Blog

  • প্রাইভেটকার কে ৫০গজ দূরে টেনে নিয়ে গেল ট্রেন, নিহত ৩

    প্রাইভেটকার কে ৫০গজ দূরে টেনে নিয়ে গেল ট্রেন, নিহত ৩

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ট্রেনের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ওই ট্রেনটি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিয়ে ৫০ গজ দূরে টেনে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

    বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার ঘোড়াঘাট রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে সে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া এলাকার হালিম সাহার ছেলে হাফিজুর রহমান শাহ (৪০) বাকি দুজনের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি ৷

    বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, প্রাইভেটকারচালকসহ চারজন পার্বতীপুর থেকে জয়পুরহাটে যাচ্ছিলেন।

    সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার ঘোড়াঘাট রেলঘুণ্টি এলাকায় রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই প্রাইভেটকারে ধাক্কা দিয়ে ৫০ গজ দূরে টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। তবে প্রাইভেটকারচালক দুর্ঘটনার আগে নেমে পালিয়ে যান।

    নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তিন লাশ এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • আসুন মসজিদ কেন্দ্রিক মক্তবগুলো চালু করি, সাথে সম্ভব হলে হিফজখানা এবং প্রাথমিক দ্বীনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি-শফকত হোসাইন চাটগামী

    আসুন মসজিদ কেন্দ্রিক মক্তবগুলো চালু করি, সাথে সম্ভব হলে হিফজখানা এবং প্রাথমিক দ্বীনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি-শফকত হোসাইন চাটগামী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    আজ ০১ ফেব্রুয়ারী ২২, মঙ্গলবার বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামীর অভিমত,
    দেশের মসজিদ কেন্দ্রিক মক্তব ফোরকানিয়া মাদরাসা গুলো আজ বিলুপ্তির পথে। আগের মত আর সকালে কোরআন বুকে নিয়ে মসজিদে মক্তবে যেতে ছেলে মেয়েদের তেমন দেখা যায়না। যদিও ইল্লা-মাশাআল্লাহ এখনো কিছু কিছু জায়গায় মক্তবগুলো স্বগৌরবে দাড়িয়ে আছে আলহামদুলিল্লাহ।

    এই মুহুর্তে আমাদের আলেম ওলামা তরুণ শ্রেণীর দরকার মসজিদ কেন্দ্রিক মক্তবগুলো চালু করার ফিকির করা, উদ্যোগ নেয়া।
    শুধু তাই নয়; সব মসজিদ কেন্দ্রীক মক্তবগুলো আবার চালু করার পাশাপাশি জায়গায় জায়গায় হিফজখানা এবং প্রাথমিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবী। আর মাদরাসা এবং মক্তবগুলো হবে ঢালাও কালেকশন আর ভিক্ষা মুক্ত। মাদরাসা এরিয়ার বাইরে গিয়ে চাঁদা কালেকশন না করার শপথ নিতে হবে। আর নিজ এরিয়া মাদরাসার আতরাপ এলাকার লোকজনকে পাশের মসজিদ, মক্তব, হিফজখানা এবং মাদরাসাগুলোতে স্বেচ্ছায় দান করার উৎসাহ দিতে হবে জনগনকে। এভাবে হলে অবশ্যই সফল হবে। মনে রাখতে হবে, আগামীতে হয়তো এই কাজটি অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তাই এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

    আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা “মসজিদ মাদরাসা ও কবরস্থান করতে সরকারী অনুমতি নিতে হবে” এমন আইন অলরেডি পাশ করা হয়েছে। হয়তো এখন এই আইন দিয়ে আমাদের ধরবেনা; কিন্তু এমন একদিন আসবে যখন এই আইন দিয়েই সংকোচিত হবে মসজিদ মাদরাসা কবরস্থানের দরজা।

    তাই আসুন এখন থেকেই শুরু করি মসজিদ কেন্দ্রিক মক্তব, হিফজখানা ও প্রাথমিক দ্বীনি মাদরাসা।

  • কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ২টি টিপ ছুরি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেলসহ ২জন গ্রেফতার

    কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ২টি টিপ ছুরি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেলসহ ২জন গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ০২টি টিপ ছুরি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোটরসাইকেল সহ দুইজন পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

