Category: শিক্ষাঙ্গন

  • নাইক্ষ্যংছড়ি-মদিনাতুল উলুম মাদরাসার অর্ধবার্ষিকী ও আলিমের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শুরু

    নাইক্ষ্যংছড়ি-মদিনাতুল উলুম মাদরাসার অর্ধবার্ষিকী ও আলিমের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শুরু

    কপিল উদ্দিন (জয়) নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেলায় বার বার প্রথমস্থন ধরে রাখা মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলিম মাদরাসার চলতি শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ী ও দাখিল শাখার অর্ধবার্ষিক এবং আলিমের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শনিবার (১১ জুন) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে।

    পরীক্ষা উপলক্ষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিভিন্ন দপ্তর থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর অর্ধশতাধিক পদকে ভূষিত মওলানা ছৈয়দ হোসাইন বলেন, জাতীয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরীক্ষার নির্ধারিত নিয়মগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত দুই বছর করোনার কারনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল। আমাদের শিক্ষকদের ভাল পাঠদানের কারণে পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুতির উপর আমার আস্থা রয়েছে। এজন্য দোয়া করি, প্রত্যেকেই পরীক্ষায় যেন ভাল ফলাফল করে আপন লক্ষ্যে সফলতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় শনিবার থেকে মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলিম মাদ্রাসায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এসব পরীক্ষা চলবে। ইবতেদায়ী বিভাগে ১৪৫ জন, দাখিল শাখায় ৩২৮ জন, আলিম শাখায় ১৭২ জন। প্রথম দিনের আরবি পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বমোট ৬৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী এক সাথে পরীক্ষায় অংশ নেন।
    এ বিষয়ে মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন,দীর্ঘদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকবার সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতোমধ্যেই পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাসের কাজও শেষ করে আজ শনিবার থেকে পরীক্ষা চলছে।

    মাদ্রাসায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার সুন্দর মনোরম পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি মাদ্রাসার সফলতা কামনা করেন।
    ছাত্রদের পড়ালেখা ও পরীক্ষা প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়া, মুহাম্মদ ইসহাক বলেন,বিগত বছরে করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছাত্রদের ক্লাসে প্রচুর পরিমাণ পাঠদান ও শিক্ষকবৃন্দরা ছাত্র-ছাত্রীদের গাইড দেয়া ও বাড়তি তদারকি করেছেন। যে কারণে ছাত্রদের পড়াশোনায় আর কোন ঘাটতি থাকেনি। অর্ধবার্ষিক ও আলিমের প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আশাকরি পরীক্ষায় ছাত্ররা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাল ফলাফল করবে।

  • বিরামপুর মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত

    বিরামপুর মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর)

    প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক শামিম উর রহমানের সঞ্চালনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিষ্ঠা সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজ্জামেল হোসেন মন্ডল, বিশেষ অতিথি প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ (বকুল), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম নেনার, প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত), শিক্ষকবৃন্দ, সুধীমন্ডলীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, ছাতে-ছাত্রীবৃন্দ প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি মোজ্জামেল হোসেন মন্ডল
    বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। একমাত্র সূ-শিক্ষায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাস্তবতার উপর পাঠদানের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানের এসএমসি সদস্যদেরও সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা মানসন্মত শিক্ষা অর্জন ভবিষ্যতে এদেশের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

    আলোচনা শেষে পরীক্ষার্থীর জন্য দোয়া পরিচালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের মাওলানা শিক্ষক এমদাদুল হক।

  • কক্সবাজারের উখিয়া চাকবৈঠা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ছাঁদ ঢালাইর কাজ সম্পূর্ণ।

    কক্সবাজারের উখিয়া চাকবৈঠা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ছাঁদ ঢালাইর কাজ সম্পূর্ণ।

    কক্সবাজারের উখিয়া চাকবৈঠা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ছাঁদ ঢালাইর কাজ সম্পূর্ণ।

