Blog

  • পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা উখিয়ার কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার

    পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা উখিয়ার কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    নানা বৈচিত্র্য ভরা এ কক্সবাজার । প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় এ জেলাটিকে সাজিয়েছে। অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের হৃদয় স্পর্শ করে। বাংলার সংস্কৃতি সৃষ্টি, কালচার, ঐতিহ্য আর নিসর্গ প্রকৃতি নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। পর্যটকদের অযুত সম্ভাবনার এ জেলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে কত ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি। রয়েছে বহু পুরাকীর্তি স্মৃতিগাথা। অনুপম সৌন্দর্যের আধার এ কক্সবাজার । বিচিত্র ষড়ঋতুর নানা উৎসব মেলা পার্বণে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক এবং ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন।

    পর্যটনে রাজধানী হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারের উখিয়ায় নতুন করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
    প্রত্নতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত রাজা পালং ইউনিয়নের পাতা বাড়ী আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার।

    নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি উখিয়াকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণসমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে, শুধু দেশীয় নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছেও সমান জনপ্রিয় এবং সমাদৃত।স্থানীয়রা মনে করছেন যথাযথ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি।

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষদের সংগ্রামী ও সাহসী জীবনযাপন পর্যটকদের মুখরিত করবে নিঃসন্দেহে।কক্সবাজার জেলার বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো এদেশের পর্যটন শিল্পের নতুন সম্ভাবনা হয়ে উঠতে পারে।

    চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক শাহিনা জানান এ-ই প্রথম এশিয়া মহাদেশের বড় বৌদ্ধ মুর্তি উখিয়া আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারে যাঁর দৈর্ঘ্য ১৩০ ফিট।

    ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোঃ আরিফ বলেন ‘এখানে না আসলে বোঝা যেত না শহরের এত কাছে মনোমুগ্ধকর এই রকম একটি পর্যটন স্পট রয়েছে। সরকারিভাবে সঠিক পরিকল্পনা হাতে নিলে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠবে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র।

  • বিপর্যয়ের হাত থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

    বিপর্যয়ের হাত থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন ২১) সকাল ১১ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে লাগাতার ১৬ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাস্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। মহামারীর পরও গণপরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টস মার্কেটসহ সবকিছুই খোলা রয়েছে, কিন্তু একই অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বিচারিতা এবং চরম অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা মনে করি করোনা একটা মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।

    তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের কোন চাপ নেই’ তার এ বক্তব্যে প্রমাণ করে দেশের সাধারণ মানুষের সাথে মন্ত্রীদের কোন সম্পর্ক নেই। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতেই সরকার সুদূরপ্রসারি ষড়যন্ত্রেলিপ্ত।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর উদ্দ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদিস আল্লামা ফরিদ আহমদ আনসারী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ রেজাউল করিম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সানা উল্যাহ নূরী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দিদারুল মাওলা, ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ছাত্র নেতা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, শ্রমিক নেতা নোয়াব মিয়া প্রমুখ ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    বক্তারা আরো বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে, জনগণের কোন চিন্তা তারা করছে না। রাতের আধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ মোঃ আল ইকবাল, রেদওয়ানুল হক শামসী, তরিকুল ইসলাম, মোহাম্মাদুর হাসান চৌধুরী, ইয়াসির আরাফাত, উত্তর জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস শাকুর হাম্মাদ প্রমুখ।

  • ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার ডলার প্রদান করলেন-ড.আবু রেজা নদভী এমপি

    ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার ডলার প্রদান করলেন-ড.আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংসতায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় দাতা সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়। আজ (০১ জুন ২১) মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ঢাকাস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা কূটনীতিক কোরের ডীন মি. ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের হাতে এই সহায়তা প্রদান করেন।

    ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভুতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করতে সশরীরে উপস্থিত হওয়ায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মি. ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ড.মোজাফফর হোসাইন নদভী, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার মুহাম্মদ আমিন নদভী প্রমুখ।

    রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনায় প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার মুক্তি সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

    তিনি বলেন,ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ড. আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার কঠোর নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন জনগণের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী ত্রাণ সহায়তাও প্রেরণ করেছেন। ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা কূটনীতিক কোরের ডীন ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানকে আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ভিজিটের আমন্ত্রণ জানান এবং ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহকারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের আশ্বাস প্রদান করেন।

    জবাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের নিঃস্বার্থ সমর্থন ও অকৃত্রিম ভালোবাসা ফিলিস্তিন জনগণ সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের পাসপোর্ট থেকে দখলদার ইসরায়েল রাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা লেখা মুছে ফেলায় ফিলিস্তিনের আবাল বৃদ্ধ বনিতার পাশাপাশি ক্ষুদে ফিলিস্তিনিরা পর্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনের শিশু কিশোররা ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনঃ বহালের আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পত্র প্রেরণের উদ্যোগের কথাও জানান। রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনি জনগণের আবেগের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য মাননীয় সাংসদ ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীর আরবী সংস্করণ মাননীয় সাংসদকে উপহার দেন।

  • বাঁশখালী উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির নিয়মিত সভায় যানজট নিরসনের তাগিদ

    বাঁশখালী উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির নিয়মিত সভায় যানজট নিরসনের তাগিদ

    বাঁশখালী উপজে

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাঁশখালী প্রধান সড়কে সাম্প্রতিক জনদূর্ভোগের অবসান ঘঠাতে যানজট নিরসনে সবাইকে একযোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্ঠি আকর্ষন করা হয়েছে।

    আজ ৩১ মে’২১ ইং সোমবার সকাল ১১ টার সময় বাঁশখালী উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী। প্রধান অথিতি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত থেকে সভায় বক্তব্য রাখেন,বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, বাঁশখালী উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম. শাহাদত আলম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ চৌধুরী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ডা. শ্যামলী দাশ, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুদ্দীন, বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দীনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। আইন শৃঙ্খলা সভা শেষে বাঁশখালী উপজেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন বাঁশখালীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নত করতে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান সবাইকে সততা ও সচেতনতার সাথে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাঁশখালীর সর্বস্তরের মানুষের কঠিনতম ভোগান্তি বাঁশখালীর প্রধান সড়কের যানজট নিরসনে সবাইকে একসাথে এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

  • অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৭ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু এদেশে করোনা বাড়বে! এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।

    আজ (২৮ মে’২১) শুক্রবার সকাল ১০ টায় দেওয়ানহাটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আইএসসিএ মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর-এর উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে “ঈদ পূনর্মিলনী” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই তিনি শিক্ষা নামক জাতির এই মেরুদণ্ডকে রক্ষা করার জন্য অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবী জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কিছুদিন পূর্বেই করোনার দরুন দুঃসহ সময়ের মধ্যেই আমরা পালন করলাম এক বেদনা চাপা ঈদ-উল ফিতর। হাজারো গ্লানি নিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জীবন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বারংবার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে।

  • মহেশখালীতে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    মহেশখালীতে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর জেলেপাড়া থেকে সাইটপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কি.মি. স্থায়ী ও টেঁকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মাতারবাড়ীর শিক্ষিত যুব ও ছাত্র সমাজের মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ২৮মে (শুক্রবার) বেলা ৪টায় মাতারবাড়ীর নয়াপাড়া এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় উক্ত মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় বক্তব্য রাখেন, ওয়াহেদ হোছাইন রুবেল, মোহাম্মদ শহিদ,মিজানুর রহমান,মাস্টার শাহাব উদ্দীন,অহিদুল কাদের অহিদ,নিশাত রহমান, মোহাম্মদ শাকিল সহ প্রমূখ। বক্তরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,“১৯৯৮ এর পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই বেড়িবাঁধটি কেবল নামে মাত্র সংস্কার করেছে। নানা দূর্যোগের সর্বপ্রথম এই বেড়িবাঁধটিই মাতারবাড়ীকে রক্ষা করে। সময়ে সময়ে বর্ষার আগে কেবল দায় এড়ানোর জন্য করা করা হতো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে আজ সেই বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে গেছে। দ্রুত যদি এই বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা না হয়, তাহলে মাতারবাড়ী হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই আমরা দ্রুত এই বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”

    উক্ত মানববন্ধনে সঞ্চালনায় ছিলেন, আব্দুর রহমান রিটন ও আব্দুল আমিন জয়। এ সময় মাতারবাড়ীর স্থানীয় যুব সমাজ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।