    গত ৩১ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ দিবাগত রাত ১.৪৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকষ টিম কক্সবাজার পৌরসভাস্থ উত্তর টেকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত আসামী ১। শহিদুল ইসলাম প্রকাশ ভাগিনা(২৩), পিতা-নুরুল আবসার, সাং-পূর্ব মোহাজের পাড়া, ২। মোহাম্মদ আমির খান(২০), পিতা-হানিফ, সাং- আলমগীর টাওয়ার(গয়ম বাজার), থানা ও জেলা-কক্সবাজারদ্বয়ের হেফাজত হতে ০২ টি টিপ ছুরি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে উপস্থিত স্থানীয় জনগণ ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    উল্লেখ্য যে, আসামী শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ০৪(চার) টি ও আমির খান এর বিরুদ্ধে ০৫(পাঁচ) টি অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত আসামিদ্বয় মোটরসাইকেল যোগে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহউদ্দিন

    ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহউদ্দিন

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টানা তৃতীয় বারের মত ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয়ের আন্তরিকতায় ও সকল ইউপি সদস্য সদস্যাবৃন্দদের সহযোগিতায় প্যানেল চেয়ারম্যান (১) নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহ উদ্দিন।

    মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২, বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সভাপতিত্বে ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল বড়ুয়ার সঞ্চালনায়, ইউপি উদ্যোক্তাগনদের উপস্থিতিতে সভা সিদ্ধান্তের আলোকে ৫নং ওয়ার্ড থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা প্যানেল চেয়ারম্যান (২), এবং ৪,৫ ও ৬ সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত ইউপি সদস্য (৩) খুর্শিদা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নুরুল কবির, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সালাহউদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সৈয়দ হামজা, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা, ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হক, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, মহিলা ইউপি সদস্যাদের মধ্যে রোকসানা বেগম, খুর্শিদা বেগম ও শামসুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।

    পরিশেষে মোঃ সালাহউদ্দিন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত
    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় সহ সকল ইউপি সদস্য সদস্যাবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • প্রদীপের নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা ঘুরছে আদালতে; প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    প্রদীপের নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা ঘুরছে আদালতে; প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    ওমর ফারুকঃ- কক্সবাজার,

    কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
    লেখালেখির কারনে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তৎকালীন ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত কক্সবাজারের আলোচিত সাংবাদিক দৈনিক কক্সবাজারবানী ও জনতারবানী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬ মিথ্যা মামলা এখনও প্রত্যাহার হয়নি। মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি,অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত: প্রদীপের সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে ফরিদ মোস্তফার দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলাটি আজও রেকর্ড হয়নি।
    ফলে একদিকে নিজের মিথ্যা মামলা অপরদিকে মামলা – হামলায় জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।

    তিনি অভিযোগ করেছেন, মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদ পত্র সম্পাদক পরিষদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছেন দীর্ঘ দিন হচ্ছে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।

    এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা নিজের সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে তার দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিচার বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    ফরিদ বলেন, প্রদীপ সাম্রাজ্যবাদের মাদক ও ঘুষের বিরুদ্ধে লিখেছি বলে প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ায়ীরা পাষবিক নির্যাতন করছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সুবিধা নিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে আর যারা ইয়াবা ব্যবসা করেনি তাদেরকে ক্রসফায়ার করেছে। পুলিশ দেখলে এখন আমার ভয় হচ্ছে। যতগুলো মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়েছে তার অধিকাংশ বলতে ৮০-৯০ ভাগই নিরাপরাধ ছিলেন। এই সকল অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আমি লেখালেখি করায় আমার বিরুদ্ধে লাগে ওসি প্রদীপ। গত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১ টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে প্রদীপের পাঠানো পুলিশ নামধারী বাহীনি আমাকে ধরে নিয়ে টেকনাফ থানায় ঢুকিয়ে দেয়। সমস্ত শরীর উলঙ্গ করে ভিডিও করে নির্মম নির্যাতন চালায়। নির্যাতন কালে পানি চাইলে প্রদীপ প্যান্টের চেইন খুলে আমার (ফরিদের) মুখে প্রসাব করে দেয়। ক্রসফায়ার দিতে উদ্যত হন প্রদীপ। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন। প্রদীপ ৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে টানা ১১ মাস কারাগারে রেখেছে। আমি বর্তমানে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়ে আছি। এই মামলা চালাতে পারছিনা আর।
    কাজেই এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিনা অপরাধে আমার সাজা হবে। আর তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছি তা রেকর্ড না হওয়া মানে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়া। এতে করে দেশের বিচার ব্যবস্থা,ন্যায় বিচার ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহায়তার দাবি করেন।