    নিউজ ডেস্কঃ-

    কক্সবাজার জেলা উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের চাকবৈঠা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ছাঁদ ঢালাইর কাজ সম্পূর্ণ করেন।

    রত্নাপালং ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়র্ডের চাকবৈঠা মধ্যম এলাকায় মসজিদটি অবস্থিত।
    মসজিদটি স্থাপিত হয়ছিল গত ১৯৮০ সালে।
    বর্তমান ৪৩ বছরের ইটের দালান ও ছাঁদের ঢালায়র কাজ শুরু হয়।

    ১৯৮০ সালে মসজিদটি যখন সংস্কার হয়ছিল তখন প্রতিষ্টাতা ছিলেন ৩জন।  হাজী মৃত আমির কাশেম,হাজী মৃত সৈয়দ আকবর,হাজী মৃত হামিদুর রহমান। তারা যখন মসজিদ নির্মান করেন সাধারণ গাছের পাতা ও খেজুর গাছের ঢালা দিয়ে মসজিদ নির্মান করা হয়ছিল, ধীরে ধীরে মানুষ উন্নত হতে শুরু করে,তখন মাটির তৈরিতে মানুষ ইসলামী ধর্মের বিভিন্ন উৎসব পালন করত।

    গত ২২ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা মুসলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেই, মাটির তৈরি মসজিদটি ইটের দালান ও ছাঁদের ব্যবস্তা করার জন্য।

    এলাকার মানুষের সহযোগীতায় কাজ গুলা সম্পূর্ণ করতে দাড়ান কমিটির দায়িত্বশীল ও এলাকা বাসিরা।

    ২০২২ সালের রমজান মাসে শুরু হয় মসজিদের কাজ। ২৫ রমজান থেকে শুরু হয় ছাঁদ ঢালাইর কাজ, তখন উপস্থিত ছিলেন, অত্র মসজিদের সভাপতি মাওলানা মুসলিম উদ্দিন সেক্রেটারি মাস্টার মুক্তার আহাম্মদ ও মওলানা আব্দুল মান্নান সহ প্রমুখ।

    মসজিদের সেক্রেটারি মাস্টার মুক্তার আহাম্মদ বলেন, মসজিদটি পূর্ণ কাজ শেষ করতে রাজ মিস্ত্রির অনুমানে প্রাই৩০-৪০লক্ষ টাকা প্রয়োজন, বর্তমানে ২৫লক্ষ টাকার কাজ সম্পূর্ণ আরো ১৫-২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
    কাজ শেষ হওয়ার সব টাকা এলাকা বাসীর সহযোগীতায় কাজ সম্পাদন হয়।বাকি ১৫-২০ লক্ষ টাকার জন্য অনেক কাজ পড়ে আছে।
    এইরকম দেশ বিদেশে অনেক মানুষ আছে যারা মসজিদে দান করে, তারা যদি চাই আমাদের মসজিদে সাহায্য করতে তাইলে আমরা খুব সহজে কাজ গুলা সম্পূর্ণ করতে পারব বলে আশা করি।

    সভাপতি ও সেক্রেটারি
    বিকাশঃ-01840147155, 01816157190
    ইউনিয়ন ব্যাংক উখিয়া শাখাঃ-0831110021042