    জিও ব্যাগ না দিয়ে ইটের ব্লক দিয়ে মাতারবাড়ীর চারদিকে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।গত ২৬শে মে ঘূ্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে দীর্ঘ এক যুগের অধিক অরক্ষিত বেড়িবাঁধটি বিলিন হয়ে যায়। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339

  • মেধাবী ছাত্র শাহজাহানের উন্নত চিকিৎসা সহায়তায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর

    মেধাবী ছাত্র শাহজাহানের উন্নত চিকিৎসা সহায়তায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর

    পারবত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ব্রেইন ইনফেকশনে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র শাহজাহানের উন্নত চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসলেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

    বুধবার (২৬ মে) মেধাবী ছাত্র শাহজাহানের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়ে পরিবারের হাতে নগদ এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
    এ সময় তার মামা ঘুমধুম ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা এম.ছৈয়দ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান অসুস্থ শাহজাহানের পরিবার মানবিক ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগানের শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে।
    ঝাউবাগান এলাকাও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে কুয়াকাটার ৪৮ নম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ও পশ্চিম খাজুরা এলাকা। এখানকার বাঁধের বাইরের পাশের ঢালে যে সিমেন্টের ব্লকগুলো ফেলা হয়েছিল, তা পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পানির চাপে ধসে পড়ছে, এবং অনেক দিন বেরিবাদের নতুন মাটি ফেলে রাখায় কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বড় বড় ঢেউ ছুঁয়ে নিচ্ছে বেরিবাধ ঝুঁকির মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে, জেলেপল্লী, শুটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, ক্যামেরা পট্টি, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ডিসি পার্ক, পাবলিক টয়লেট সহ গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট। ইতিমধ্যে আবাসিক হোটেল কিংস ৭০পারসেন্ট সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়েছে। উপকূলীয় কলাপাড়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে করণীয় নির্ধারণ করতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ কলাপাড়ায় এসেছেন।
    তিনি উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের হাফেজ প্যাদার হাটে ‘দুর্যোগে করণীয় এবং জানমাল রক্ষায়’ মানুষকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে সভা করেছেন। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, সাগর থেকে ফুঁসে ওঠা জোয়ারের পানি, জেলেপাড়া গুলো নিজেদের মালামাল যত্ন সহকারে উপরে উঠে রাখা হয়েছে, আমাদের পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, এবং সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে ,একই সাথে কাউন্সিলর, মনির শরীফ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, আমরা বেরিবাদের বাহির সাইডে থাকা সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিচ্ছি এবং তাদের মালামাল যত্নসহকারে রাখার জন্য সাহায্য করছি। এই নিবন্ধটি যোগ্যতাসম্পন্ন উপর বিনামূল্যে শিপিং প্রস্তাব Face mask পণ্য, অথবা অনলাইনে কিনুন এবং আজই মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টে দোকানে বাছাই করুন
    ধানখালী ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, তাঁর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রাম থেকে ৩০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটে যাওয়ার কারণে নিশানবাড়িয়া, লোন্দা, মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলাসহ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতির মুখে পড়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের চাপলীবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল হাসান বলেন, ঘের ও পুকুরের রুই, কাতল, সিলভার কার্প, পাঙাশ, গলদা চিংড়ি ভেসে গেছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের তাণ্ডবে গঙ্গামতি এলাকার পুরো সৈকত ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সৈকত-সংলগ্ন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে। সাগরের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে সৈকতে যাতায়াতের পিচঢালা সড়কের ওপর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকা থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার ভেঙে গেছে।
    কলাপাড়া পৌরশহরের মাছ বাজার, হ্যালিপ্যাড মাঠ, ফেরিঘাট, বাদুরতলী জলকপাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকানপাট ও কাঁচা বাজার রাবনাবাদ পাড়ের লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মুন্সিপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকার জলকপাট এলাকা আগে থেকেই ভাঙা ছিল। রাবনাবাদ নদের জোয়ারের প্রবল চাপে সেখান থেকে আরও দেড় থেকে ২০০ ফুট মাটি ভেঙে গেছে। এর ফলে পূর্ব চর চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, নাওয়াপাড়া গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। এখানকার স্থানীয় লোকজন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় শুকনো খাবার কেনার জন্য ২৫ হাজার করে টাকা, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের ভয়াবহতা বাড়লে উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • জনগনের সেবা করতে ঝিলংজাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে শফিক

    জনগনের সেবা করতে ঝিলংজাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে শফিক