    এদিকে বিনা অপরাধে সাংবাদিক ফরিদুলের দীর্ঘ কারভোগ,শারীরিক নির্যাতন, মামলা প্রত্যাহার না হওয়া ও জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা সহ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নজিরবিহীন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশী বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ।
    তারা এসব ঘটনার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন দাবীতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছে।
    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে অন্যায় ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে প্রদীপের কাছ থেকে অর্থদন্ড পেতে পারে ফরিদুল মোস্তফা। এটি হবে ন্যায়বিচার। এটা সরকারকেই উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।

    ফরিদের বিষয়টি মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উপর মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন, শীঘ্রই ফরিদুল মোস্তফার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন করা হতে পারে জানিয়ে
    বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আরও বলেন,সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা না থাকলে দেশে সত্য সংবাদ কেউ পরিবেশন করবেনা।
    এতে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি এবং মাদক, ঘুষ,দুর্নীতি বেড়ে আইন শৃংখলার ভয়াবহ অবনতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার আদালতের সামনে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে প্রদীপের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ফরিদুল মোস্তফার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

  • বিরামপুরে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন

    বিরামপুরে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পৌর শহরে দোশরা পলাশবাড়ি ও মানুষমুড়া মাঠে সমলয় ভিত্তিক প্রায় ৫০ একর জমিতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টেশন মেশিনের সাহায্যে ব্রি-৯২ জাতের বোরো রোপনের উদ্বোধন করেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল।

    উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বোরো চাষের সময় শ্রমিক সংকট নিরসন, অল্প খরচ ও অল্প সময়ে চারা রোপনের লক্ষ্যে মেশিনের মাধ্যেমে রোপন শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১০০হেক্টর জমিতে বোরো রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর মধ্যে বিনামূল্যে ৪ হাজার ৬১০জনকে হাইব্রিড জাতের বীজ এবং ১ হাজার ৭৭০জনকে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

    প্রস্তুতকৃত জাতের চারার মধ্যে রয়েছে ব্রি-২৮,২৯,৭৪,৮১,৮৯,৯২, বিনা-১৮, জিরাশাইল ও বিভিন্ন রকমের হাইব্রেড ধান।

  • চসিক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

    চসিক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের মা ফাতেমা জোহরা বেগমের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

    সোমবার (৩১ জানুয়ারি২২) বাদ আসর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমার চতুর্থ সন্তান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে অধ্যাপক হাসিন আবরার। জানাযায় মানুষের ঢল নামে।

    জানাযায় অংশগ্রহণ করেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, মহেশখালী আসনের এমপি আশিকউল্লাহ রফিক, রাউজান আসনের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চন্দনাইশ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম, ফেনী আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন নাসিম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা শাহাদাত হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

  • বাঁশখালী প্রধান সড়কের ওপর থেকে মাছ বাজার সরিয়ে দিলেন নির্বাহী অফিসার

    বাঁশখালী প্রধান সড়কের ওপর থেকে মাছ বাজার সরিয়ে দিলেন নির্বাহী অফিসার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম (১৬) বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে সাধারন নাগরিকদের দৈনন্দিন জিবন। যানজট নিয়ে বিড়ম্বনা এখন নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার। যানজটের অন্যতম কারন উপজেলার প্রধান সড়কের উপর শাকসব্জী মাছ মাংসের বাজার। যে যার ইচ্ছামত সকাল সন্ধ্যা সড়কের উপর বাজার বসে, দেখার যেন কেউ ছিলনা।

    এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দির্ঘদিন থেকে জোর সমালোচনা চলছিল। উপজেলার প্রধান সড়কের নাপোড়া, চাম্বল, শিল্কুপ টাইম বাজার, বৈলছড়ি, গুনাগরীতে এসব কাঁচাবাজার বসে প্রতিনিয়ত দির্ঘসময় ধরে যানজট সৃষ্টি করে কর্মজীবি মানুষের মুল্যবান সময় নষ্টসহ ব্যস্ততম মানুষের জিবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। অথচ এসব বাজারগুলোর প্রায় সব বাজারই সরকারি ইজারাকৃত বাজার।
    ৩১ জানুয়ারী’২২ ইং সোমবার সকাল ১১ টার সময় বাঁশখালী উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুনাগরী চৌমুহনী চৌ-রাস্তার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে সড়কের উপর থেকে মাছ বাজার সরিয়ে বাজারের ভিতরে পুর্বের মাছ বাজারে স্থাপন করেন। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত …

  • ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব- ১৩

    ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব- ১৩

    শরিফা বেগম শিউলীঃস্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    র‍্যাব ১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর কর্তৃক দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যার ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে ।

    দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‍্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

    দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন কশিগাড়ী গ্রামের পাঁচ মাথা মোড়ের নিকট পরিত্যক্ত হোটেলে একজন ১৬ বছরের কিশোরের পায়ের রগ কেটে ও জবাই করে দূর্বৃত্তরা হত্যা করে রেখে যায়। ঘটনাটি ২৯ জানুয়ারি শনিবার এলাকার লোকজনের মুখে মুখে প্রচার হতে থাকে এবং সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হয় যা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

    উক্ত ঘটনাটি একই এলাকার মোছাঃ রুমিজা খাতুন (৪১) এর কাছে পৌঁছালে সে উক্ত স্থানে হাজির হয় এবং লাশটি দেখে সে চিনতে পারে এবং তার একমাত্র ছেলে মোঃ রিসফু হু ইয়া ইয়া ওরফে রিসান (১৬) বলে শনাক্ত করেন। মোছাঃ রুমিজা খাতুন বলে যে, তার ছেলে দিনাজপুর জেলার রাণীগঞ্জ বাজার আল-হেরা ইসলামী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনার পাশাপাশি রাণীগঞ্জ বাজারে একটি ভ্রাম্যমান খাবার হোটেলে পার্ট টাইম কাজ করত। তিনি আরও জানায় ২৮ জানুয়ারি তারিখ রোজ শুক্রবার রাতে তার পিতার ঔষধ আনার জন্য রানীগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর দীর্ঘসময় চলে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাড়ীর সবাই ঘুমিয়ে পরে। পরের দিন সকালে লোাকজনের মুখে শুনে সেই স্থানে গিয়ে তার একমাত্র ছেলের লাশ দেখতে পায়।

    ঘটনাটি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ভিকটিমের লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পর্বর্তীতে ভিকটিমের মা মোছাঃ রুমিজা খাতুন (৪১) নিজে বাদী হয়ে ২৯/০১/২০২২ ইং তারিখে অজ্ঞাতনামা আসামী ভিকটিমকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মর্মে এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং-১০, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

    এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন জায়গা হতে চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যার ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে হত্যার সাথে জড়িত আসামী মোঃ স্বাধীন উদ্দিন (১৯), পিতা-বিল্লাল উদ্দিন, থানা-ঘোড়াঘাট, জেলা-দিনাজপুর এবং আরও ০২ জন ১৬ ও ১৪ বছর বয়সি কিশোর উভয় জেলা-দিনাজপুরদ্বয়’কে গ্রেফতার করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ স্বাধীন উদ্দিন (১৯) উক্ত ঘটনাটি সম্পূর্ণ বর্ণনা করে যে, সে প্রায় দশ মাস আগে ভিকটিমকে প্রতি মাসে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দেয়। ভিকটিম প্রথম তিন মাস সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পরিবর্তীতে সুদের টাকাসহ মূল টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। উক্ত টাকাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের সাথে মোঃ স্বাধীনের দ্বন্দ হয়। এছাড়াও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, ভিকটিমের মায়ের ২০,০০০/- টাকা ভিকটিমের কাছে গচ্ছিত ছিল। এ ঘটনাও ঘাতকদের কাছে অজানা ছিল না। এরই জের ধরে গত ২৭ জানুয়ারি ইং তারিখে মোঃ স্বাধীন উদ্দিন এবং তার ০২ জন কিশোর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ভিকটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় আসামী স্বাধীন তার কিশোর বন্ধুদের মাধ্যমে ভিকটিমকে রাণীগঞ্জ বাজারে তার পানের দোকানে ডেকে নিয়ে আসলে তাদেরকে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন কশিগাড়ী গ্রামের পঁাচ মাথা মোড়ের নিকট পরিত্যক্ত হোটেলে যেতে বলে। পরবতর্ীতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী স্বাধীন তার পানের দোকান বন্ধ করে আনুমানিক ১০.২০ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আসামী স্বাধীন ভিকটিমের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে না পেলে রাগান্বিত হয়ে তার সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে গলা কেটে দেয়।

