেশে ইসলাম কায়েম করবো বলে মাঠে লাফান এদের দ্বারা পূর্বেও ইসলাম বিন্দু পরিমাণ কায়েম হয় নাই এখনো হচ্ছেনা সামনেও হবেনা।

    পক্ষান্তরে হাদীসের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে এই দুই দলের, চরমোনাই আর তাবলীগ, এদের নিজের মধ্যে এবং ঘরের মধ্যেও ইসলাম আছে এবং বাহিরেও চেষ্টা করতেছে, সুতরাং এদের দ্বারাই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

  • পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতীয় আধিপত্যকে স্পষ্ট করেছে-মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতীয় আধিপত্যকে স্পষ্ট করেছে-মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অনুরোধ করে দেশের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুন্ন হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী সরকারকে মনে রাখা দরকার ভারত সবসময় নিজেদের স্বার্থের চিন্তা করে। আর এ সরকার ভারতকে দিতেই পছন্দ করে। শুধু দিয়ে খুশি করতেই তৃপ্তি পায় সরকার। কারণ এ সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোনভাবেই নির্বাচিত সরকার নয়। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে।

    আজ ২৪ আগস্ট, ২০২২ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বভৌমত্ববিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

    মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী’র মতো। এর আগে বলেছেন বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তার বক্তব্যের দিনই পার্বত্য অঞ্চলে একজন মা ক্ষুধার জ্বালা নির্বারণে সন্তান বিক্রি করতে বাজারে তোলেন; যা মিডিয়ায় প্রকাশিত। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে। তিনি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ অনেক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ভারতের সাথে কী চুক্তি হবে, দেশবিক্রির চুক্তি? সফরে যাওয়ার আগে কী চুক্তি হবে; তা জনগণকে জানাতে হবে।

    তিনি বলেন, ভারতের সাথে কোন চুক্তি দেশবাসী মানবে না। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য। কাজেই দেশদ্রোহী সরকার এক মুহুর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশ সকলের; এদেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তিনি নির্লজ্জ সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতের অনেক নাগরিক বাংলাদেশে চাকুরী করে, অথচ বাংলাদেশের লাখ লাখ যুবক বেকার। এভাবে ভারতের তাঁবেদারি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

    তিনি চা শ্রমিকদের সম্পর্কে বলেন, চা শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে আসছে। ১২০ টাকা মজুরী হয়? দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, আর চা শ্রমিকরা তাদের ৩০০ টাকা মজুরি দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে, এটা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।

    সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের মূল্য প্রতি কেজিতে ৭ টাকা বৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্য আকাশচুম্বী করে কৃষকদেরকে কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহমূলক বক্তব্য কৃষকদের সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই না। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনগণের জীবন শেষ। সরকার দলের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণকে শোষণ করছে।

    মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, আমার দেশের ট্রানজিট সুবিধা তাদেরকে প্রদান করেছেন অথচ দৃশ্যমান কিছুই আদায় করতে পারেননি। এভাবে একটা দেশকে ধ্বংস হতে দেয়া যায় না। ভারতের আশীর্বাদে ক্ষমতা দখল করে রাখার স্বপ্ন জনগণ দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশবিরোধী শক্তি আজ আওয়ামী সরকারের মাথা খেয়ে ফেলেছে। সরকার নিজেদেরকে স্বাধীন রাখতে ব্যর্থ হয়ে দেশটাকেও বিকিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিদের অসংলগ্ন কথাবার্তা এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ চোরদের হাত থেকে এখন ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। তিনি বলেন, সরকার দিল্লির ইশারায় সবকিছু করছে।

    অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, লাল সবুজের পতাকা এখন দালালদের কবলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। ইভিএম তথা বাটপারি মেশিনে ভোট করার খায়েশ জনগণ পূরণ করতে দেবে না।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় গেলেও এখন আর ভারতের সহযোগিতায় যেতে পারবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। সরকারের দেউলিয়াত্বও ভারত বুঝতে পারছে, এ কারণে ভারত সামনে আর সহযোগিতা করবে না, তা আঁচ করতে পেরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাহায্য চেয়েছে। আওয়ামী লীগ মেরুদণ্ডহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

    মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারেনি। ব্যর্থ ও অথর্ব সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে উঠছে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সরকারের পায়ে নীচে মাটি নেই, জনসমর্থন তলানীতে। এজন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভারত পাঠিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রাখার জোর অনুরোধ করে দেশদ্রোহী কাজ করেছে। তার বিচার হতে হবে। ১৫০ আসনে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম-এ ভোট করার স্বপ্নসাধ জনগণ রুঁখে দিবে।

  • সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশীদের বিপুল পরিমাণ টাকা প্রসঙ্গে প্রকৃত অবস্থা তুলে যে বক্তব্য দিয়েছেন এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে, আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই। সুইস ব্যাংকসহ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে দুর্নীতিবাজরা যে দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এখন জনগণ জানতে চায়, এরা কারা। সরকার কেন তাদের পরিচয় ধামাচাপা দিতে চায়? তাহলে কি সরকার এই দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে জড়িত? তিনি সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের ব্যাখ্যা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, দুদককে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে কারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, দুদক তাদের দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুফতি ফয়জুল করীম সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড এর রেফারেন্সে বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। যা সচেতন মহলকে বিস্মিত করেছে।

    আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কার্যালয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

  • দেশে সঙ্কট ক্রমেই আরো ঘণীভূত হচ্ছে – শায়খে চরমোনাই

    দেশে সঙ্কট ক্রমেই আরো ঘণীভূত হচ্ছে – শায়খে চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, ৫১ বছরের বাংলাদেশের আজ এক বিপদজনক পরিস্থিতি। এই বিপদজনক পরিস্থিতির সুরাহা করতে হলে ভোটারবিহীন সরকার পরিবর্তন করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে একর পর এক সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছেই। কৃষিপ্রধান দেশে সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বৃদ্ধি করায় দেশে নতুনভাবে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য সঙ্কট দূর করতে এবং কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা দিতে হবে। সেইসাথে সারের বর্ধিত দামের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সঙ্কটের অন্যতম খাত হবে দেশের কৃষি উৎপাদন। দেশের কৃষক পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করলেও সবসময় ফসলের লাভজনক মূল্য পান না। সারের মূল্য বৃদ্ধিতে ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদিত মূল্যের ওপর। এর ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্কট বাড়বে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কমমূল্যে প্রকৃত কৃষকের কাছে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। দেশে ভয়াবহ বন্যায় বেশ কয়েকটি জেলার কৃষক তাদের কৃষি ফসল নষ্ট, বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে এক মহাসঙ্কটে নিপতিত। এরমধ্যে সারের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের চরম বিপাকে ফেলে দিবে।

    আজ ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার, সকাল ১০টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে নগর সদস্য তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তারবিয়াতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।

    বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন আহমদ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, মো. হায়দার আলী প্রমুখ।

    তিনি বলেন, রেল ও সড়পথ দুর্নীতি ও মৃত্যুর বিভীষিকাময় আধারে পরিণত হয়েছে। আদমশুমারীতে ভুল তথ্য, রিজার্ভের প্রকৃত মজুদ নিয়ে ছলচাতুরী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্যে কারসাজী, প্রাথমিক জ্বালানী সংগ্রহে ভঙ্গুর অবস্থা।

  • সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ২৮ জুন মঙ্গলবার ভারতের আসাম রাজ্যের মেঘালয় সীমান্তবর্তী এলাকা সুনামগঞ্জের বাংলা বাজার, হরিনা পাটি ও গঙ্গারচর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ত্রাণ বিতরণ চলছে। তিনটি ইউনিয়ন পুরো এলাকা বন্যায় প্লাবিত। অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

    এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ‘দূর্যোগ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ টিম’-এর নেতৃত্ব আছেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। ত্রাণ তৎপরতায় আজ উপস্থিত আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জেলা সদর মাওলানা নুরুল আমিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক, সুনামগঞ্জ বামুক সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জামাল গাজী সোহাগ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শরিফুল্লাহ মজুমদার, যুব আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নিজাম, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম হোসেন, সদর আন্দোলন সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান, যুবনেতা শাহীন খান প্রমুখ।

  • সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতারে, নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াত

    সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতারে, নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াত

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন।

    এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতার করেছে। সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাওয়া ও নিজ এলাকা শুলকবহর ওয়ার্ডে পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়ানোই কি তার অপরাধ? নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেফতার-নির্যাতন করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা কি থামানো যাবে? মানুষের কল্যাণে কাজ করা কি বন্ধ করা যাবে? এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অবিরত জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’

    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র এবং সরকারী জুলুম-নির্যাতন বুকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সকল তৎপরতা প্রকাশ্য ও নিয়মতান্ত্রিক। জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সরকারের একটি রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।’

    নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার তার অপকর্মের কারণে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। সে কারণে তারা জামায়াতের ইসলামীর অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারছে না। দেশে এবং বিদেশে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হচ্ছেন। সরকার যদি শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ না করে, তাহলে অতীতেও কোনো স্বৈরাচারীর শেষ রক্ষা হয়নি, এই সরকারেরও হবে না ‘

    অবিলম্বে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীসহ সারাদেশে আটক সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

  • ভারতীয় হাইকমিশন অভিমূখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানে পুলিশের বাধা

    ভারতীয় হাইকমিশন অভিমূখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানে পুলিশের বাধা

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান সরকারকে মুসলমানদের সরকার বলা যায় না; এটা মোদির আজ্ঞাবহ সরকার। তিনি বলেন, অবিলম্বে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে। ভারতে নবীপ্রেমিকদের ঘর-বাড়ী বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী অসভ্য সরকারের কাজ। ভারতে এখন মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। তারা মুসলমানদের ঘর-বাড়ী নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা সকল ধর্মাবলম্বিদের নিয়ে সহাবস্থানে বসবাস করছি। মুসলমানরা অসভ্য জাতি নয়। তিনি ভারতের অন্যায়ের কারণে যেন বাংলাদেশে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানো হয়, এজন্য সকলের প্রতি আহ্বানও জানান।