    মা’ আসসালাম
    মাওলানা মুসলিম উদ্দিন ও মাস্টার মুক্তার আহাম্মদ

  • তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    মোঃ সেলিম হাসান সরকারি নাজির আখতার কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”। বইগুলো ২০২১ এবং ২০২২ বইমেলায় বর্তমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রকাশনী “সময়ের সুর প্রকাশন” থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমটি ইসলামিক উপন্যাস এবং দ্বিতীয়টি সামাজিক থ্রিলার জনরার উপর রচনা করেছেন তিনি। বইগুলো ইতোমধ্যে পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ! কাউসার আহমাদ—তিনি একই সাথে লেখক কবি এবং সম্পাদক। রিপোর্টার সেলিম হোসেন বলেন—”তরুণ ও তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন লেখক কবি এবং সম্পাদক কাউসার আহমাদ-এর লেখার কোনো তুলনা হয় না! তাঁর লেখা সাদামাটা ও ঝরঝরে। কলমে যেনো অদ্ভুত রকমের জাদু রয়েছে! তাঁর লেখা পড়লে এক জাদুময় ভালো লাগা কাজ করে! তাঁর প্রতিটি লেখা গিয়ে আঘাত হানে মনের অতল গহীনে!”
    রিপোর্টার সেলিম হাসান আরো বলেন—”মেঘলা আকাশ” পড়ে অনেকেই প্রেমনগরী থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে স্রষ্টার প্রেমে চরমভাবে নিমজ্জিত করেছেন! আর “অতঃপর নিখোঁজ” পাঠ্যানুভূতি জানাতে গিয়ে “মানুষ এমনও হয়” বলে অনেক পাঠক/পাঠিকা কেঁদেছেনও!
    কী এমন লুকিয়ে আছে বইগুলোতে? লেখক কী এমন চমক রেখেছেন তাঁর কলমের আঁচড়ে? এমন কী লিখেছেন; যা মানুষকে ভাবতে শেখায়; মানুষকে কাঁদতে বাধ্য করে? এসব রহস্য ভেদ করতে হলে আমাদের পড়তে হবে “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ।” দেরি না করে আজই সংগ্রহ করুন বই দুটো!
    বিস্তারিতঃ ০১৭১২-০১৮৪১০ এই নাম্বারে।

  • চট্টগ্রামে ১৬ কলেজে সবাই পাস,দুইটিতে পাস করেনি কেউ

    চট্টগ্রামে ১৬ কলেজে সবাই পাস,দুইটিতে পাস করেনি কেউ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর এইচ এসসি ও সমমানের পরিক্ষায় শতভাগ পাস১৬ টি কলেজে। আর একজনও পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা দু’টি।
    আজ ১৩ ফেবু্রুয়ারী২২, রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরিক্ষা নিন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্রনাথ এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন ২৬৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়। মহলছড়ির বৌদ্ধ শিশুঘর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে চারজন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে করে কেউ পাস করেনি। এছাড়া চট্টগ্রাম আইডিয়াল কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, কিন্তু পাস করতে পারেনি।

    তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা ১৬টি। চট্টগ্রাম কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হালিশহর ক্যাটনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাটনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, সেন্ট প্লাসিড’স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাই, লামার কোয়ান্টাম কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, সেন্ট স্কলাসটিকা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কক্সবাজারের বিয়াম ল্যাবরেটরি ( ইংরেজি মাধ্যম) স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেরন সান কলেজ, পশ্চিম কদুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি কলেজে শতভাগ পাস করেছে।

    ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর অটোপাস থাকায় শতভাগ পাস ছিল।

    এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৫০ জন আর ছাত্রী ৭ হাজার ৬৭০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১৪৩ জন।

  • কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের অতিথিগণদের সম্মাননা প্রদান ও প্রীতিভোজ সম্পন্ন

    কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের অতিথিগণদের সম্মাননা প্রদান ও প্রীতিভোজ সম্পন্ন

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাতা, সাবেক ও বর্তমান পরিচালনা কমিটি, সাবেক শিক্ষক এবং সম্মানিত অতিথিগণদের সম্মাননা প্রদান ও প্রীতিভোজসহ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    অদ্য ৯ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ রবিবার সকাল ১১ঘটিকার দিকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সম্মানিত অতিথিগণদের সম্মাননা প্রদান প্রীতিভোজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফের মাননীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল মনসুর চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা জনাব ইমরুল কায়েস চৌধুরী, আরো উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমান, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব রাশেদ মাহমুদ আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব জাফর আলম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক খাঁন, কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খাইরুল হক খাঁন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুপন দেওয়ানজি ও শিক্ষিকা রিতা বালা দে।