    ভিকটিম চিৎকার করলে স্বাধীনের এক কিশোর বন্ধু ভিকটিমের মুখের ভিতর বালু দিয়ে চেপে ধরে। এ সময় অপর কিশোর তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পায়ের রগ কেটে দেয়। পরবর্তীতে আনুমানিক ১০.৪০ ঘটিকায় ভিকটিমকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীগণকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।##

  • মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- কক্সবাজার,

    দীর্ঘ শুনানি শেষে, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    সোমবার বেলা ১:৫০ মিনিটের দিকে মামলার বাদীনি মেজর সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস আদালতের এজলাসে প্রবেশ করেন। ২:২০ ঘটিকাশ রায় ঘোষণা শেষ হয়।
    রায় ঘোষণার সময় ১৫ জন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিগন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খালাস প্রাপ্ত আসামি গন আনন্দে উৎফুল্ল হন।
    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে এজলাস পরিপূর্ণ উৎসুক আইনজীবী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করা হয়।

    এ সময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডঃ মোহাম্মদ ফরিদুল আলম (পি পি), মোজাফফর আহমদ ( এডিশনাল পি পি), জিয়াউদ্দিন আহমেদ ( এ পি পি), এ্যাডঃ মোহাম্মদ জাহাংগীর, এ্যাডঃ মোহাম্মদ মোস্তফা জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার।
    সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ ঘোষণা দেন।

    আদেশে টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কূমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। এসময় প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে আইনজীবী চন্দন দাস, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
    অপর ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। যাবজ্জীবন কারাদন্ড দোওয়া আসামীরা হচ্ছে, নন্দদুলাল, আয়াজ, নিজাম, নুরুল আমিন, সাগর দেব, রুবেল শর্মা। তাদের পক্ষের আইনজীবী দিলীপ কুমার দাস, আইনজীবী শিফন কুমার, আইনজীবী শামসুল আলম ও উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া অপর ৭ আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া আসামী হচ্চে লিটন মিয়া, সাফানুল করিম, মামুন, শাহজাহান, রাজিব, মাহমুদ, কামাল। তাদের পক্ষের আইনজীবী মমতাজ আহমেদ, আইনজীবী জাকারিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় ডিজিএফআই , র‍্যাবসহ সিভিলে অবস্থানরত আর্মির অফিসারদের আনন্দে উৎফুল্ল দেখা যায়।
    বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার সময় সকাল থেকেই কক্সবাজার আদালতে ছিলেন মামলার বাদীনি শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

    রায়ের পর পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
    মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, যে সাতজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হলো, তারা একেবারে নিরপরাধ নই। তাদের ও কিছু সাজা হতে পারত। রায়ে নয়, রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে বলে জানিয়েছেন।
    দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাসে সন্তুষ্টি নই।
    সারাদিন দেশও বহির্বিশ্ব অবস্থানরত সাধরন মানুষের দৃষ্টি ছিল কক্সবাজার দায়রা ও জজ আদালতের দিকে। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন দ্রূত রায় কার্যকর করে ন্যায়,বিচার নিশ্চিত করা হোক।

    মামলার রায় ঘোষনার পর সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ কূমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।

    গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।
    ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।
    পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

    গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।