    মোহাম্মদ জিয়া কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম শফিক।এমনকি একজন সমাজসেবক হিসেবেও বেশ পরিচিত। জনগণের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয়ে আগামীতে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। এমনকি জনগণের সেবা করার জন্যই চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। ইউপি নির্বাচনী বিষয় নিয়ে ‘ ’এক সাক্ষাৎকারে শফিকুল ইসলাম শফিক এসব কথা বলেন।
    জানা গেছে, এলাকায় রয়েছে শফিকুল ইসলামের ব্যাপক পরিচিত। তিনি একজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও পরিচিত। শুধু তাই নয়, অসহায় দরিদ্রের বন্ধু বলেও সবার মাঝে পরিচিত। যে কোন সামাজিক কাজে ছুটে অাসেন তিনি৷ এমনকি ভালো কাজকে হ্যাঁ এবং খারাপ কাজকে না বলে থাকেন৷ সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলেন তিনি। দেশে করোনার প্রকোপের কারনে সরকার লকডাউন ঘোষনা করে। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এ দুর্যোগে কর্মহীনদের পাশে থেকে কুড়িয়েছেন সম্মান।
    এভাবেই মানুষের পাশে থাকার কারনে ধীরেধীরে বাড়তে থাকে সমাজে তার জনপ্রিয়তা৷ জনগণের একটাই কথা তিনি ঝিলংজায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পাল্টে যাবে এই ইউনিয়নের চিত্র। ঝিলংজা হবে মডেল ইউনিয়ন। আরও থাকবে না রাস্তাঘাটের কারনে ভোগান্তি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সর্বক্ষণিক নাগরিকত্ব সেবা পাবে জনগণ।

    ঝিলংজাবাসী জানিয়েছেন, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। কোন অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না তিনি। এমনকি মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর৷ তরুণ ও যুবসমাজ যেন মাদকের ভয়াবহ ছোঁবলে না পড়ে সেজন্য ঝিলংজার বিভিন্ন এলাকায় যুব ও তরুণদের নিয়ে মতবিনিময় করে থাকেন৷
    সবমিলিয়ে শফিকুল ইসলাম জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান স্থানীয়রা। তবে এখন সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে ঝিলংজাবাসী। এমনকি দলীয় মনোনয়ন দিলে অাওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তিনি অনেকটাই অালোচিত বলে জানা গেছে৷ নির্বাচনের ভোটের মধ্য দিয়ে শফিকুল ইসলাম বিজয় নিশ্চিত হবে বলেও জানান এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অসহায় দরিদ্ররা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় তিনি তাদের পাশে থেকে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন৷ এমনকি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কারও দিয়ে থাকেন তিনি৷ ঝিলংজা ইউনিয়নে সবার মুখে এখন তারই কথা।
    ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ‘প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপে বলেন, জনগণ চাচ্ছে বলেই অামি নির্বাচন করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। কারন জনগণের ভোট ছাড়া অামি নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবো না৷ তাই জনগণের সিদ্ধান্তই অামার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

    তিনি অারও বলেন, আমরা মানুষ জাতি হিসেবে অন্যদের পাশে থেকে তাদের সেবা করাটা অামাদের দায়িত্ব। অাগামীতে অামি ইউপি নির্বাচন করবো শুধু জনগণের জন্য। বিগতদিন থেকেই স্বপ্ন ছিল জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের পাশে থাকবো৷ তাই সকলের চাওয়ায় অামি নির্বাচন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই অামার জন্য দোয়া করবেন৷

  • কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২

    কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    অদ্য ২৪/০৫/২০২১ ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকষ টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে রামু থানাধীন রাজাকুল ইউপিস্থ রামু বোটানিক্যাল গার্ডেন এর সামনে রামু টু মরিচ্যাগামী পাকা রাস্তার উপর একটি টমটম গাড়ি হতে গ্রেফতারকৃত আসামী ১নং মোঃ আবুল হাশেম (২৩) , পিতা- রশিদ আহমদ, সাং- করইবনিয়া।
    ২নং মোঃ আলম (২১), পিতা- আবু ছিদ্দিক, সাং- কুতুপালং, ক্যাম্প নং-০৬, ব্লক- এ/১১, সর্ব থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার’দ্বয়ের হেফাজত হতে ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিচ ইয়াবা (মাদক) ট্যাবলেট উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।