    উখিয়া কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, সাবেক ও বর্তমান পরিচালনা কমিটি, সাবেক শিক্ষক এবং সম্মানিত অতিথিগণদের সম্মাননা প্রদান ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন, উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মন্ডলী ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, সাবেক ও বর্তমান পরিচালনা কমিটি এবং সাবেক শিক্ষক এবং সম্মানিত অতিথিবৃন্দদের ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    এছাড়া আরো শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীসহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত

  • উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২১

    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২১

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান প্রযুক্তি সমাহার ডিসপ্লে পরিদর্শন ও ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ -২০২১ শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উক্ত শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আবুল হোসাইন সিরাজী, উপজেলা শিক্ষা একাডেমির সুপারভাইজার বদরুল আলম, উপ কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন, কুতুপালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুপন দেওয়ানজী’র সঞ্চালনায় ও আরো থাকছেন অপরাপর উপজেলা কর্মকর্তা সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

    “স্মার্টফোনে আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি” তাঁরোই অংশ বিশেষ উখিয়া বহুমূখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৫ ও ৬ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন রকমারি সমাহারের ডিসপ্লে পরিদর্শন করার মধ্যে দিয়ে ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ -২০২১ পালিত হচ্ছে।

    বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন উপকরণ সমাহরের ডিসপ্লে প্রতিযোগীতা মূলক অংশ নিয়েছেন উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে
    পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বালুখালী কাশেমিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ,পালংখালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মরিচ্যাপালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ভালুকিয়া পালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ, ফারির বিল মিনহাজুল কোরআন আলিম মদ্রাসা, নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।

    বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার বক্তব্যের আগে, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করে, শেষে বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রযুক্তির ডিসপ্লে সমাহারের পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষীকা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর উদ্যোগে এবং কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগীতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে
    অদ্য ৩১ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য চিত্রাংকন প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
    চিত্রাংকনের বিষয় ছিল “জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব এবং সামাজিক সম্প্রীতি”।
    উক্ত বিষয়ের আলোকে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অঙ্কিত চিত্রের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতের বিল দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজাপালং শাহ জাব্বারিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
    এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেয়ার বাংলাদেশ এবং জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, শেড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন “জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বব্যপী আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে আমরা দিন দিন আমাদের ঋতু বৈচিত্র হারাচ্ছি। আমাদের একটুখানি সচেতনাতাই পারে আমাদের প্রকৃতিকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে। এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের দেশ ধাপে ধাপে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাতে সক্ষম হবে। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস”।
    কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক বলেন “আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় যে তারা তাদের মেধার বিকাশের জন্য এই ধরণের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী। আমরা ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও অনেক অনুষ্ঠান আয়োজন করার চেষ্টা করব যেখানে এই শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে।”


    পরিশেষে কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আতিকুর রহমান এবং সিনিয়র টিম লিডার মোঃ ইমামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট

    শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট ফলক শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

    উখিয়ায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজটি ৪ এপ্রিল ১৯৯৯ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী (প্রকাশ ঠান্ডামিয়া চেয়ারম্যান)
    আজ থেকে ২২ বছর পূর্বে তাঁহার সুযোগ্য পুত্র অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী’র সার্বিক প্রচেষ্টায় ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং যথাসময়ে কক্সবাজারে দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট শুভ উদ্বোধন হবে বলে জানান উক্ত কলেজের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী,

    তিনি বলেন অত্র এলাকার নারী শিক্ষার মান উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মীনি বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র মমতাময়ী মাতার নামে আমার বাবা উক্ত কলেজটি প্রতিষ্টা করেন, তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত কলেজের একটি গেইট ফলক করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি।

  • ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    রচনায়: মুঃ আমির কাসেম

    ইমাম সাহেব এশার নামায পড়াচ্ছিলেন, প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। এই বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটাই ইমাম সাহেবের চাকরি যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।

