Category: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামে নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আল্লামা আহমদ শফি রহ. ও আল্লামা শাহ্ তৈয়ব (রহ:) স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আল্লামা আহমদ শফি রহ. ও আল্লামা শাহ্ তৈয়ব (রহ:) স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    গতকাল মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ২০২০ ইং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে “শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহ ও আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়্যব রাহিমাহুল্লাহ এর জীবন কর্ম ও অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও পার্টির নায়েবে আমির আল্লামা ডঃ আ ফ ম খালিদ হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মাওলানা ক্বারী ফজলুল করিম জিহাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেখল মাদ্রাসা সিনিয়র উস্তায মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, পার্টির কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সচিব অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সচিব মাওলানা এরশাদ বিন জলাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর শায়খুল হাদিস মাওলানা জিয়াউল হুসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দিন আফতাব, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিদারুল আলম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ কাসেমী, উত্তর জেলা নেতা মাওলানা জুনাইদ বিন জলাল, কক্সবাজার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফরিদুল হক, ইসলামী ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ওয়াহিদুল আলমসহ প্রমুখ।

  • আল্লামা মুফতি গোলাম কাদের সাহেবের ইন্তেকালে=ড: আবু রেজা নদভী এমপি’র গভীর শোক জ্ঞাপন

    আল্লামা মুফতি গোলাম কাদের সাহেবের ইন্তেকালে=ড: আবু রেজা নদভী এমপি’র গভীর শোক জ্ঞাপন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া হামিউস সুন্নাহ মেখল মাদরাসার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ ও চট্টগ্রাম বায়তুস সালাম মাদরাসার প্রধান মুরব্বিী, পীরে কামেল হযরত আল্লামা মুফতি গোলাম কাদের ছাহেব প্রকাশ সাতকানিয়া হুজুরের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। শোক বাণীতে ড. আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, বুজর্গ আলেমদের বিষয়ে বলা হয়, ‘মওতুল আলেমে, মওতুল আলাম’ অর্থাৎ একজন আলেমের মৃত্যু যেন একটি জাহানের মৃত্যু। আলেমরা হচ্ছেন- পৃথিবীর বুকে হেদায়েতের বাতিস্বরূপ। সুতরাং, অল্প সময়ের ব্যবধানে এতজন প্রতিথযশা, শ্রদ্ধাভাজন ও শীর্ষস্থানীয় আলেমের ইন্তেকাল নিঃসন্দেহে দেশ-জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় ও অশনি সংকেত।

    তিনি বলেন, প্রথিতযশা আলেমদের মধ্যে মৃত্যুর মিছিলে সর্বশেষ যোগদানকারী মাওলানা মুফতি গোলাম কাদের (রাহঃ) ছিলেন কওমী ঘরানার অন্যতম মুরব্বী। তিনি পুরো জীবনটাই অতিবাহিত করেছেন ইলমে দ্বীনের খেদমতে। সুন্নতে রাসূলের পরিপূর্ণ অনুসরণ ছিল তাঁর অন্যতম চারিত্রিক ভূষণ। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য কৃতি ছাত্র, যাঁরা বিভিন্ন অঙ্গনে দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত। ড. আবু রেজা নদভী এমপি আরো বলেন, স্বল্পভাষী অত্যন্ত অমায়িক স্বভাবের এই বুজর্গ আলেম মুফতিয়ে আজম হযরত মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ’র দীর্ঘ ৩৫ বছরের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত প্রিয় ছাত্র। তিনি আমার মরহুম আব্বা আল্লামা ফজলুল্লাহ (রাহঃ) এরও ছাত্র ছিলেন এবং ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখতেন।

    তিনি গত ১ মার্চ আমার দাওয়াতে সাতকানিয়া মাদার্শা বাবুনগর মাদ্রাসায়ে ইয়াছিন মক্কী আল্ কাছেমিয়্যাহ, হেফজখানা,ও এতিমখানা এবং আল্লামা নুরুল হুদা স্মৃতি সংসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে বিশেষ মেহমান হিসেবে তশরীফ রেখেছিলেন। আজীবন শিক্ষাদীক্ষার পাশাপাশি তিনি তাওয়াতে তাবলিগের মেহনতেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন।
    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত নানান রোগ ও বিশেষভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ অক্টোবর রাত ১০.৪৫ টায় হযরত আল্লামা মুফতি গোলাম কাদের ছাহেব ইন্তেকাল করেছেন-ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ

  • বরিশালে জেলা স্কাউটের পক্ষ থেকে মাস্ক এবং সচেতনতা মূলক ফেস্টুন বিতরণ সম্পন্ন

    বরিশালে জেলা স্কাউটের পক্ষ থেকে মাস্ক এবং সচেতনতা মূলক ফেস্টুন বিতরণ সম্পন্ন

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

    আজ ১৯ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ঘটিকায় বরিশাল নগরীর লঞ্চ ঘাট জেলা স্কাউট ও স্কাউট লিডারদের পক্ষ থেকে লঞ্চ ঘাটে আগত যাত্রীদের মাঝে মাস্ক এবং সচেতনতা মূলক ফেস্টুন বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান।

    উক্ত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জেলা স্কাউট পাপিয়া জেসমিন, আঞ্চলিক পরিচালক জেলা স্কাউট আক্তারুজামান, তুষার কান্তি এলটি জেলা স্কাউট, মিজানুর রহমান এলটি জেলা স্কাউটসহ অন্যান্য লিডার বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা স্কাউট এর পক্ষ থেকে নো মাস্ক নো সার্ভিস সম্বলিত ফেস্টুন এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা স্কাউট পাপিয়া জেসমিন এর উদ্যোগে ৫ হাজার মাস্ক সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।

    পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান এর কাছে বিতরণের জন্য ৫ হাজার মাস্ক ও ৫০ টি ফেস্টুন হস্তান্তর করেন স্কাউট লিডার বৃন্দরা।

    উক্ত অনুষ্ঠানে লঞ্চ ঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসক মাস্ক পরিহিত ব্যতীত আগত যাত্রীদের মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন।

  • চট্টগ্রামের কালুঘাটে নতুন সেতু : উচ্চতা হবে ১২.২ মিটার, ব্যয় বাড়ছে তিন গুণ

    চট্টগ্রামের কালুঘাটে নতুন সেতু : উচ্চতা হবে ১২.২ মিটার, ব্যয় বাড়ছে তিন গুণ

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কালুরঘাট সেতুর উচ্চতা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দাবি অনুযায়ী ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) মো. গোলাম মোস্তফা।
    যদিও শুরু থেকেই ৭ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করতে চেয়েছিল রেলওয়ে।

    গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ হবে। যদিও আমরা ৭ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই আমরা ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় সেতুটি তৈরি করব।’

    এক্ষেত্রে তিন গুণ ব্যয় বাড়বে বলে জানান গোলাম মোস্তফা। বলেন, ‘৭ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করতে খরচ ধরা হয়েছিল দুই হাজার কোটি টাকা। ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় করতে গেলে তিন গুণ ব্যয় বাড়বে। এক্ষেত্রে সেতুর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ছয় হাজার কোটি টাকায়।’
    তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নতুন নির্দেশনার পর নতুন করে দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। এছাড়া নতুন নকশা প্রণয়ন ও ভূমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য বিষয় নতুন করে করতে হবে।’
    রেলওয়ের এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রেল লাইন অ্যালাইনমেন্টে উচ্চতা সর্বোচ্চ ৯ মিটার পর্যন্ত করা যাবে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, দুঃসময়ে জাহাজ পারাপারে সেতুটি যাতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে সেজন্য সেতুর উচ্চতা বাড়াতে হবে।

    নৌপরিবহন অধিদফতর দেশের সব নদীকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে সরকারি গেজেট প্রকাশ করেছে। যেখানে দেশের প্রধান নদীসমূহ যেমন- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, গোমতী, কর্ণফুলীসহ বেশ কয়েকটি নদী প্রথম শ্রেণিভুক্ত। এর মধ্যে কর্ণফুলী নদীর বঙ্গোপসাগর মোহনা থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত অংশকে প্রথম শ্রেণিভুক্ত এবং শাহ আমানত সেতু থেকে হালদা নদীর মোহনা পর্যন্ত দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।

    নৌপরিবহন অধিদফতরের গেজেট অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির নদীতে সেতু করতে হলে তার উচ্চতা হতে হবে ১৮ দশমিক ৩ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত নদীতে সেতু হলে উচ্চতা হতে হবে ১২ দশমিক ২ মিটার আর তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত নদীতে সেতু হলে উচ্চতা হতে হবে ৭ দশমিক ২ মিটার। তাই কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট পয়েন্টে রেলওয়ে সেতুটি ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় করতে হবে।
    ব্রিটিশ আমলে মিয়ানমারের (বার্মা) সঙ্গে সৈন্য আনা-নেয়ার কাজে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯১৪ সালে। ১৯৩০ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। ৯০ বছর বয়সী সেতুটি ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে মরণদশায় পরিণত হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে দিনে লক্ষাধিক মানুষ সেতুটি ব্যবহার করছেন।

  • ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত ‘শাহ ওয়ালিউল্লাহর চিন্তাধারা, দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আল্লামা শাহ আহমদ শফি’র জীবনাল্লেখ্য’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের এক প্রস্তুতি সভা ১৭ অক্টোবর শণিবার রাত আটটায় নগরীর চান্দগাঁও রূপালী আবাসিক এলাকাস্থ নদভী প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রধান মেহমান ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশের) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন বায়তুশ শরফের সম্মানিত পীর সাহেব আল্লামা মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব আল্লামা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।
    উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার,
    মাদরাসাতুল মদিনা ঢাকা’র প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল আজিজী, প্রফেসর মোহাম্মদ শফিউর রহমান।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ

  • এবারো কালুরঘাটে নতুন সেতু হবেনা?

    এবারো কালুরঘাটে নতুন সেতু হবেনা?

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কর্ণফুলীর যে অংশে সেতু হবে সেখানে ১২ দশমিক ২ মিটারের নীচে সেতু করা যাবে না বলে আপত্তি জানায় বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএর এমন আপত্তিতে আবারো অনিশ্চয়তায় পড়তে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত নতুন কালুরঘাট সেতু। বিআইডব্লিউটিএর মতামত অনুযায়ী সেতু করতে গেলে সেতুর ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪ গুণ। কর্ণফুলী নদীর উচ্চতা নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের সাথে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মতের যে অমিল দেখা দিয়েছে সহসাই এ জটিলতা নিরসনের কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না।

    এক্ষেত্রে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সরকারি গেজেট সংশোধনই সেতু নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে পারে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু), বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) গোলাম মোস্তফা গতকাল আজাদীকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। বিআইডব্লিউটিএ বলেছে সেতুর উচ্চতা ১২ মিটার হতে হবে। কিন্তু রেলওয়ের প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী ৭ মিটার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৯ মিটার পর্যন্ত করা যাবে। এখন বিআইডব্লিউটিএ যে উচ্চতার (১২ মিটার) কথা বলছে সেটা করতে গেলে সেতুর নির্মাণ ব্যয় থেকে শুরু করে অনেক কিছু বেড়ে যাবে। তখন সেতুর ব্যয় দাঁড়াবে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। তখন বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সেতুর কাজ শুরু করা সম্ভব নাও হতে পারে। আরো অনেক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, রেল কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুর উচ্চতা ৭ দশমিক ২ মিটার রাখা হয়েছে। বর্তমান রেল লাইন অ্যালাইনমেন্টে উচ্চতা সর্বোচ্চ ৯ মিটার পর্যন্ত করা যাবে। কিন্তু নৌপথের মালিক বিআইডব্লিউটিএ শুরু থেকেই বলে আসছে কর্ণফুলীর যে অংশে সেতু হবে নেভিগেশন চ্যানেল ঠিকঠাক রাখার জন্য এবং ঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান করা নৌবাহিনীর জাহাজসহ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো কালুরঘাট সেতু পার হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ওই দুঃসময়ে জাহাজ পারাপারে সেতুটি যাতে কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতার তৈরি না করে সেজন্য সেতুর উচ্চতা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ সেতুর উচ্চতা নিয়ে অহেতুক জটিলতা করছে। নদীর ওই অংশটিতে তেমন কোনো জাহাজ চলাচল নেই। নেভিগেশন চ্যানেল রক্ষার নামে এই ধরনের জটিলতা তৈরি পুরো প্রকল্পে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে।
    পরবর্তীতে অনেক ধাপ পেরিয়ে এই সেতুর একটি চূড়ান্ত ডিজাইন দাঁড় করানো হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কঙবাজার রেল প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটি প্রকল্পের অধীনে কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ প্রকল্পের অধীনে কালুরঘাটে অবস্থিত পুরনো রেল সেতুর স্থলের ৮০ মিটার উত্তরে নতুন ‘রেলওয়ে কাম রোড সেতু’ নির্মাণের নকশা প্রণয়ন করা হয়। এই ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত দ্য ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এর সাথে রেলওয়ের ঋণ চুক্তিও চূড়ান্ত হয়েছে। এখন উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর এমন আপত্তিতে আবারো প্রকল্পটির গতি থেমে গেলো।

  • হাটহাজারীতে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন কওমীর আঙিনায়, দালালদের ঠাই নাই=মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী

    হাটহাজারীতে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন কওমীর আঙিনায়, দালালদের ঠাই নাই=মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হঠাৎ উত্তপ্ত হাটহাজারী : মুফতি হারুন ইজহার সাহেবের মুক্তির পর পরিস্থিতি এখন শান্ত

    অবশেষে নাজিরহাট মাদরাসা থেকে পুলিশের অবরুদ্ধতা থেকে উদ্ধার হয়ে মুফতি হারুন ইজহার সাহেব হাটহাজারীর মাদরাসার মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।

    কওমী জগত : হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গ কথা।

    এই পুস্তককে জঙ্গী পুস্তক বলে প্রচার করে নাজিরহাট মাদরাসার দখলদার ডাকাত সলিমুল্লাহ মাওলানা হারুন ইজহারকে প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলো।
    হাটহাজারী মাদরাসার মুরুব্বীদের তদবীরে ডাকাত সলিমুল্লাহর সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে পারেনি।

    হারুন ইজহার সাহেবের মুক্তির জন্য ছাত্ররা উপস্থিত আন্দোলন করেছিল। আলহামদুলিল্লাহ, তিনি স্ব-শরীরে হাটহাজারীতে এসে এইমাত্র ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। এবং ছাত্ররা আনন্দচিত্তে যার যার রুমে ফিরে গেছে। এখন হাটহাজারীর পরিস্থিতি শান্ত।

    কওমী অঙ্গনের দালালরা বারবার ধাক্কা খেয়েও সোজা হচ্ছে না।
    এবার নাজিরহাট মাদরাসায় চূড়ান্ত একটি ধাক্কা এসে এই ঐতিহ্যবাহী মাদরাসাটি দালালমুক্ত হয়ে ক্বওমী মাদরাসার প্রকৃৃত রূপে ফিরে আসবে বলে আশা করছি। ওয়েট এন্ড সী।

    কওমীর আঙিনায়,
    দালালদের ঠাই নাই

  • চট্টগ্রামে ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

    চট্টগ্রামে ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

     

    গতকাল শুক্রবার (০৯ অক্টোবর২০২০ইং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা শাখার উদ্যোগে ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ও বিচারের দাবীতে পটিয়া শান্তির হাট চত্ত্বরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা আহবায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালোকদার এর নেতৃত্বে পটিয়া শান্তির হাট এর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তির হাট চত্ত্বরে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কালাম এর সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শিল্পী ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে
    বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের শাসন নেই। যথাযথ তথ্য উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও বিচার হচ্ছে না কোন অপরাধীর। প্রতিবাদকারীদের শান্ত করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীর গ্রেপ্তার করে, কিন্তু তারা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। এমন ভঙ্গুর বিচার ও শাসন ব্যবস্থার কারণে ধর্ষণ দিনদিন মহামারি আকার ধারণ করছে।। অতএব ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে।

    প্রধান অতিথি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীন দেশে একজন নারী স্বাধীনভাবে বাঁচতে না পারায় দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অবৈধ সরকার দেশের জনগণের কথা না ভেবে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ধর্ষকদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী নীতিহীন, আদর্শহীন সরকারের মূলোৎপাটন করে জনগণের আধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ও অন্যায়-অবিচার রোধ করার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    প্রধান অতিথি আরো বলেন, ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ ধর্ম। ইসলামের আদর্শ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে পারলে এবং রাষ্ট্রে ইসলামী বিধান বাস্তবায়ন হলে ধর্ষণসহ সকল অপরাধ শুণ্যের কোটায় নেমে আসবে।

    সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা ছদর মাওলানা জাহেদুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কালাম.ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মারুফ। উপস্তিত ছিলেন মাওলানা নাজিমউদ্দীন আনসারী সাধারণ সম্পাদক বামুক চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা। মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ সাবেক প্রচার সম্পাদক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী সাবেক সহ-অর্থ সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ বখতিয়ার, মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিনসহ সহযোগী সংগঠন সমূহের জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক
    মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ
    প্রচার সম্পাদক
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
    চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা

  • চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

    কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দরসহ সেসকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

    নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

    সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর/প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • লোহাগাড়া ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

    লোহাগাড়া ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আসন্ন ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত, ওলামা মশায়েখ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ নুরুল আবচার ভাইয়ের সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভা
    আজ (০৮ অক্টোবর-২০২০) অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কন্দ্রীয় রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন স্যার,
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি, মাওলানা নুরুল আলম তালোকদার,মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজিমউদ্দীন আনসারী।
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম আজিজি, প্রশিক্ষিণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোছাইনসহ অংগ সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।