    আজ ১৬ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার, বেলা ১১টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ভারতে বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক রাসূল (সা.) এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব এবং নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব বিশাল জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বেলা ১২.১৫ মিনিটে দূতাবাসের উদ্দেশ্যে গণমিছিল দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই-এর নেতৃত্বে শুরু হয়। বায়তুল মোকাররম, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল মোড় হয়ে শান্তিনগরে পৌঁছলে পুলিশ গণমিছিলের গতিরোধ করতে কাঁটাতারের ব্যারিকেট দেয়। এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দলের আমীরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দলের আমীরের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে গণমিছিল সমাপ্ত করে সেখান থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এবং কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন।

    গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ আব্দুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান শেখ, ছাত্রনেতা নূরুল করিম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ।

    দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকীর পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, আলহাজ আমিনুল ইসলাম।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারত সরকারকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকারী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শত কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন মহানবী (সা.)-এর সম্মানহানী করা এবং প্রতিবাদী জনতার সম্পদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার যে হিংস্রতা বিজেপি শাসিত ভারত দেখাচ্ছে, তা সভ্যতার এক কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিজেপির এই বর্বরতা ভারতের ভিত্তি-শর্ত ভঙ্গ করেছে। এর পরিণতিতে ভারতের অখণ্ডতা হুমকিতে পড়বে, গোটা উপমহাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে।

    বিজেপির উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরন অব্যহত থাকলে বাংলাদেশের শান্তিকামী জনতা সকল প্রকার ভারতীয় পণ্য-সেবাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে সর্বাত্মক বয়কট করবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সভ্যতার এই উৎকর্ষের যুগে বিজেপি যা করেছে, তা রীতিমত প্রস্তর যুগীয় বর্বরতা। এই বর্বরতা অব্যাহত থাকলে বিশ্বব্যাপী শুভবুদ্ধির মানুষ সম্মিলিতভাবে এই বর্বরদের প্রতিহত করবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৯২% মুসলমান ও শতভাগ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার বিজেপির বিভৎস সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কোন নিন্দা পর্যন্ত জানাতে পারেনি। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। পীর সাহেব চরমোনাই সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে চলতি সংসদেই ভারতীয় আচরনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। অন্যথায় আপনাদেরকেও বিজেপির সহযোগী বলে ধরে নেয়া হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব শক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভারতের বর্বরতা রোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। ভারত নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার দাবি করলেও হিন্দু ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের ধর্ম পালন করতে দিচ্ছে না। বিশ্ব মিডিয়ায় উঠে আসছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে সে দেশের মুসলমানরা।

    মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ভারতের এই হিংস্র সাম্প্রদায়িকতার কোনো প্রভাব বাংলাদেশের সম্প্রীতির মধ্যে পড়বে না, ইনশাআল্লাহ। তবে ভারতকে সেজন্য মূল্য দিতে হবে।
    দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। কিন্তু যে অবস্থা চলছে তাতে ভারত মানবতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ফলে বাংলাদেশের জনতাও ভারতকে অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে রাখবে।

  • কক্সবাজারে মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে  বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজারে মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার।
    কক্সবাজার বদর মোকাম মসজিদ থেকে শুরু করে  শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
    ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তার সহধর্মিণী আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রকর্তৃক তার নিন্দা জ্ঞাপনের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কক্সবাজার  জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার ইসলাম ও মুসলিমদের  উপর খড়গহস্ত হয়। তাদের কাছে গরুর মূল্য থাকলেও মুসলমানদের রক্তে কোন মূল্য নেই। সম্প্রতি মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ ও তার সহধর্মিণী নিয়ে কটুক্তি করে তারা সাম্প্রাদায়িক ও জঙ্গিবাদী আচরন করেছে আমরা এমন নোংরা হস্তক্ষেপের ঘোর নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
     
    এতে,জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় মিছিলোত্তর সমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা: মো: আমিন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ইসমাইল জাফর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান, বামুক জেলা ছদর আলহাজ¦ বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা ফজলুল করিম, মো: আবদুল খালেক,  মো: আনোয়ার হোসাইন, আবদুর রউফ লাভলু, মো: তকি উদ্দিন সিকদার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জামাল উদ্দিন তাওহীদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও: শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন কায়সার সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
    বিক্ষোভ মিছিলে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল সহকারে মুসল্লীরা অংশ গ্রহণ করেন। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ ও ভারতীয় দুতকে ডেকে সকল তাওহীদি ও নবী প্রেমিক জনতার পক্ষথেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে উক্ত আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
    এক পর্যায়ে জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী শেষ বক্তব্যে  বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায়  সেখানে কোনো ধর্মীয় উস্কানি বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের দাবী বাংলাদেশেও ধর্মীয় সংঘাত এড়াতে অতিসত্ত্বর সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক। এবং মুসলমানদের প্রাণে রক্তক্ষরণ রোধে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করুন।