    ইমাম সাহেব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মানে বুঝেন তো, অভাবের কথা কাউকে না পারে বলতে, না পারে সইতে। এই রকম এক পরিবারের সন্তান মাও. মুনিরুল ইসলাম। মাওলানা পড়া শেষ না করলেও সবাই তাকে মাওলানা বলেই ডাকে। কারণ, মাদরাসায় পড়তে পড়তেই বড়ো হয়েছে। মাদরাসায় জামাতে হাশ্তুম শেষ করেই তাকে চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হয়েছে। এছাড়া আর উপায় কী? বাড়ির একমাত্র কর্মক্ষম লোক বাবা পঙ্গু অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন। আগে রিকশা চালাতেন। একদিন চাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা, অতঃপর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যখানে পড়ে পায়ে সজোরে কিসের যেন আঘাত পড়ে। সেই থেকেই ভাঙ্গা পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মুনিরুল ইসলাম লেখা-পড়া বাদ দিয়ে চাকরির খুঁজে লেগে যায়।

    দূরে যেতে হলো না। পাশের গ্রামের পঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে শুনে ঐ মসজিদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলো মুনিরুল ইসলাম। সভাপতি সাহেব খুশি হলেন। কারণ, ইমামের খুঁজে দূরে যেতে হলো না। চার হাজার টাকা বেতনে রেখে দিলেন মুনিরুল ইসলামকে। বেতন বলবো কী করে? সভাপতি সাহেব বেতন বললেও আমি বলতে পারি না। অন্তত পকেট খরচ বা হাদিয়া বলা যায়। মসজিদের চাকরি যারা করে, তারা বেতন পায় না। বেতন তো সরকারী চাকরি আর বিদেশী চাকরিতে মিলে।

    মনিরুর ইসলাম খুশি। কারণ এই চার হাজার দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ আঞ্জাম দেওয়া না গেলেও অন্তত করচটুকু যোগাতে পারবে। শুরু হলো মুনিরুল ইসলামের ইমামতি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান, নামায পড়ানো আর সকালে ফোরকানিয়া।

    এভাবেই চলছে তার চাকরির জীবন। সপ্তাহ না যেতেই পাঁচ দিনের মাথায় ঝামেলা শুরু হলো। সকালে ফোরকানিয়ার এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে কমেডের উপরেই কাজ সেরে আসলো। ইমাম সাহেব কিন্তু এই খবর জানেন না। কারণ, তার ঐ দিকে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফোরকানিয়া ছুটি হলো, দুপুর পর্যন্ত ঐ দিকে যাওয়া হলো না। জুহুরের আযানের আগেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাহেব উপস্থিত। টয়লেট সারতে গিয়ে মাথা হয়ে গেলো গরম। বেটা ইমাম সাব করেটা কী? টয়লেট অপরিস্কার কেন? এভাবে চিল্লাচিল্লি করতে করতে আসতে লাগলেন ইমাম সাহেবের রুমের দিকে। ইমাম সাহেব আযান দেওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন রুম থেকে। দরজার সামনেই পেয়ে গেলেন ইমাম সাহেবকে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারিকে দেখে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই সেক্রেটারির বুম ফাটানো চিৎকারে ইমাম সাহেব পড়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেক্রেটারি চিল্লিয়ে বলতে লাগলেন- ইমাম সাহেব! তুমি করোটা কী? অ্যাঁ! তোমার খাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর কোন কাম নাই?
    – কেন সাহেব? কী হয়েছে? কোন ভূল….
    – টয়লেটের এই অবস্থা কেন? কমেডের উপরে কার সারবি তুই আর মুসল্লি এসে পরিস্কার করবে?
    – কী বলেন? আমি আজ ওদিকেই যাইনি। আর….
    – চুপ! মোল্লাদের হত্তর দরজা থাকে। এখন পরিস্কার করে আয়! খাবি আর ওখানে সারবি, এখানে তোর কামলা সবাই…. আরো অনেক কথা বলে গেলো। সব কথা ইমাম সাহেবের কানে গেলো বলে মনে হলো না। কারণ, সে তখন অন্য চিন্তায়। কে এসে উপরে টয়লেট সারলো, আর সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়লো আমার উপর।
    সব ভুলেই ইমাম সাহেব টয়লেট পরিস্কার করে আযান দিতে গেলো। আযান দিতে দেরি হওয়ায় আরেক বকা খেতে হলো। এভাবেই চলছে তার চাকরি জীবন। একদিন টয়লেট অপরিস্কারের জন্য বকা শনতে হয়, আরেকদিন ট্যাপে পানি নেই, মসজিদে ময়লা কেন, ঝাড়ু দিতে কষ্ট হলে ইমামের চাকরি নিলে কেন ইত্যাদি। আরো কতভাবে ইমামের দোষ খুঁজে বের করে তার ইয়ত্তা নেই। যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে না, সেও হঠাৎ মসজিদে এসে পায়ে সামান্য বালি লাগলেই ইমাম সাহেবের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে।

    মুনিরুল ইসলাম সব শুনেও সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামুননাসের গালি শোনার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা হজম করতে হয়। হয়তো এটাই নিয়ম। ইমাম সাহেবও যে মানুষ, তাদেরও কত কাজকাম থাকে, পারিবারিক কাজেও তাদের সময় দিতে হয়, তা কি সব মুসল্লি বুঝে? যারা বুঝে তারা তো অসম্মান করছে না। এটাই এখন ইমাম সাহেবের সান্ত্বনা।

    দু’মাস পরের কথা। মাগরিবের নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি থেকে অযু করে আসতে হলো। কারণ, সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এশার নামাযের আগ মূহুর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো। ইমাম সাহেব মটরের সুইচ অন করে আযান দিলেন। মুসল্লিরা অযু করে মসজিদে ঢুকে গেছে। ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। তখনও মটরের সুইচ অন।

    নামাযের পর কারো স্মরণ নেই মটরের সুইচ বন্ধ করার ব্যাপারে। এমনকি ইমাম সাহেবেরও। চলে গেলো সবাই। ফজরের নামায পড়তে এসে সভাপতি সাহেব দেখে মসজিদের পুরো আঙ্গীনা নদীর মতো হয়ে গেছে। যেন নদীর ঢল নামছে। খোঁজ নিয়ে দেখে, রাতে যাওয়ার সময় মটরের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। চটে গেলো ইমাম সাহেবের উপর। যেন এক্ষুনি কেয়ামত নেমে আসবে। না, ইমাম সাহেবকে কিছু বললেন না। ফজর নামযের পর কমিটির সবাইকে ডাকলেন। ইমাম সাহেবকেও। ইমাম সাহেবকে মাসের টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন- ইমাম সাহেব! তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছো। অনেকদিন ধরে সহ্য করতেছি, আর না। এবার আপনি যেতে পারেন।

    -দায়িত্ব অবহেলা, নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ বের করে দোষী সাব্যস্ত করে বিদায় করা হচ্ছে।?
    – বেশি কথা বলা ভালো নয়। সম্মানের সাথে বিদায় করতেছি। তাড়াতাড়ি চলে যান।
    -আমার কিছু কথা আছে জনাব… আবার কথা! বলে তেড়ে উঠে সভাপতি। ইমাম সাহেবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগই দিলো না। ইমাম সাহেব কাকে বোঝাবে দুঃখের কাহিনী। সে যে দোষী নয়, সবাই দোষ খুঁজে খুঁজে বের করে দোষী বানানো হচ্ছে এবং হয়েছে সবসময়। এই তো, রাতে তার স্মরণ ছিলো না মটরের সুইচ বন্ধ করতে। কিন্তু প্রায় বিশজন মতো মুসল্লি, তার মধ্যে দশ/বারোজন কমিটির লোক, তাদেরও কি স্মরণ ছিরররো না? নাকি ইমাম সাহেবকে শায়েস্তা করার জন্য এই ফন্দি? একবার ভেবে দেখুন তো, আজ মুনিরুল ইসলর